প্রশ্ন-১। রেল লাইনের সংযোগ স্থলে ফাঁকা থাকে কেন?
উত্তরঃ রোদ্রের তাপে ও চাকার ঘর্ষণে লোহা উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয়। এই প্রসারণের ফলে রেল লাইন যাতে বাঁকা হয়ে না যায় সে কারণে দুইটি লোহার বারের মিলিত স্থানে ফাঁকা রাখা হয়।
প্রশ্ন-২। কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য প্রসারণ কী কী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য প্রসারণ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথা–
১. আদি দৈর্ঘ্য
২. তাপমাত্রা বৃদ্ধি (Δθ)
৩. পদার্থের উপাদান তথা দৈর্ঘ্য প্রসারণ সহগ (α)।
প্রশ্ন-৩। পিচ কাকে বলে?
উত্তরঃ স্ক্রু গজের বৃত্তাকার স্কেলটি একবার ঘুরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে স্ক্রু পিচ বলে।
প্রশ্ন-৪। এক আলোকবর্ষ কাকে বলে? এক আলোকবর্ষ সমান কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ এক বছর সময়ে আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে। এক আলোক বর্ষ সমান ৯.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার বা ৫.৯ ট্রিলিয়ন মাইল।
প্রশ্ন-৫। লব্ধ রাশি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত রাশি মৌলিক রাশি মিলে গঠিত হয় তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। যেমন : বল, ত্বরণ ইত্যাদি লব্ধ রাশি।
প্রশ্ন-৬। ভার্নিয়ার ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের মান ও ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের মানের পার্থক্যকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-৭। পঁচা ডিম পানিতে ভাসে কেন?
উত্তরঃ ভালো ডিমের ঘনত্ব পানির ঘনত্ব অপেক্ষা বেশি তাই ভালো ডিম পানিতে ডুবে যায়, আর পঁচা ডিমের ঘনত্ব পানির ঘনত্ব অপেক্ষা কম তাই পঁচা ডিম পানিতে ভাসে।
প্রশ্ন-৮। বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল তার ওজনের জন্য ভূপৃষ্ঠে প্রতি একক ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করে তাকে ঐ স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বলে।
প্রশ্ন-৯। শিলা কাকে বলে?
উত্তরঃ অনেক সময় তীব্র বায়ু প্রবাহের ফলে বায়ুমন্ডলের নিম্নমুখী পানি কণা উপরের দিকে উঠে যায়। পানি কণা শীতল স্তরে প্রবেশ করে। প্রায় -20C তাপমাত্রার কাছাকাছি গেলে পানি কণা জমে বরফে পরিণত হয় এবং চারপাশের পানি কণা নিয়ে জমে বলে দ্রুত আয়তন বেড়ে যায়। দ্রুত আয়তন বেড়ে যাবার ফলে ঘনীভূত পিন্ডটি কিছু বায়ু আবদ্ধ করে ফেলে এবং গোলকের আকার ধারণ করে। পরে অভিকর্ষীয় ত্বরণের ফলে নিচের দিকে নেমে আসে, একে শিলা বলে।
প্রশ্ন-১০। ট্রান্সফরমারের ট্রান্সফরমেশন রেশিও কাকে বলে?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারির ভোল্টেজ, কারেন্ট ও প্যাচ সংখ্যার মধ্যে যে সম্পর্ক থাকে তাকে ট্রান্সফরমেশন রেশিও বলে।
প্রশ্ন-১১। ইসিজি (ECG) কি?
উত্তরঃ ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম একটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মিতভাবে কোনো ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন-১২। অষ্টক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো একটি সুরের কম্পাঙ্ক যদি অন্য একটি সুরের কম্পাঙ্কের দ্বিগুণ হয় তবে দ্বিতীয়টিকে প্রথমটির অষ্টক বলে।
প্রশ্ন-১৩। শব্দোত্তর এবং শব্দেতর তরঙ্গ বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 20000 Hz এর চেয়ে বেশি তাকে শব্দোত্তর তরঙ্গ বলে। আর, যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 20 Hz এর চেয়ে কম তাকে শব্দেতর তরঙ্গ বলে।
প্রশ্ন-১৪। কৃত্রিম চুম্বক কাকে বলে?
উত্তরঃ কাঁচা লোহা নিকেল এবং লোহার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি চুম্বককে কৃত্রিম চুম্বক বলে।
প্রশ্ন-১৫। চুম্বকের ধর্ম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ চুম্বকের মূল ধর্ম চারটি। যথা : ক. আকর্ষণী ধর্ম; খ. দিকদর্শী ধর্ম; গ. বিপরীত ধর্ম; ঘ. চুম্বকন ধর্ম।
প্রশ্ন-১৬। ইলেকট্রিসিটির চুম্বকীয় প্রতিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহীর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে পরিবাহীর চারিদিকে চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এভাবে বলা যায়, বৈদ্যুতিক শক্তি চৌম্বক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই ঘটনাকে ইলেকট্রিসিটির চুম্বকীয় প্রতিক্রিয়া বলে। উদাহরণস্বরূপ এ ইফেক্ট কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক ঘন্টা, জেনারেটর, মোটর ইত্যাদি চালানো যায়।
প্রশ্ন-১৭। দণ্ডচুম্বক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে চুম্বকের আকার দেখতে দণ্ডের মতো তাকে দণ্ডচুম্বক বলে। এর দুই প্রান্তে দু’টি মেরু থাকে।
প্রশ্ন-১৮। পৃষ্ঠশক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো তরলের মুক্ততলের ক্ষেত্রফল একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এতে যে পরিমাণ শক্তি প্রদান করতে হয় তাকে ঐ তরলের পৃষ্ঠশক্তি বলে।
প্রশ্ন-১৯। বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহারিক একক কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহারিক একক- কিলোওয়াট-ঘন্টা।
প্রশ্ন-২০। বিনতি কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্থানে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্র অনুভূমিকের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে অর্থাৎ চৌম্বক মধ্যতলে মুক্তভাবে স্থাপিত চুম্বক শলাকা অনুভূমিক তল থেকে যে কোণে নত অবস্থায় থাকে তাকে ঐ স্থানের বিনতি কোণ বলে।