প্রশ্ন-১। অসহ ভার কাকে বলে?
উত্তরঃ সর্বাপেক্ষা কম যে ভারের ক্রিয়ায় একটি বস্তু ছিঁড়ে বা ভেঙে যায় তাকে ঐ বস্তুর অসহ ভার বা অসহ ওজন বলে। একে অসহ বলও বলা হয়।
প্রশ্ন-২। তরল পদার্থের আপাত প্রসারণ সহগের সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ কোন পাত্রে রাখা কোন তরল পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে তরল পদার্থের যে আপাত প্রসারণ ঘটে তাকে ঐ পাত্রের উপাদানের সাপেক্ষে ঐ তরল পদার্থের প্রসারণ-সহগ বলে।
প্রশ্ন-৪। ভর ও ওজনের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ ভর হচ্ছে কোন বস্তুতে পদার্থের পরিমাণ আর ওজন হচ্ছে সেই পদার্থের ওপর পৃথিবীর টান। কোন বস্তুর ভর যদি হয় m তাহলে ওজন W = mg।
প্রশ্ন-৫। পানির ব্যতিক্রমী প্রসারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ 4°C তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এই তাপমাত্রা থেকে ঠান্ডা বা গরম যাই করা হোক না কেন পানির ঘনত্ব কমতে থাকে ফলে আয়তন বাড়তে থাকে। পানির এই প্রসারণকে ব্যতিক্রমী ধর্মী প্রসারণ বলে।
প্রশ্ন-৬। দৈর্ঘ্য প্রসারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কঠিন বস্তুতে তাপ প্রয়োগ করলে নির্দিষ্ট দিকে দৈর্ঘ্য বরাবর যে প্রসারণ হয় তাকে বস্তুটির দৈর্ঘ্য প্রসারণ বলে।
প্রশ্ন-৭। ইয়ং গুণাঙ্ক কি?
উত্তরঃ স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর দৈর্ঘ্য পীড়ন ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এই ধ্রুব সংখ্যাকে বস্তুর উপাদানের ইয়ং গুণাঙ্ক বলে। একে ‘Y’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-৮। গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে দেওয়া হলো–
১. গামা রশ্মি আধান নিরপেক্ষ।
২. এটি তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয়।
৩. এ রশ্মি চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিচ্যুত হয় না।
৪. এর দ্রুতি আলোর দ্রুতির সমান।
৫. এটি বেশ কয়েক সেন্টিমিটার সিসার পাত ভেদ করে যেতে পারে।
প্রশ্ন-৯। ঘনত্ব কাকে বলে? এর একক কী?
উত্তরঃ বস্তুর একক আয়তনের ভরকে তার উপাদানের ঘনত্ব বলে। ঘনত্বকে ρ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে (S.I.) এর একক Kgm−3।
প্রশ্ন-১০। সুইচ কি?
উত্তরঃ সুইচ হলো এমন এক ধরনের যন্ত্র বা ডিভাইস যা তড়িৎ বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ চালু কিংবা বন্ধ করতে পারে। ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম সুইচ তৈরি করা হয়। যেমন– যান্ত্রিক সুইচ, রিলে, ইলেকট্রনিক সুইচ ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১১। সিলিন্ডার ও গোলকের আয়তন নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তরঃ সিলিন্ডারের আয়তন = πr2h এবং গোলকের আয়তন 1/6πd3 বা, 4/3πr3, এখানে d গোলকের ব্যাস এবং ব্যাসার্ধ, h সিলিন্ডারের উচ্চতা এবং π একটি ধ্রুব সংখ্যা।
প্রশ্ন-১২। স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তরঃ স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্রটি হলো : দৈর্ঘ্য = প্রধান স্কেল পাঠ + ভার্নিয়ার সমপাতন সংখ্যা × ভার্নিয়ার ধ্রুবক – (± যান্ত্রিক ত্রুটি)।
প্রশ্ন-১৩। বজ্রপাত হলে শব্দ হয় কেন?
উত্তরঃ আকাশে যখন মেঘ ভাসমান থাকে তখন বাতাসের ফলে মেঘে মেঘে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় ফলে কম্পন্ন উৎপন্ন হয় ও বজ্রপাত হয় ফলে বজ্রপাতের সময় শব্দ হয়।
প্রশ্ন-১৪। তাপমাত্রা ও তাপ কেন ভিন্ন?
উত্তরঃ তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা অন্য কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আনলে সেটি তাপ দিবে না নিবে তা নির্ধারণ করে। আর তাপ হচ্ছে এক প্রকার শক্তি যা ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি জাগায়। তাই তাপ ও তাপমাত্রা ভিন্ন।
প্রশ্ন-১৫। শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল কি?
উত্তরঃ কোন শব্দ শোনার পর প্রায় 0.1 সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিষ্কে থাকে। এই সময়কে শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল বলে।
প্রশ্ন-১৬। চৌম্বক ক্ষেত্র কী?
উত্তরঃ কোন চুম্বকের চারিপাশে যতদূর পর্যন্ত এর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ ধর্ম বজায় থাকে, উক্ত ক্ষেত্রকে চৌম্বক ক্ষেত্র বলে।
প্রশ্ন-১৭। অর্ধজীবন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সময়ে কোন তেজস্ক্রিয় পরমাণুর প্রারম্ভিক সংখ্যার অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয় হয় তাকে ঐ পদার্থের অর্ধজীবন বলে।
প্রশ্ন-১৮। ইলেকট্রনের তাড়ন বেগ কাকে বলে? এর একক কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় ইলেকট্রন যে বেগে চলে তাকে ইলেকট্রনের তাড়ন বেগ বলে। একে সঞ্চারণ বেগও বলে। ইলেকট্রনের তাড়ন বেগকে v দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক ms-1।
প্রশ্ন-১৯। ভালো সমতল দর্পণের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ একটি ভালো সমতল দর্পণের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকবে।
১. দর্পণের পৃষ্ঠ সমতল হবে।
২. দর্পণের পুরুত্ব হবে কম এবং সুষম হবে।
৩. দর্পণের পিছনে ধাতব প্রলেপ ভালো হতে হবে। প্রলেপ যত ভালো হবে বিম্ব তত উজ্জ্বল হবে
৪. দর্পণের কাঁচ বায়ু বা বুদবুদ শূন্য হতে হবে।
প্রশ্ন-২০। তাপধারণ ক্ষমতা কাকে বলে? তাপধারণ ক্ষমতার একক কি?
উত্তরঃ কোন বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে যে তাপ লাগে তাকে ঐ বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা বলে। তাপধারণ ক্ষমতার একক হচ্ছে JK-1।