পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৩)

প্রশ্ন-১. তরঙ্গের উপরিপাতন কাকে বলে?
উত্তর : একাধিক তরঙ্গ একই সময়ে একই মাধ্যমের মধ্যদিয়ে অগ্রসর হলে ঐ মাধ্যমে সকল তরঙ্গের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, একে তরঙ্গের উপরিপাতন বলে।
প্রশ্ন-২. ফ্লাক্স ঘনত্ব কাকে বলে?
উত্তর : একক ক্ষেত্রফল দিয়ে লম্বভাবে অতিক্রমকারী চৌম্বক বলরেখার সংখ্যাকে ফ্লাক্স ঘনত্ব বলে।
প্রশ্ন-৪. তড়িচ্চালক বল কাকে বলে?
উত্তর : এক কুলম্ব আধানকে বর্তনীর কোনো বিন্দু হতে তড়িৎ উৎসসহ সমগ্র বর্তনী ঘুরিয়ে পুনরায় ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয়, তাকে ঐ তড়িৎ উৎসের তড়িচ্চালক বল বলে।
প্রশ্ন-৫. তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : প্রতি একক আধানকে কোষ সমেত কোন বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয় অর্থাৎ কোষ যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করে, তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।
প্রশ্ন-৬. ফটো ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তর : যথোপযুক্ত উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট আলোক রশ্মি কোন ধাতব পৃষ্ঠে আপতিত হলে ফটোতড়িৎ ক্রিয়ার ফলে তা থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রনকে ফটো ইলেকট্রন বলে।
প্রশ্ন-৭. মৌলিক একক ও লব্ধ একক কী?
উত্তর : যে সকল একক স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য এককের উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য একক এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক একক বলে। আর যেসব একক মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায় তাদের বলা হয় লব্ধ একক।
প্রশ্ন-৮. দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য 10V বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য 10V বলতে বুঝায়, বিন্দুদ্বয়ের মধ্যে 1C চার্জ স্থানান্তরে 10J কাজ সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন-৯. স্বীকার্য কাকে বলে?
উত্তর : কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব একটি সার্বিক বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করে নিলে তাকে স্বীকার্য বলে।
প্রশ্ন-১০. স্থানিক পর্যায়ক্রম কাকে বলে?
উত্তর : যখন কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তি স্থানের সাপেক্ষে হয়, তখন তাকে স্থানিক পর্যায়ক্রম বলে।
প্রশ্ন-১১. আয়তন গুনাংক কী?
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর আয়তন পীড়ন ও আয়তন বিকৃতির অনুপাত যে ধ্রুব সংখ্যা হয়, তাই আয়তন গুনাংক।
প্রশ্ন-১২. বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের স্বীকার্য দুটি লিখ।
উত্তর : বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের স্বীকার্য দুটি নিম্নরূপ-
১। পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুববেগে ধাবমান সকল প্রসঙ্গ কাঠামোতে অর্থাৎ জড় প্রসঙ্গ কাঠামোগুলোতে পদার্থবিজ্ঞানের যেকোনো সূত্র একই রকম সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
২। শূন্যস্থানে বা বায়ু মাধ্যমে আলোর বেগ ধ্রুব এবং এ বেগ আলোর উৎস ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক বেগের ওপর নির্ভরশীল নয়।
প্রশ্ন-১৩. অষ্টক কাকে বলে?
উত্তর : স্বরে উপস্থিত কোনো উপসুরের কম্পাঙ্ক মূলসুরের কম্পাঙ্কের সরল গুণিতক হলে ঐ উপসুরকে অষ্টক বলে।
প্রশ্ন-১৪. মহাজাগতিক বস্তুর মুক্তি বেগ কাকে বলে?
উত্তর : কোন মহাজাগতিক ভারী বস্তুর পৃষ্ঠ থেকে সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র যে বেগে কোনো বস্তুকে নিক্ষেপ করলে তা ঐ ভারী বস্তু আকর্ষণ বলয় থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় অর্থাৎ আর কখনও ঐ বস্তুর পৃষ্ঠে ফিরে আসে না তাকে ঐ মহাজাগতিক বস্তুর মুক্তি বেগ বলে।
প্রশ্ন-১৫. পয়সনের অনুপাত কাকে বলে?
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পার্শ্ব বিকৃতি ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাতকে পয়সনের অনুপাত বলে।
প্রশ্ন-১৬. সীমাবদ্ধ ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর : যে ভেক্টরের পাদবিন্দু নির্দিষ্ট বা যে ভেক্টরের পাদবিন্দু ইচ্ছানুযায়ী পরিবর্তন করা যায় না, তাকে সীমাবদ্ধ ভেক্টর বলে।
প্রশ্ন-১৭. স্প্রিংয়ের বল ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর : কোনো স্প্রিংয়ের দৈর্ঘ্য একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করতে হয় তাকে স্প্রিংয়ের বল ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-১৯. বিভব বিভাজক কি?
উত্তর : বিভব বিভাজক এমন একটি ব্যবস্থা যা দ্বারা কোনো বিভব পার্থক্যকে নির্দিষ্ট অনুপাতে বিভক্ত করা যায়।
প্রশ্ন-২০. প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে? উত্তর : কোনো বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করতে হলে আমাদেরকে প্রথমে একটি ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা ঠিক করে নিতে হয়, যার সাপেক্ষে ঐ বস্তুর অবস্থান এবং স্থিতি বা গতিয় অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *