প্রশ্ন-১। ডি.ডি.টি আবিষ্কারের জন্য কোন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তরঃ পল হারম্যান মুলার।
প্রশ্ন-২। অ্যামোনিয়া গ্যাসের ধর্ম কি কি?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া গ্যাসের ধর্মগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- অ্যামোনিয়া একটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত বর্ণহীন গ্যাস।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস পানিতে অত্যন্ত দ্রবণীয়।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস ক্ষারধর্মী।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস দাহ্যও নয় এবং দহনের সহায়কও নয়।
- অ্যামোনিয়া বাতাস অপেক্ষা হালকা।
- অ্যামোনিয়া হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া ক্লোরাইডের সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-৪। কার্বোলিক এসিড কি? কার্বোলিক এসিড এর সংকেত ও ব্যবহার।
উত্তরঃ কার্বোলিক এসিড হল রাসায়নিক জৈব যৌগ। এর রাসায়নিক সংকেত C6H5OH। এটি সাদা দানাদার কঠিন পদার্থ এবং সহজে উদ্বায়ী। বাসাবাড়িতে সাপের উপদ্রব কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৫। ভিনাইল ক্লোরাইডের ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ভিনাইল ক্লোরাইডের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো–
- এটি পলিভিনাইল ক্লোরাইড নামক PVC পলিমার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- এটি অ্যারোসল স্প্রে তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- এটি চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- এটি রেফ্রিজারেশনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
- এটি অটোমোবাইল ও গৃহসজ্জার সামগ্রী বার্নিশিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৬। বিরল অ্যামিনো এসিড কি?
উত্তরঃ বিরল অ্যামিনো এসিড হলো হাইড্রোক্সিপ্রোলিন।
প্রশ্ন-৭। ভৌত ধর্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ধর্ম প্রকাশের ক্ষেত্রে পদার্থের আণবিক গঠনের কোন পরিবর্তন ঘটে না। সে সব ধর্মকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলে। পদার্থের বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক, ঘনত্ব ইত্যাদি ভৌত ধর্ম।
প্রশ্ন-৮। প্রথম কোন জৈব যৌগ সংশ্লেষিত হয়? এটি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ প্রথম যে জৈব যৌগটি সংশ্লেষিত হয়, তা হল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH₃COOH)। ১৮৪৫ সালে বিজ্ঞানী কোলবে পরীক্ষাগারে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ঘটিত এই জৈব যৌগটি প্রস্তুত করেন।
প্রশ্ন-৯। আন্তঃআণবিক স্থান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোন পদার্থের মধ্যে বিদ্যমান কণা বা অণুসমূহের পরস্পরের মধ্যে যে ফাঁকা স্থান থাকে তাকে আন্তঃআণবিক স্থান বলে।
প্রশ্ন-১০। চিনি কি? চিনির রাসায়নিক নাম কি?
উত্তরঃ চিনি হচ্ছে একটি রাসায়নিক যৌগিক পদার্থ, যা মূলত কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নামের তিনটি ভিন্ন মৌলিক পদার্থের উপাদান দিয়ে তৈরি। চিনির রাসায়নিক নাম হলো সুক্রোজ।
প্রশ্ন-১১। আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি।
- আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না, কিন্তু গলিত এবং দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
- আয়নিক যৌগসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয়।
- অপোলার দ্রাবকে আয়নিক যৌগ দ্রবীভূত হয় না।
- আয়নিক যৌগে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান থাকে।
- ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে আয়নিক যৌগ গঠিত হয়।
- সকল আয়নিক যৌগে প্রতিটি আয়ন তার চতুর্দিকে বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।
প্রশ্ন-১২। পরমাণু ইলেকট্রন কক্ষপথ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনসমূহ যে নির্দিষ্ট পথে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমণ করে বলে কল্পনা করা হয়, তাকে পরমাণুর ইলেকট্রন কক্ষপথ বলে।
প্রশ্ন-১৩। পারমাণবিক ভর ধারণার প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ পারমাণবিক ভর ধারণার প্রবর্তক জন ডাল্টন।
প্রশ্ন-১৪। মূলক কাকে বলে?
উত্তরঃ চার্জযুক্ত পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছকে মূলক বলে। যেমনঃ O²-; K+; SO₄²- ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৫। স্থূল সংকেতের তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ স্থূল সংকেতের তাৎপর্য নিম্নরূপঃ
- কোন যৌগ কি কি মৌল দ্বারা গঠিত তা স্থূল সংকেতের সাহায্যে জানা যায়।
- কোন যৌগে বিদ্যামান মৌল সমূহের পরমাণুর সংখ্যার অনুপাত জানা যায়।
প্রশ্ন-১৬। বিক্রিয়ক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থসমূহকে বিক্রিয়ক বলে।
প্রশ্ন-১৭। পরিমাণগত তাৎপর্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তাৎপর্যের মাধ্যমে কোন রাসায়নিক সমীকরণের পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য বা তথ্য জানা যায় তাকে পরিমাণগত তাৎপর্য বলে।
প্রশ্ন-১৮। গুণগত তাৎপর্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তাৎপর্যের সাহায্যে কোন রাসায়নিক সমীকরণের শুধু গুণগত বৈশিষ্ট্য বা তথ্য জানা যায় তাকে গুণগত তাৎপর্য বলে। এই তাৎপর্যের সাহায্যে রাসায়নিক সমীকরণ হতে বিক্রিয়ক ও উৎপাদ সমূহের নাম জানা যায়।
প্রশ্ন-১৯। নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব মৌলের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন পূর্ণ থাকে তাদেরকে নিষ্ক্রিয় মৌল বলে।
প্রশ্ন-২০। মৌলের যোজনী কখন শূন্য হয়?
উত্তরঃ কোন মৌল যখন যৌগ গঠন না করে একক অবস্থায় থাকে তখন তার যোজনী শূন্য হয়। কারণ কোন মৌলের যৌগ গঠন করার ক্ষমতাই হলো ঐ মৌলের যোজনী।