জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৭)

প্রশ্ন-১। মাছের পটকাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ যে পর্দা দিয়ে কেবল দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব চলাচল করতে পারে না তাকে বলা হয় অর্ধভেদ্য পর্দা। মাছের পটকার কোষ পর্দা দিয়ে শুধু দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব চলাচল করতে পারে না। তাই মাছের পটকাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলা হয়।

প্রশ্ন-২। এক্সপ্ল্যান্ট কী?
উত্তরঃ টিস্যুকালচারের উদ্দেশ্যে উদ্ভিদের যে অংশ আলাদা করে নিয়ে ব্যবহার করা হয় তাই হলো এক্সপ্ল্যান্ট।

প্রশ্ন-৩। বংশগতি বস্তু কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব বস্তুর মাধ্যমে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যাবলি তাদের সন্তান-সন্ততিতে স্থানান্তরিত হয় তাদেরকে বংশগতি বস্তু বলে।

প্রশ্ন-৪। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বংশবৃদ্ধি কীভাবে ঘটে?
উত্তরঃ অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষের ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রুণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রুণীয় স্তর সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৫। দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তরঃ দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য হলো বৈচিত্র্যময় জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা।

প্রশ্ন-৬। হাইফা এবং হাইফি কাকে বলে?
উত্তরঃ ছত্রাকের সূত্রাকার শাখাকে এক বচনে হাইফা এবং বহু বচনে হাইফি বলে।

প্রশ্ন-৭। টিস্যু ও অঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ টিস্যু হচ্ছে একই গঠন বিশিষ্ট একগুচ্ছ কোষ যা একসাথে হয়ে একই কাজ করে। অন্যদিকে এক বা একাধিক টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত এবং নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের সময় প্রাণিদেহের অংশ বিশেষকে অঙ্গ বলে। অর্থাৎ কোন অঙ্গে এক বা একাধিক ধরনের টিস্যু থাকে এবং উক্ত অঙ্গ কোন না কোন নির্দিষ্ট কাজ করে। এটিই টিস্যু ও অঙ্গের সম্পর্ক।

প্রশ্ন-৮। GMO বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ যেসকল অর্গানিজম জেনেটিক্যালি মোডিফাইড বা কৌলিগতভাবে পরিবর্তিত সে সকল অর্গানিজমকে সংক্ষেপে জিএমও বা GMO বলে। GMO হচ্ছে Genetically Modified Organisms এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

প্রশ্ন-৯। হিউমাস কি?
উত্তরঃ হিউমাস হলাে উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর পচা সার। হিউমাসে অধিক পরিমাণ খনিজ লবণ থাকে। উদ্ভিদ মূলরােমের সাহায্যে এ খনিজ লবণ শােষণ করে। এ খনিজ লবণ উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য প্রয়ােজনীয়।

প্রশ্ন-১০। অসম্পূর্ণ ফুল বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ একটি আদর্শ বা সম্পূর্ণ ফুলে পাঁচটি অংশ থাকে। যথা– পুষ্পাক্ষ, বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবক। কোন ফুলের যখনই এই পাঁচটি অংশের কমপক্ষে একটি অংশ অনুপস্থিত থাকে তখন সেই ফুলকে বলা হয় অসম্পূর্ণ ফুল। যেমন– কুমড়া ফুল।

প্রশ্ন-১১। পৌষ্টিক গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব গ্রন্থির রস খাদ্য পরিপাকে অংশ নেয় তাদেরকে পরিপাকগ্রন্থি বা পৌষ্টিকগ্রন্থি বলে।

প্রশ্ন-১২। প্যারালাইসিস হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ প্যারালাইসিস সাধারণত স্ট্রোকের কারণে হয়। এছাড়া মেরুদণ্ডের বা ঘাড়ের সুষুম্নাকাণ্ড আঘাত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্যারালাইসিস হতে পারে। স্নায়ু রােগ, সুষুম্নাকাণ্ডের কিংবা কশেরুকার ক্ষয় রােগও প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।

প্রশ্ন-১৩। Fungus এর আভিধানিক অর্থ কি?
উত্তরঃ Fungus একটি ল্যাটিন শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ “মাশরুম” (mushroom) বা ব্যাঙের ছাতার মতো বস্তু।

প্রশ্ন-১৪। Mycology কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় ছত্রাক বিষয়ে পড়াশুনা করা হয় তাকে Mycology বলে।

প্রশ্ন-১৫। CAM কি?
উত্তরঃ CAM এর পূর্ণরূপ হলো Crassulacean Acid Metabolism. সবুজ উদ্ভিদে সংঘটিত সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়ে CO2 বিজারণের যে তিনটি গতিপথ সনাক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো CAM।

প্রশ্ন-১৬। অভিযোজন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব রয়েছে তাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে পরিবেশেরও পরিবর্তন ঘটেছে। আর এই ভিন্ন পরিবেশে জীবগুলো তাদের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটিয়ে টিকে আছে। বিভিন্ন পরিবেশে বা প্রতিকূল পরিবেশে জীবের নিজেকে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকাই হলো আভিযোজন। অভিযোজন জীবের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-১৭। ব্যাকটেরিয়াকে কেন বিয়োজক বলা হয়?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের বিয়োজক। কারণ ব্যাকটেরিয়া মৃত জীবদেহের উপর ক্রিয়া করে পচন ঘটায়। এ সময় মৃত জীবদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে মৃতদেহ ক্রমশ বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব পদার্থে পরিণত হয়। এসব দ্রব্যের কিছুটা ছত্রাক খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। বাকী অংশ পরিবেশের মাটি ও বায়ুতে জমা হয় যা বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদক (সবুজ উদ্ভিদ) পুনরায় ব্যবহার করে।

প্রশ্ন-১৮। জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে সকল শাখাসমূহ ভৌত জীববিজ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে তাকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলে। যেমন– প্রজননতত্ত্ববিদ্যা, পরজীবীবিদ্যা ইত্যাদি। মানুষ ফলিত জীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জীববিজ্ঞানকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

প্রশ্ন-১৯। র‌্যানভিয়ারের পর্ব কী?
উত্তরঃ নিউরিলেমা আবরণটি অবিচ্ছিন্ন নয়। নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর এটি সাধারণত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। শুধু এই বিচ্ছিন্ন অংশে নিউরিলেমার সাথে অ্যাক্সনের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ঘটে। এই আবরণবিহীন অংশগুলো র‌্যানভিয়ারের পর্ব (Node of Ranvier) নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-২০। ট্যাক্সিস কি?

উত্তরঃ দিকমুখী উদ্দীপনা বা উদ্দীপনা মাত্রার তীব্রতার প্রতি একটি জীবের সহজাত আচরণগত সাড়া দেওয়াই হলো ট্যাক্সিস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *