জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৮)
প্রশ্ন-১। মাইটোসিস কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতির, সমগুণসম্পন্ন ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে।
প্রশ্ন-২। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ধাপ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ধাপ পাঁচটি। যথা–
১. প্রোফেজ,
২. প্রো-মেটাফেজ,
৩. মেটাফেজ,
৪. অ্যানাফেজ,
৫. টেলোফেজ।
প্রশ্ন-৩। ডিপ্লয়েড ও হ্যাপ্লয়েড কি?
উত্তরঃ কোন কোষ বা জীব যখন দুই প্রস্থ ক্রোমোজম বহন করে তখন তাকে ডিপ্লয়েড (2n) এবং যখন এক প্রস্থ ক্রোমোজম বহন করে তখন তাকে হ্যাপ্লয়েড (n) বলে।
প্রশ্ন-৪। মিয়োসিস বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মিয়োসিস (Meiosis) হলো এক প্রকার কোষ বিভাজন যার মাধ্যমে একটি প্রকৃত কোষ বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের তুলনায় অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট চারটি অপত্য কোষে পরিণত হয়।
প্রশ্ন-৫। Cell শব্দটির উৎপত্তি ও আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তরঃ ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার Robert Hooke, ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে Cell-এর নামকরণ করেন। ল্যাটিন শব্দ cell থেকে cell শব্দটির উৎপত্তি যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে “ক্ষুদ্র কক্ষ″।
প্রশ্ন-৬। স্টোন সেল কাকে বলে? স্টোন সেলের গঠন কেমন?
উত্তরঃ স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর স্ক্লেরাইড কোষকে স্টোন সেল বলে। এরা খাটো, সমব্যাসীয়, কখনও লম্বাটে আবার কখনও তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণপ্রাচীর খুবই শক্ত, অত্যন্ত পুরু ও লিগনিনযুক্ত। কোষ প্রাচীর কূপযুক্ত হয়।
প্রশ্ন-৭। আদর্শ ফুল কাকে বলে?
উত্তরঃ পুষ্প মুকুল হতে বিকশিত এবং ফল ও বীজ উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে রূপান্তরিত বিটপকে ফুল বলে। আর যে ফুলে চারটি স্তবক যেমন- বৃতি, দল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক বিদ্যমান থাকে তাকে আদর্শ ফুল বলে।
প্রশ্ন-৮। বাস্তুসংস্থান কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রকৃতির কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিদ্যমান অজীব এবং জীব উপাদানের পারস্পারিক ক্রিয়াকলাপ, আদান-প্রদান এবং একাত্মতার মাধ্যমে উক্ত অঞ্চলের পরিবেশে এক বিশেষ স্থায়ী একক গড়ে ওঠে। এই প্রাকৃতিক একক গড়ে ওঠাকে বাস্তুসংস্থান বলে।
প্রশ্ন-৯। সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? সম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ।
উত্তরঃ যে ফুলে পুষ্পাক্ষ, বৃতি, পাপড়ি, পুংকেশর ও গর্ভকেশর এ পাঁচটি স্তবকের সবগুলো উপস্থিত থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন- ধুতুরা, জবা ইত্যাদি সম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ।
প্রশ্ন-১০। সিভনল কাকে বলে?
উত্তরঃ ফ্লোয়েম টিস্যুতে অবস্থিত চালুনির মতো প্রস্থপ্রাচীরযুক্ত নলাকার কোষকে সিভনল বা সিভকোষ বলে।
প্রশ্ন-১১। কঙ্কাল যোজক কলা কাকে বলে?
উত্তরঃ দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠনকারী টিস্যুকে কঙ্কাল যোজক কলা বা স্কেলেটাল কানেকটিভ টিস্যু বলে। এই টিস্যু অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠন ছাড়াও রক্তকণিকা উৎপাদন, অঙ্গ সঞ্চালন ও চলন ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন-১২। স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে? স্থায়ী টিস্যু কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে টিস্যু বিভাজনে অক্ষম তাকে স্থায়ী টিস্যু বলে। স্থায়ী টিস্যু তিন প্রকার। যথা– (১) সরল টিস্যু, (২) জটিল টিস্যু ও (৩) নিঃস্রাবী বা ক্ষরণকারী টিস্যু।
প্রশ্ন-১৩। পরিবহনতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদ দেহে যে টিস্যু খাদ্যের কাঁচামাল (পানি, খনিজ লবণ ইত্যাদি) ও তৈরিকৃত খাদ্য পরিবহন করে থাকে তাকে পরিবহন টিস্যু বলে। এ পরিবহনের জন্য উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অঙ্গে যে বিশেষ ধরনের টিস্যুর বিন্যাস রয়েছে তাকেই পরিবহনতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন-১৪। পেশীকলা কাকে বলে?
উত্তরঃ ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভূত যে কলা সংকোচন-প্রসারণক্ষম এবং অসংখ্য তন্তুর সমন্বয়ে গঠিত তাকে পেশীকলা বলে। মানবদেহের মোট ওজনের ৪০-৫০ ভাগই পেশীকলা।
প্রশ্ন-১৫। হৃদপিন্ড কি?
উত্তরঃ হৃদপিন্ড হলো মানবদেহের একটি জটিল যন্ত্র যা একটি স্বয়ংক্রিয় পাম্প হিসেবে কাজ করে এবং বাইরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়াই নিজস্ব বৈদ্যুতিক সিগনাল দ্বারা সমস্ত দেহে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম।
প্রশ্ন-১৬। নাসারন্ধ্র কাকে বলে?
উত্তরঃ নাকের যে ছিদ্র দিয়ে বাতাস দেহের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে নাসারন্ধ্র বলে।
প্রশ্ন-১৭। জিহ্বার কাজ কি?
উত্তরঃ জিহ্বার কাজগুলো হলো–
- খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করা।
- খাবার গিলতে সাহায্য করা।
- খাদ্যবস্তুকে লালার সাথে মিশ্রিত করতে সাহায্য করা।
প্রশ্ন-১৮। চোখের রেটিনার কাজ কী?
উত্তরঃ চোখের রেটিনা অক্ষিগোলকের সবচেয়ে ভেতরের আলোক সংবেদি স্তর। নিচে এর কাজ তুলে ধরা হলো–
- চক্ষুগোলকে আলোকরশ্মি প্রবেশ করায়।
- চক্ষুগোলকে পুষ্টি সরবরাহ করে।
- চক্ষুগোলকের আকার বজায় রাখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন-১৯। গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রশ্ন-২০। অ্যাক্সলেমা কাকে বলে?
উত্তরঃ অ্যাক্সনের মূল অক্ষের আবরণীকে অ্যাক্সলেমা (Axolema) বলে।