পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৯)

1 min read

প্রশ্ন-১। নাল ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ভেক্টরের মান শূন্য তাকে নাল ভেক্টর বা শূন্য ভেক্টর বলে।

প্রশ্ন-২। মন্দন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তু অসমবেগে চললে সময়ের সাথে তার বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে।

প্রশ্ন-৩। বৈদ্যুতিক শক কাকে বলে?
উত্তরঃ শরীরের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ায় সৃষ্ট বিশেষ অনুভূতিকে বৈদ্যুতিক শক বলে। এ বিদ্যুৎ প্রবাহ বেশি হলে শরীর পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

প্রশ্ন-৪। বলের ঘাত কি?
উত্তরঃ কোন বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং এর ক্রিয়াকালের গুণফলকে বলের ঘাত বলা হয়।

প্রশ্ন-৫। বলের ঘাতের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ বলের ঘাতের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

  • বলের ঘাত হলো বলের মান ও ক্রিয়াকালের গুণফল।
  • এর একক Ns বা kgms-1।
  • এটি বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান।
  • এর মাত্রা MLT-1।
  • এগুলোই বলের ঘাতের বৈশিষ্ট্য।

 

প্রশ্ন-৬। পরিমাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে।

প্রশ্ন-৭। ডাইরেক্ট কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কারেন্ট পরিবাহীর ভেতর দিয়ে চলার সময় মান ও দিক উভয়ই পরিবর্তিত হয় না শুধু সময় পরিবর্তিত হয় তাকে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে। একে সংক্ষেপে DC বলে।

প্রশ্ন-৮। তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি গতিশীল চুম্বক কিংবা তড়িৎবাহী কুণ্ডলীর প্রভাবে একটি বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক শক্তি এবং তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতিকে তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ বলে।

প্রশ্ন-৯। এক ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ ১ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি ১ ওয়াট কাজ সম্পন্ন করে, তাহলে ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যকে ১ (এক) ভোল্ট বলে।

প্রশ্ন-১০। নিউটনের ২য় সূত্রটি লিখ।
উত্তরঃ কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে।

প্রশ্ন-১১। হল বিভবের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ হল বিভবের দুটি ব্যবহার হলোঃ

  • একক আয়তনে আধান বাহকের সংখ্যা নির্ণয়;
  • চার্জের প্রকৃতি নির্ণয়।

প্রশ্ন-১২। সমবর্তন কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন তরঙ্গের কম্পনের উপর যদি এমন শর্ত আরোপ করা হয় যে কম্পন কেবল একটি নির্দিষ্ট দিকে বা তলেই সীমাবদ্ধ থাকে তবে তাকে সমবর্তন বলে।

প্রশ্ন-১৩। স্ক্রু গজের পিচ কী?

উত্তরঃ স্ক্রু গজের টুপি একবার ঘোরালে যতটুকু সরণ ঘটে অর্থাৎ রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য এটি অতিক্রম করে তাকে বলা হয় স্ক্রু গজের পিচ।

প্রশ্ন-১৪। ব্যতিচারের শর্তসমূহ কী কী?

উত্তরঃ ব্যতিচার পাওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপঃ

  • আলোর উৎস দু’টি সুসঙ্গত হতে হবে।
  • যে দুটি তরঙ্গের ব্যতিচার ঘটবে তাদের বিস্তার সমান বা প্রায় সমান হতে হবে।
  • উৎসগুলো খুব কাছাকাছি অবস্থিত হতে হবে।
  • উৎসগুলো খুব সুক্ষ্ণ হতে হবে।

 

প্রশ্ন-১৫। সি.সি. কি?

উত্তরঃ সিজিএস পদ্ধতিতে আয়তনের একক ঘনসেন্টিমিটার। একে সংক্ষেপে সি.সি. (cubic centimeter) বলে।

প্রশ্ন-১৬। ভেক্টর যোগের সামান্তরিক সূত্র কি?
উত্তরঃ কোনো সামান্তরিকের দুটি সন্নিহিত বাহু দুটি ভেক্টর হলে তাদের যোগফল হবে সামান্তরিকটির কর্ণ বরাবর।

প্রশ্ন-১৭। বৈদ্যুতিক এনার্জি বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক শক্তি বা এনার্জি হলো বৈদ্যুতিক পাওয়ার এবং এই পাওয়ার কোন সার্কিটে যত সময় কাজ করেছে সেই সময়ের গুণফল। বৈদ্যুতিক এনার্জির একক হলো ওয়াট আওয়ার/কিলোওয়াট আওয়ার।

প্রশ্ন-১৮। কী কী বিষয়ের পরিবর্তনে বায়ুতে শব্দের বেগের পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ বায়ুতে শব্দের বেগ পরিবর্তনের কারণ–

  • তাপমাত্রা : তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বায়ুতে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়।
  • মাধ্যমের প্রকৃতি : কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি, তরলে শব্দের বেগ কঠিন অপেক্ষা কম কিন্তু গ্যাসীয় মাধ্যম অপেক্ষা বেশি।
  • আর্দ্রতা : বায়ুতে জলীয়বাষ্প তথা আর্দ্রতা বেশি হলে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়।

 

প্রশ্ন-১৯। শুষ্ক কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃ তরল তড়িৎ বিশ্লেষ্যের পরিবর্তে পেস্ট হিসেবে তথা শুষ্ক রূপে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করে যে সেল গঠন করা হয় তাকে শুষ্ক কোষ বলে।

প্রশ্ন-২০। তাৎক্ষনিক দ্রুতি কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তরঃ অতি অল্প সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্বকে সময় দিয়ে ভাগ করে তাৎক্ষনিক দ্রুতি নির্ণয় করা হয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x