প্রথম অধ্যায় : প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস, জীববিজ্ঞান ২য় পত্র

প্রশ্ন-১। রুই মাছের শ্রেণির নাম লেখো।
উত্তরঃ রুই মাছের শ্রেণির নাম- Actinopterygii.

প্রশ্ন-২। হাঙ্গরের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তরঃ হাঙ্গরের বৈজ্ঞানিক নাম Scoliodon sorrakowah।

প্রশ্ন-৩। ICZN কী?
উত্তরঃ ICZN হলো (International Commission on Zoological Nomenclature) প্রাণী নামকরণের আন্তর্জাতিক সংঘ।

প্রশ্ন-৪। পঙ্গপাল কি?
উত্তরঃ পঙ্গপাল হলো ঘাসফড়িংসহ কিছু আর্থ্রোপোডা প্রজাতির প্রাণী যারা দলবদ্ধভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলাচল করতে পারে।

প্রশ্ন-৫। হিমোসিল বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ হিমোসিল বলতে এক ধরনের রক্তপূর্ণ গহ্বরকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৬। সিলোম কি?
উত্তরঃ সিলোম হলো পৌষ্টিকনালি ও দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান যা মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম কলার আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।

প্রশ্ন-৭। গলদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম লেখো।
উত্তরঃ গলদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম Macrobrachium Rosenbergii.।

কোন শ্রেণির প্রাণীরা পটকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
Actinopterygii শ্রেণির প্রাণীরা পটকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

প্রশ্ন-৮। রাজ্য কি?
উত্তরঃ রাজ্য হলো শ্রেণিবিন্যাসের সার্বজনীন স্তর যেখানে পৃথিবীর সকল প্রাণীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৯। ট্যাক্সন কী?
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিটি ধাপই হলো এক একটি ট্যাক্সন।

Taxonomy কী?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় শ্রেণিবিন্যাস নিয়ে আলোচনা করা হয় তাই Taxonomy।

প্রশ্ন-১০। ভেনাস হার্ট কী?
উত্তরঃ কেবল CO2 সমৃদ্ধ রক্ত বহনকারী হৃৎপিণ্ডই হলো ভেনাস হার্ট।

প্রশ্ন-১১। প্রতিসাম্যতা কী?
উত্তরঃ অক্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাণিদেহের সমান অংশে বিভাজ্যতাই হলো প্রতিসাম্যতা।

স্পিকিউল কী?
উত্তরঃ পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহের চুনময় ক্ষুদ্র কাঁটাই হলো স্পিকিউল।

ওসেলি কী?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর দুটি পুঞ্জাক্ষির মাঝখানে যে তিনটি সরলাক্ষি থাকে তাই ওসেলি।

‘Gnathostomata’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ Chordata পর্বের Vertebarta উপপর্বের একটি Superclass বা অধিশ্রেণি হলো ‘Gnathostomata’। এর অন্তর্ভুক্ত সাতটি শ্রেণির প্রাণীরা প্রকৃত চোয়াল ও জোড় উপাদান বিশিষ্ট এবং তরুণাস্থি ও অস্থিময় মেরুদন্ডী বৈশিষ্ট্যের।

প্রশ্ন-১৫। তিমিকে মাছ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ তিমিকে মাছ বলা হয় কারণ এটি দেখতে মাছের মতো এবং পানিতে বাস করে। মাছের ন্যায় এদের দেহে অন্তঃকঙ্কাল মেরুদণ্ড বিদ্যমান। এছাড়াও পানিতে সাঁতার কাটার জন্য এদের মাছের মত বক্ষ পাখনা ও পুচ্ছ পাখনা থাকে।

প্রশ্ন-১৬। Amphibia বলা হয় কাদের?
উত্তরঃ যেসব প্রাণীর দেহত্বক অমসৃণ, শুষ্ক ও আঁচিলযুক্ত; দেহ মস্তক ও ধড়ে বিভক্ত; দু’জোড়া পদের মধ্যে অগ্রপদে ৪টি ও পশ্চাৎপদে ৫টি করে আঙুল রয়েছে, তাদের Amphibia বলা হয়। এরা শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী। প্রতিকূল পরিবেশে এরা শীতনিদ্রা যাপন করে। যেমন- কুনোব্যাঙ, স্যালামান্ডার ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৭। হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তরঃ হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়। কারণ ভ্রূণাবস্থায় হাইড্রার দেহপ্রাচীরের কোষগুলো কেবল এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত থাকে। পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে স্তর দুটি যথাক্রমে এপিডার্মিস ও গ্যাস্ট্রোডার্মিস এ পরিণত হয়। এ দুই স্তরের মাঝখানে মেসোগ্লিয়া নামক অকোষীয় ও জেলির মতো একটি স্তর থাকে।

প্রশ্ন-১৯। জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পৃথিবীর সকল ধরনের বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত জীবদেহের মধ্যে অন্তঃপ্রজাতিগত, আন্তঃপ্রজাতিগত অথবা বাস্তুতান্ত্রিক বিভিন্নতাই হলো জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্যকে তিনটি প্রধান শিরোনামে ভাগ করা যায়, যথা- জিনগত বৈচিত্র্য, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।

প্রশ্ন-২০। অগ্রাধিকার আইন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ অগ্রাধিকার আইন হলো কোন প্রাণীর একাধিক গণ বা প্রজাতির নাম থাকলে তার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট নাম গ্রহণের নীতিমালা। এ আইন ICZN দ্বারা প্রনীত ও সুনির্দিষ্ট হয়। যা ইচ্ছা মাফিক পরিবর্তন বা রদবদল করা যায় না। সাধারণত প্রাণীর একাধিক নাম দেয়া হলে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে সর্বপ্রথম নামটি বৈধ হয় এবং অন্যগুলো জুনিয়র সিনোনিম হিসেবে বাতিল গন্য হয়।

প্রশ্ন-২১। ঘাসফড়িংকে Insecta শ্রেণিভুক্ত করা হয় কেন?
উত্তরঃ ঘাসফড়িংকে Insecta শ্রেণিভুক্ত করা হয়, কারণ এদের একটি করে কাইটিনময় বহিঃকংকাল, তিনখণ্ড বিশিষ্ট একটি দেহ (মস্তক, বক্ষ ও উদর), তিন জোড়া সন্ধিযুক্ত পা, জটিল পুঞ্জাক্ষি এবং একজোড়া অ্যান্টেনা থাকে, যা Insecta শ্রেণির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-২২। ভ্রূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী প্রাণী বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যে সব প্রাণীর ভ্রূণের গ্যাস্ট্রুলা পর্যায়ে কোষগুলো এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তরে বিন্যস্ত থাকে, তাদের ভ্রূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী প্রাণী বলে। স্তর দুটির মাঝে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া থাকে। নিডারিয়া পর্বের প্রাণীরা ভ্রূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী। যেমন- হাইড্রা।

প্রশ্ন-২৩। কোন পর্বের প্রাণীদের স্পঞ্জ বলা হয়?
উত্তরঃ পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের স্পঞ্জ বলা হয়।

প্রশ্ন-২৪। টিকটিকি যে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত তার বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ টিকটিকি Chordata পর্বের Vertebrata উপপর্বের Reptilia শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রাণী। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
i. দেহত্বক শুষ্ক, এপিডার্মাল আঁইশ বা শক্ত প্লেট দিয়ে আবৃত থাকে।
ii. সাধারণত দু’জোড়া পা থাকে, তবুও এরা বুকে ভর দিয়ে চলে।
iii. পা নখরযুক্ত আঙুলবিশিষ্ট এবং
iv. অবসারণী ছিদ্র দিয়ে রেচন ও জনন পদার্থ ত্যাগ করে।

Chondrichthyes শ্রেণির বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ Chondrichthyes শ্রেণির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
i. অন্তঃকঙ্কাল কার্টিলেজ নির্মিত, দেহ লম্বা মাকু আকৃতির, পার্শ্বীয়ভাবে চাপা।
ii. পাঁচ জোড়া পার্শ্বীয় উন্মুক্ত ফুলকার বিদ্যমান।
iii. ত্বক অমসৃণ, প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত।
iv. মাথা অঙ্কীয়-পৃষ্ঠীয়ভাবে চাপা, মাথার অঙ্কীয় দিকে মুখ ও নাসারন্ধ্র রয়েছে।
v. পৃষ্ঠ পাখনা দুটি, লেজ হেটেরোসার্কাল পুচ্ছপাখনা বিশিষ্ট।

কৃমি হওয়া সত্ত্বে গোলকৃমি এবং ফিতাকৃমি আলাদা পর্বের অন্তর্গত কেন?
উত্তরঃ কৃমি হওয়া সত্ত্বেও গোলকৃমি Nematoda পর্বভুক্ত এবং ফিতাকৃমি Platyhelminthes পর্বভুক্ত। কারণ- Nematoda পর্বের কৃমিদের দেহ নলাকার, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম, দুদিক সুচালো, এরা অ্যাডোসিলোমেট। অপরদিকে Platyhelminthes পর্বের কৃমিরা দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসম, এদের পৃষ্ঠ অঙ্কীয়ভাবে চাপা এবং এরা অ্যাসিলোমেট। এদের দেহ পাতার মতো উপর-নিচে চাপা বা ফিতার মতো লম্বা। দৈহিক গঠনের ভিন্নতার কারণে এরা কৃমি হওয়া সত্ত্বেও আলাদা পর্বের অন্তর্গত।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *