প্রশ্ন-১। তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ, পরিবহন, বিতরণ বা বন্টন ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।
প্রশ্ন-২। তথ্য প্রযুক্তির মূলে কি কি রয়েছে?
উত্তরঃ তথ্য প্রযুক্তির মূলে রয়েছে টেলিযোগাযোগ, ডেটা কমিউনিকেশন, ইন্টারনেট।
প্রশ্ন-৩। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কী ধরনের ইমেজ তৈরি হয়?
উত্তরঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি হয়।
প্রশ্ন-৪। বিশ্বগ্রাম এর জনক কে?
উত্তরঃ বিশ্বগ্রামের জনক কানাডিয়ান দার্শনিক হারবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান।
মার্শাল ম্যাকলুহানের ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত বইটির নাম কী?
উত্তরঃ মার্শাল ম্যাকলুহানের ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত বইটির নাম Understanding media।
প্রশ্ন-৫। বিশ্বগ্রাম (Global Village) কি?
উত্তরঃ বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, যেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সহজেই তাদের চিন্তা-চেতনা, অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি-কৃষ্টি ইত্যাদি বিনিময় করতে পারে ও একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশ্ন-৬। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এজেন্ট কি?
উত্তরঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এজেন্ট এমন একটি সিস্টেম যা চারপাশ প্রত্যক্ষ করে সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার, সে অনুসারে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
প্রশ্ন-৭। কনজ্যুমার টু কনজ্যুমার ই-কমার্স কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোনো ভোক্তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোনো ভোক্তার সাথে পণ্যের বেচাকেনা করে তখন তাকে কনজ্যুমার টু কনজ্যুমার ই-কমার্স বলে।
প্রশ্ন-৮। ফাজি লজিক কি?
উত্তরঃ ফাজি লজিক এমন একটি যুক্তি ব্যবস্থা যেখানে কোন সমস্যার সমাধান 1 এবং 0 ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে দেওয়া যায়। বাইনারি ব্যবস্থায় একটি সমস্যার সমাধান হাঁ বা না এই দুটি উপায়ে দেয়া যায়। কিন্তু ফাজি লজিকে একটি সমস্যার সমাধান দুইয়ের অধিক উপায়ে দেওয়া যায়।
প্রশ্ন-৯। বায়োমেট্রিক্স কি?
উত্তরঃ বায়োমেট্রিক্স হলো বায়োলজিক্যাল ডেটা মাপা এবং বিশ্লেষণ করার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। কম্পিউটার পদ্ধতিতে নিখুঁত নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-১০। আচরণিক ডেটা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো ব্যক্তিকে সনাক্ত করার জন্য যে ডেটা যেমন : ভয়েস রিকগনেশন, সিগনেচার ভেরিফিকেশন ও কি-স্ট্রোক ভেরিফিকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় তাকে আচরণিক ডেটা বলে।
প্রশ্ন-১১। ন্যানোটেকনোলজি কি?
উত্তরঃ ন্যানোটেকনোলজি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুনভাবে কাজে লাগানোর কৌশল।
প্রশ্ন-১২। মার্কেট প্লেস কি?
উত্তরঃ মার্কেট প্লেস হলো এক ধরনের ই-কমার্স সাইট যেখানে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং আর্থিক আদান প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১৩। ক্রায়োপ্রব কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্রায়োসার্জারিতে যে নল দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে আর্গন, হিলিয়াম ইত্যাদি প্রবেশ করানো হয় তাকে ক্রায়োপ্রব বলে।
প্রশ্ন-১৪। স্মার্ট হোম কি?
উত্তরঃ স্মার্ট হোম এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং এর সাহায্যে যেকোনো স্থান থেকে কোন বাড়ির সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম, হিটিং সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম, বিনোদন সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্মার্ট হোমকে হোম অটোমেশন সিস্টেমও বলা হয়।
প্রশ্ন-১৮। আউটসোর্সিং কী?
উত্তরঃ আউটসোর্সিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়া। ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার জন্য কিছু ওয়েবসাইট হলো www.freelancer.com, WWW.upwork.com, www.fiverr.com, www.elance.com, www.peopleperhour.com।
প্রশ্ন-১৯। ই-কমার্স কী?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক কমার্সকে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়। আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপণন, বিক্রয়, সরবরাহ, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি কাজ করাই হচ্ছে ই-কমার্স।
প্রশ্ন-২০। হ্যাকিং কি?
