রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৭)
প্রশ্ন-১। অরবিট (Orbit) কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন আবর্তন করে সে পথগুলোকে অরবিট বলে। অরবিটকে K, L, M, N, O দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
প্রশ্ন-২। ন্যানো কণা কত ধরনের?
উত্তরঃ ন্যানো কণা তিন ধরনের।
প্রশ্ন-৩। নিঃসরণ কাকে বলে? নিঃসরণের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বাহ্যিক চাপের প্রভাবে সরু ছিদ্র পথে কোনো গ্যাসের সজোরে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে। যেমন– উচ্চ চাপে রক্ষিত কোনো গ্যাস সিলিন্ডারে একটি সূক্ষ্ম ছিদ্র করলে গ্যাস সজোরে বের হয়ে আসবে, এটি একটি নিঃসরণ প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন-৪। পেটে গ্যাস হলে কার্বন ট্যাবলেট সেবন করতে বলা হয় কেন?
উত্তরঃ কার্বন ট্যাবলেট পেটের গ্যাসকে পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইডে রূপান্তর করে। রোগী নিঃশ্বাসের সাথে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বের করে দেয়, ফলে রোগীর অসুখ ভালো হয়ে যায়। এজন্য পেটে গ্যাস হলে কার্বন ট্যাবলেট সেবন করতে বলা হয়।
প্রশ্ন-৫। প্লাস্টিক সালফার কাকে বলে?
উত্তরঃ সালফারের একটি রূপভেদ হচ্ছে প্লাস্টিক সালফার। ধূসর বর্ণের অদানাদার, রাবারের মতো নমনীয় সালফারকে প্লাস্টিক সালফার বা গামা সালফার বলে। প্লাস্টিক সালফার পানিতে দ্রবণীয় এবং অস্থায়ী।
প্রশ্ন-৬। মার্স গ্যাস কি?
উত্তরঃ মার্স গ্যাস হচ্ছে মিথেন (CH4)। কর্দমাক্ত জলাভূমিতে উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর পচনের ফলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। তাই মিথেন (Methane) গ্যাসকে মার্স গ্যাস বলা হয়।
প্রশ্ন-৭। নাইট্রেশন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় বেনজিন গাঢ় HNO₃ ও গাঢ় H₂SO₄ এর মিশ্রণের সাথে 50–60°C তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে নাইট্রোবেনজিন উৎপন্ন করে তাকে নাইট্রেশন বিক্রিয়া বলে। এক্ষেত্রে বেনজিন বলয়ের একটি H পরমাণু একটি নাইট্রো (–NO₂) মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
প্রশ্ন-৮। প্রতিরূপী মৌল বা আদর্শ মৌল কি?
উত্তরঃ যেসব মৌলের অভ্যন্তরীণ সকল অরবিটাল পরিপূর্ণ থাকে কিন্তু যোজ্যতা স্তর অপূর্ণ থাকে তারা প্রতিরূপী মৌল বা আদর্শ মৌল। প্রতিরূপী মৌলসমূহের যোজ্যতাস্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস ns1 হতে ns2np5 হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৯। “Redox” বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ এক বা একাধিক বিক্রিয়ক থেকে নতুন যৌগ উৎপন্ন হওয়ার সময় বিক্রিয়কে বিদ্যমান মৌল সমূহের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান হয় এবং জারণ সংখ্যা পরিবর্তন হওয়ার ফলে যে বিক্রিয়া সংগঠিত হয় তাকে “Redox” বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-১০। রেজোন্যান্স কাকে বলে?
উত্তরঃ অণুতে পরমাণুসমূহের অবস্থানের কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু ইলেকট্রন বিন্যাসে ভিন্নতা দ্বারা একাধিক কাঠামো রচনার বিষয়কে রেজোন্যান্স বলে।
প্রশ্ন-১১। শক্তি পর্বত কী?
উত্তরঃ বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদে পরিণত হতে হলে বিক্রিয়ককে অবশ্যই একটি শক্তির বাধা অতিক্রম করতে হবে। এরূপ শক্তির বাধাকে শক্তি পর্বত বলে।
প্রশ্ন-১২। কাঁদানে গ্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ গাঢ় নাইট্রিক এসিডের সাথে ক্লোরোফরমকে উত্তপ্ত করে যে তৈল জাতীয় তরল পদার্থ উৎপন্ন করা হয় তাকে কাঁদানে গ্যাস বলে। কাঁদানে গ্যাসের রাসায়নিক নাম ক্লোরোপিকরিন। এটি অশ্রু উৎপাদক বলে কাঁদানে গ্যাস নামকরণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৩। তড়িৎ রাসায়নিক কোষ কী? কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ তড়িৎ রাসায়নিক কোষ হলো এমন এক ধরনের কোষ যার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে থেকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা যায়। তড়িৎ রাসায়নিক কোষ দুই প্রকার। যথা– ১. তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ (Electrolyte Cell) এবং ২. গ্যালভানিক কোষ (Galvanic Cell)।
প্রশ্ন-১৪। কঠিন অবস্থায় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ কঠিন অবস্থায় পদার্থের আন্তঃআণবিক দূরত্ব সবচেয়ে কম ও আন্তঃআণবিক বল সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই কণাগুলো পাশাপাশি অবস্থান করে এবং এর একটি নির্দিষ্ট আকার আছে, একটি নির্দিষ্ট ভর আছে এবং নির্দিষ্ট একটি আয়তন দখল করে থাকতে পারে।
প্রশ্ন-১৫। সিরামিকের বৈশিষ্ট্য কী কী?
প্রশ্ন-১৬। জেল কাকে বলে?
উত্তরঃ তরল ফেজ এর মধ্যে যদি কঠিন বস্তু কণা বন্টিত হয়ে কলয়েড গঠন করে তাকে জেল বলে।
প্রশ্ন-১৭। সাব অক্সাইড কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব অক্সাইডে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক অক্সাইডের চেয়ে কম থাকে তাদের সাব অক্সাইড বলে। যেমনঃ লেড সাব অক্সাইড (Pb₂O); টিন সাব অক্সাইড (Sn₂O); জিংক সাব অক্সাইড (Zn₂O) ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৮। কার্বন ন্যানো টিউব বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ন্যানোটিউব হচ্ছে, ফাঁপা সিলিন্ডার বিশিষ্ট কাঠামো যার দেয়ালগুলো একক বহু স্তরযুক্ত পরমাণুর শীট দ্বারা গঠিত। তাদের ব্যাস ন্যানো স্কেলের পরিসরে থাকে। তেমনটি ন্যানো স্কেলে থাকা কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত টিউবকে ন্যানো টিউব বলা হয়।
প্রশ্ন-১৯। ন্যানো স্বর্ণের গলনাঙ্ক কত?
উত্তরঃ ন্যানো স্বর্ণের গলনাঙ্ক 300°C।
প্রশ্ন-২০। হাইড্রোজেন বোমা কাকে বলে?
উত্তরঃ Nuclear fusion পদ্ধতিকে ভিত্তি করে যে বোমা তৈরি করা হয় তাকে হাইড্রোজেন বোমা বলে। এ বোমা তৈরির প্রযুক্তি পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রযুক্তির ঠিক উল্টো। এ বোমায় সাধারণত হাইড্রোজেনের পরিবর্তে এর আইসোটোপ ডিউটেরিয়াম ও টিট্রিয়াম ব্যবহৃত হয়।