ষষ্ঠ অধ্যায় : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, অষ্টম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। অটিস্টিক শিশুর সমস্যার নাম কী?
উত্তরঃ অটিস্টিক শিশুর সমস্যার নাম বিকাশগত অক্ষমতা বা নিউরোবায়োলজিক্যাল ডিজঅর্ডার।
প্রশ্ন-২। অটিস্টিক শিশুর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ অটিস্টিক শিশুর বৈশিষ্ট্যগুলো দেওয়া হলো– অটিস্টিক শিশু শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে। কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে।
প্রশ্ন-৩। কত বছর বয়সে অটিস্টিক শিশুর লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তরঃ দেড় থেকে তিন বছর বয়সের মধ্যে অটিস্টিক শিশুর লক্ষণ দেখা যায়।
প্রশ্ন-৪। জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব অটিস্টিক সচেতনতা দিবস কবে?
উত্তরঃ জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব অটিস্টিক সচেতনতা দিবস ২ এপ্রিল।
প্রশ্ন-৫। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব শিশু শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিগত দিক থেকে সমাজের অন্যান্য সাধারণ শিশু থেকে আলাদা এবং যাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা,  যত্ন ও পরিচর্যার প্রয়োজন হয় তাদেরকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলে।
প্রশ্ন-৬। বুদ্ধাংক কাকে বলে?
উত্তরঃ বুদ্ধি পরিমাপের একককে বুদ্ধাংক বলে।
প্রশ্ন-৭। অটিজম শিশু বিকাশের কয়টি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে?
উত্তরঃ অটিজম শিশু বিকাশের ৩টি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
প্রশ্ন-৮। অটিজমের ক্ষেত্রে মেয়ে ও ছেলে শিশুর অনুপাত কত?
উত্তরঃ অটিজমের ক্ষেত্রে মেয়ে ও ছেলে শিশুর অনুপাত ১ : ৪।
প্রশ্ন-৯। সাধারণ বুদ্ধি সম্পন্ন শিশুর IQ কত?
উত্তরঃ সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর IQ ১০০।
প্রশ্ন-১০. কারা নিজের চাহিদাগুলো থার্ড পারসনে বলে?
উত্তর : অটিস্টিক শিশুরা নিজের চাহিদাগুলো থার্ড পারসনে বলে।
 
প্রশ্ন-১১. অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে সাধারণত কত শতাংশের খিঁচুনি থাকতে পারে?
উত্তর : অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে সাধারণত ২৫ শতাংশের খিঁচুনি থাকতে পারে।
প্রশ্ন-১২। পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ বলতে কী বােঝায়? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ যেসব আচরণ বার বার করা হয় সেগুলােকে পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ বলে। অটিস্টিক শিশুরা কোনাে বিশেষ ধরনের আচরণ বারবার করতে থাকে। সে হয়তাে শরীর দোলাতে থাকে, আঙ্গুল নাড়াতে থাকে, খেলনা বাক্সে ঢােকায় আবার বের করে। এভাবে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজে তারা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেয়।
প্রশ্ন-১৩। অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যার প্রয়ােজন কেন?
উত্তরঃ নিবিড় পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের অক্ষমতাকে কমিয়ে আনা সম্ভব। যথাযথ সহযােগিতা ও বিশেষ শিক্ষা দিয়ে পরিণত বয়সে তাদের যথাসম্ভব আত্মনির্ভর করা যায়। যত তাড়াতাড়ি এ সমস্যা শনাক্ত করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি তাদের সাহায্য করা যাবে। এ সকল কারণেই অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যা প্রয়ােজন।
প্রশ্ন-১৪। অটিস্টিক শিশুদের আচরণ কেমন ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ অটিস্টিক শিশুরা বিশেষ ধরনের আচরণ বার বার করতে থাকে। যেমন- শরীর দোলাতে থাকে আঙ্গুল নাড়াতে থাকে, খেলনা বাক্সে ঢােকায় আবার বের করে। তারা রুটিন মেনে চলতে ভালােবাসে।
প্রশ্ন-১৫। অটিস্টিক শিশুর সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বলতে কী বােঝ?
উত্তরঃ অটিজম শিশু বিকাশের যে তিনটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তার মধ্যে সামাজিক মিথস্ক্রিয়া অন্যতম। অটিস্টিক শিশুর মিথস্ক্রিয়া বলতে অন্য কোনাে ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ না থাকা, কে কী করছে তা নিয়ে কৌতুহল থাকা, অন্যের আচরণ বুঝতে না পারাকে বােঝায়।
প্রশ্ন-১৬। পানিশূন্যতা রোধের উপায় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শরীর থেকে অতিরিক্ত জলীয় অংশ বের হয়ে গেলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। পানিশূন্যতা রোধে বেশি করে তরল খাবার যেমন- খাবার স্যালাইন, শরবত, ফলের রস, সুপ ইত্যাদি পান করতে হবে। এছাড়া সবসময় ফুটানো বিশুদ্ধ বা টিউবওয়েলের পানি পান করার মাধ্যমেও পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
প্রশ্ন-১৭. সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সামাজিক মিথস্ক্রিয়া হলো অন্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা। কারও সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলা, কেউ নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেওয়া, আনন্দদায়ক বিষয় অন্যের সাথে শেয়ার করা, কারো সংস্পর্শে যাওয়া ইত্যাদি হলো সামাজিক মিথস্ক্রিয়া।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *