জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২২)

প্রশ্ন-১। শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলে।

প্রশ্ন-২। ক্লিভেজ কী?
উত্তরঃ জাইগোটের বিভাজনই হলো ক্লিভেজ।

প্রশ্ন-৩। প্রতিবর্তী ক্রিয়া কি?
উত্তরঃ প্রতিবর্তী ক্রিয়া হলো আকস্মিক উদ্দীপনায় এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক ও স্বয়ংক্রিয় আচরণ, যা সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

প্রশ্ন-৪। জৈববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বিশ্বের সকল উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীবের মধ্যে প্রচুর বিভিন্নতা দেখা যায়। উদ্ভিদ, প্রাণী ও বিভিন্ন প্রকার অণুজীবের প্রাপ্যতা, বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যকে সাধারণত জৈব বৈচিত্র্য বলা হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর এ জৈব বৈচিত্র্য মানবজাতির এক অমূল্য সম্পদ।

প্রশ্ন-৫। মস্তিষ্ক বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মস্তিষ্ক হলো আমাদের দেহের চালক। দেহের সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড এটি দ্বারা চালিত। এটির বিভিন্ন অংশের কর্মকাণ্ড দেহের শ্রবণ, শ্বসন, দর্শন, চিন্তা-চেতনা, বিবেক, পেশি চালনা ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন-৬। অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের উপযুক্ত অঙ্গ ব্যবহার করে নতুন গাছ উৎপাদন করাকে অঙ্গজ প্রজনন বলে।

প্রশ্ন-৭। ক্রোমোপ্লাস্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ রঙিন প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে।

প্রশ্ন-৮। আদিকোষ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাদেরকে আদিকোষ বলে। আদিকোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না, তবে রাইবোজোম থাকে। নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়ায় আদিকোষ রয়েছে।

প্রশ্ন-৯। রাফেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ শস্যদানা, ফলমূল ও সবজির অপাচ্য তন্তুময় অংশকে রাফেজ বলে।

প্রশ্ন-১০। পুংস্তবক কি? পুংস্তবকের কাজ কি?
উত্তরঃ পুংস্তবক হলো ফুলের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ, কারণ এটি প্রজননে সরাসরি অংশ নেয়। পুংস্তবকের পরাগধানীতে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। এই পরাগরেণু থেকে পরবর্তীতে পুংজননকোষ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ পুংস্তবকের প্রধান কাজই হলো পুংজননকোষ উৎপন্ন করা।

প্রশ্ন-১১। ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন এর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন এর মধ্যে পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো-
ডায়াবেটিস
১. ডায়াবেটিস একটি রোগের নাম।
২. ডায়াবেটিস কোন হরমোন নয়।
৩. ডায়াবেটিস নানা রোগের সৃষ্টি করে।
৪. ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায়।
৫. ডায়াবেটিসের অস্তিত্ব দেহের সর্বত্র।
ইনসুলিন
১. ইনসুলিন কোন রোগের নাম নয়।
২. ইনসুলিন একটি হরমোন।
৩. দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে গেলে শর্করা বিপাকে বিঘ্ন ঘটে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শরীরে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়।
৫. ইনসুলিন উৎপন্ন হয় অগ্ন্যাশয়ে।

প্রশ্ন-১২। অস্টিয়া কী?

উত্তরঃ আথ্রোর্পোডা পর্বের প্রাণীদের হৃৎপিণ্ডের পার্শ্বীয় জোড়া ছিদ্রগুলোই হলো অস্টিয়া।

প্রশ্ন-১৩। অমরা কী?

উত্তরঃ অমরা হলো ভূণীয় ও মাতৃকলায় চাকতির মতো গঠন, যা ফিটাস ও মাতৃদেহে বিভিন্ন পদার্থের আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন-১৪। পিটুইটারী গ্রন্থিকে প্রভুগ্রন্থি বলা হয় কেন?

উত্তরঃ পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে সবচেয়ে বেশি হরমোন নিঃসৃত হয় এবং এ গ্রন্থি অন্যান্য সকল গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে এ গ্রন্থিকে প্রভুগ্রন্থি বলা হয়।

প্রশ্ন-১৫। নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের কাজ লিখ।

উত্তরঃ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন সাইটোপ্লাজম হতে নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস এবং ক্রোমাটিন জালিকাকে পৃথক এবং সংরক্ষণ করে। এটি অভ্যন্তরীণ দ্রব্য ও বহিঃস্থ সাইটোপ্লাজমের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে ও পরিবহণের কাজ করে। তাছাড়াও এটি এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের সাথে যুক্ত হয়ে নিউক্লিয়াসের অবস্থানকে দৃঢ় করে। অভ্যন্তরে উৎপন্ন উপাদান রন্ধ্রের মাধ্যমে সাইটোপ্লাজমে পাঠায়।

প্রশ্ন-১৬। মিথোজীবিতা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ভিন্ন প্রজাতির দুটি জীব যখন পারস্পরিকভাবে সহাবস্থান করে এবং উভয়ই উভয়ের নিকট থেকে উপকৃত হয় তখন এ ধরনের সহাবস্থানকে মিথোজীবীতা বলা হয়। সহাবস্থানকারী জীবদ্বয়কে বলা হয় মিথোজীবী। যেমন- হাইড্রা ও শৈবাল এক সাথে অবস্থানকালে পরস্পরের নিকট থেকে উপকৃত হয়।

প্রশ্ন-১৭। রেচন কি?

উত্তরঃ রেচন মানব দেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্যপদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয়।

প্রশ্ন-১৮। পেনিসিলিন কি? পেনিসিলিন কে আবিষ্কার করেন এবং কত সালে?

উত্তরঃ পেনিসিলিন একটি জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। ১৯২৯ সালে স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন-১৯। আবরণী কলার কাজ লেখো।

উত্তরঃ আবরণী কলার কাজ হলো–

  • আবরণী কলা কোনো অঙ্গের বা নালির ভিতরের ও বাইরের অংশ তৈরি করে থাকে।
  • আবরণী কলা রূপান্তরিত হয়ে রক্ষণ, ক্ষরণ, শোষণ, ব্যাপন, পরিবহন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।
  • আবরণী কলা রূপান্তরিত হয়ে গ্রন্থি কলা এবং জনন কলায় পরিণত হয়ে দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।

প্রশ্ন-২০। সিসট্রন কী?

উত্তরঃ সিসট্রন DNA-এর কার্যকরী একক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *