জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২০)
প্রশ্ন-১। অন্ধবিন্দু কি?
উত্তরঃ যে বিন্দুতে রেটিনা ও অপটিক নার্ভ মিলিত হয় এবং যেখানে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না, তাকে অন্ধবিন্দু বলে। এ অংশে কোনো রডকোষ বা কোণকোষ থাকে না, তাই আলোক সংবেদী নয়।
প্রশ্ন-২। বহিঃক্ষরা গ্রন্থি কি?
উত্তরঃ বহিঃক্ষরা গ্রন্থি হচ্ছে সেইসব গ্রন্থি, যারা নিজের ক্ষরিত রাসায়নিক পদার্থ নালিকার মাধ্যমে উৎপত্তিস্থলের অদূরেই বহন করে। এদের নিঃসৃত পদার্থ রস বা জ্যুস নামে পরিচিত। যেমন- লালাগ্রন্থি, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩। রক্তচাপ কাকে বলে? রক্তচাপ কত প্রকার?
উত্তরঃ রক্ত প্রবাহের সময় ধমনিগাত্রে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দুই প্রকার৷ যথা: (১) সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং (২) ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ।
প্রশ্ন-৪। মেডুলা অবলংগাটা কি?
উত্তরঃ মেডুলা অবলংগাটা হচ্ছে মস্তিষ্কের সবচেয়ে পিছনের একটি অংশ। এর সামনের দিকে রয়েছে পনস, পিছনের দিক সুষুম্না কাণ্ডের উপরিভাগের সাথে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন-৬। মেরুরজ্জু কি?
উত্তরঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের একটি অংশ হল মেরুরজ্জু। মেরুদণ্ডের মধ্যে মেরুরজ্জু সংরক্ষিত থাকে। মেরুরজ্জুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর ধূসর পদার্থ থাকে ভিতরে এবং শ্বেত পদার্থ থাকে বাইরে। মেরুরজ্জুর শ্বেত পদার্থের ভেতর দিয়ে আজ্ঞাবাহী এবং অনুভূতিবাহী স্নায়ুতন্তু যাতায়াত করে।
প্রশ্ন-৭। সুষুম্নাকাণ্ড কি? সুষুম্নাকাণ্ড এর কাজ
উত্তরঃ সুষুম্নাকাণ্ড একটি দীর্ঘ, সরু, নলাকার স্নায়ুগুচ্ছ। এটি মেরুদণ্ডের নিউরাল নালীর মধ্যে অবস্থান করে। সুষুম্নাকাণ্ডের মূল কাজ মস্তিষ্ক ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে স্নায়ুবিক ইনপুটের সঞ্চারণ করা।
প্রশ্ন-৮। মাদক গ্রহণের মাধ্যমগুলো কি কি?
উত্তরঃ যারা মাদকসেবী তারা নানা পদ্ধতি ও মাধ্যমে মাদক দ্রব্য গ্রহণ করে। যেমন– ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো, ট্যাবলেট, পাউডার বা সিরাপ হিসাবে খাওয়া, পানীয় হিসেবে পান করা, ধুমপানের মাধ্যমে গ্রহণ করা।
প্রশ্ন-৯। ট্রাকিয়া কি?
উত্তরঃ ট্রাকিয়া হলো মানব শ্বসনতন্ত্রের একটি অংশ। এটি খাদ্যনালির সম্মুখে অবস্থিত একটি ফাপা নালি। এই নালিটি স্বরযন্ত্রের নিম্নাংশ থেকে শুরু করে কিছুদূর নিচে গিয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
প্রশ্ন-১০। দন্তমজ্জা কাকে বলে?
উত্তরঃ দাঁতের ভিতরের ফাঁপা নরম অংশকে দন্তমজ্জা বলে। এর ভিতরে ধমনি, শিরা, স্নায়ু ও নরম কোষ থাকে। দন্তমজ্জার মাধ্যমে ডেন্টিন অংশে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ হয়।
প্রশ্ন-১২। অ্যাকুয়াস হিউমার কাকে বলে?
উত্তরঃ কর্ণিয়া ও চক্ষু লেন্সের মধ্যবর্তী যে স্থানটি পরিষ্কার লবণাক্ত দ্রবণে পূর্ণ থাকে, তাকে অ্যাকুয়াস হিউমার বলে।
প্রশ্ন-১৩। অপটিক স্নায়ু কি?
উত্তরঃ অপটিক স্নায়ু হচ্ছে চোখের অক্ষিগোলকের একটি অংশ। গ্যাংগ্লিওনিক নিউরনের অ্যাক্সনগুলো একত্রিত হয়ে অপটিক স্নায়ু গঠন করে। রেটিনায় সৃষ্ট প্রতিবিম্ব অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
প্রশ্ন-১৪। শ্বাসকার্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়া দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নিষ্কাশন করা হয়, তাকে শ্বাসকার্য বলে। স্নায়ুবিক উত্তেজনা দ্বারা শ্বাসকার্য পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন-১৫। রেনাল করপাসল (Renal Corpuscle) কি?
উত্তরঃ রেনাল করপাসল হচ্ছে নেফ্রনের একটি অংশ যা গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যানস ক্যাপসুল এ দুটি অংশে বিভক্ত এবং যেখানে রক্ত প্রথম পরিস্রুত হয়।
প্রশ্ন-১৬। মানুষের ধমনী রক্তের pH কত?
উত্তরঃ মানুষের ধমনী রক্তের pH এর মান প্রায় ৭.৪। এই মানের সামান্য হেরফের হলে (~0.8) মারাত্মক বিপর্যয় এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
প্রশ্ন-১৭। অ্যালডোস্টেরণ কি?
উত্তরঃ রক্তের প্লাজমায় সোডিয়ামের মাত্রা স্থির রাখতে যে হরমোনটি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে সেটি হচ্ছে অ্যালডোস্টেরণ। এ হরমোনও পানি পনঃশোষণকে প্রভাবিত করে। অ্যালডোস্টেরণ ক্ষরিত হয় অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির কর্টেক্স (বহিঃস্থ) অঞ্চল থেকে।
প্রশ্ন-১৮। প্রতিটি সেন্ট্রিওল কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ প্রতিটি সেন্ট্রিওল তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা:
i. প্রাচীর বা সিলিন্ডার ওয়াল
ii. ত্রয়ী অণুনালিকা বা ট্রিপলেটস
iii . যােজক বা লিংকার।
প্রশ্ন-১৯। নিউক্লিওসাইড কাকে বলে?
উত্তরঃ এক অণু নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক ও এক অণু পেন্টোজ শ্যুগার যুক্ত গঠিত যৌগকে নিউক্লিওসাইড বলে।
প্রশ্ন-২০। আলসার কি?
উত্তরঃ আলসার এক ধরনের রোগ যাতে পৌষ্টিক নালীর অন্তঃপ্রাচীরে (বিশেষ করে পাকস্থলীর বা অন্ত্র) ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ রোগের প্রধান লক্ষণ হলো পেটের ওপর ও মাঝামাঝি অংশে ব্যথা হওয়া।