উত্তরঃ হ্যাকিং হচ্ছে অনলাইনে বিনা অনুমতিতে কারো সিস্টেমে প্রবেশ করে তার ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা বা কারো সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
স্যাটেলাইট কি? এটি কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ স্যাটেলাইট হলো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যা পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে এমন স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের তারবিহীন রিসিভার/ট্রান্সমিটার।
1957 সালে (Verner E.Suomi) ভারনার ই সওমি স্যাটেলাইট আবিষ্কার করেন।
স্যাটেলাইটের কাজের উপর ভিত্তি করে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
ক) ওয়েদার স্যাটেলাইট।
খ) কমিউনিকেশান স্যাটেলাইট
গ) ন্যাভিগেশান স্যাটেলাইট।
ঘ) আর্থ অবর্জাভেশন স্যাটেলাইট।
ঙ) মিলিটারী স্যাটেলাইট।
প্রশ্ন-২১। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশলের শাব্দিক অর্থ বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। বংশগতি সংক্রান্ত বিষয়ে আহরিত জ্ঞানকে মানুষের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। সুতরাং আমরা বলতে পারি জীবকোষের ক্রোমোজোমে অবস্থিত কোনো নির্দিষ্ট জিন অথবা জিন সমষ্টির জেনেটিক পদার্থের পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, পুনর্বিন্যাসকরণ, সংশ্লেষণকরণ, ত্রুটিসমূহ দূরীকরণ ইত্যাদিকে জিন প্রকৌশল বলে। জিন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের ডিএনএ (DNA) অণু থেকে পৃথক করে তাকে কাজে লাগানো। এই পৃথকীকরণ জিনকে কোনো জীব কোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলিয়ে দেওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন-২৩। মানুষের চিন্তাভাবনা যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ মানুষের চিন্তাভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বলে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কম্পিউটার বা মেশিনকে মানুষের মত জ্ঞান দান করা। মানুষের মত চিন্তাকরার ক্ষমতা দান করা। বুদ্ধিমান প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ কাজটি করা সম্ভব।
প্রশ্ন-২৪। বিশ্বগ্রাম ধারণার উপাদান/ক্ষেত্রসমূহ লেখ।
উত্তরঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন এখন বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। যা গ্লোবাল ভিলেজ এর মাধ্যমে পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশ্বগ্রাম ধারণার সংশ্লিষ্ট উপাদানসমূহ লেখা হলো: (১) যোগাযোগ, (২) কর্মসংস্থান, (৩) শিক্ষা, (৪) চিকিৎসা, (৫) গবেষণা, (৬) অফিস, (৭) বাসস্থান, (৮) ব্যবসা বাণিজ্য, (৯) সংবাদ, (১০) বিনোদন ও সামাজিক, যোগাযোগ, (১১) সাংস্কৃতিক বিনিময়, (১২) ভিডিও ও কনফারেন্সিং, (১৩) ই কমার্স, (১৪) ই-মেইল।
ঘরে বসে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়- বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযোগ প্রদান ও গ্রহণ করার পদ্ধতিকেই টেলিমেডিসিন বলা হয়। ঘরে বসে আমরা ফোনের মাধ্যমে অথবা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই সুবিধাটি নিতে পারি। সুতরাং টেলিমেডিসিন পদ্ধতির সাহায্যে ঘরে বসে ডাক্তারের সেবা গ্রহণ করা যায়।
রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ -এর ধাপসমূহ লিখ।
উত্তরঃ রিকম্বিনেট ডিএনএ-এর ধাপসমুহ নিম্নরূপ:
DNA নির্বাচন।
DNA এর বাহক নির্বাচন।
DNA খন্ড কর্তন।
কর্তনকৃত DNA খন্ড প্রতিস্থাপন।
পোষকদেহে রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তর।
রিকম্বিনেট DNA-এর সংখ্যা বৃদ্ধি ও মূল্যায়ন।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : প্রথম অধ্যায় (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি)” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।