চতুর্থ অধ্যায় : অণুজীব, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রশ্ন-১। এনভেলপ (Envelope) কাকে বলে? এনভেলপ এর গঠন?
উত্তরঃ কিছু সংখ্যক প্রাণী ভাইরাস, খুব কম সংখ্যক উদ্ভিদ ও ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাসে ক্যাপসিডের বাইরে একটি ১০-১৫ nm পুরু আবরণ থাকে, একে এনভেলপ (Envelope) বলে। এটি প্রোটিন, লিপিড ও শর্করা নিয়ে গঠিত। এনভেলপের গঠনগত একককে পেলপোমিয়ার (pelpomere) বলে। এনভেলপযুক্ত ভাইরাসকে লিপোভাইরাস (Lipovirus) বলা হয়। এনভেলপের বহিঃতল মসৃণ বা কাঁটাযুক্ত হতে পারে, কাঁটাগুলোকে স্পাইক (Spike) বলে। এনভেলপবিহীন ভাইরাসকে নগ্ন ভাইরাস (naked virus) বলে।

প্রশ্ন-২। ব্যাকটেরিওফাজ কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার দেহাভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংসকারী ভাইরাসকে ব্যাকটেরিওফাজ বলে।

প্রশ্ন-৩। লাইটিক চক্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে সংখ্যাবৃদ্ধি সমপন্ন করে ও অপত্য ভাইরাসগুলো পোষক দেহের বিদারণ বা লাইসিস ঘটিয়ে নির্গত হয় তাকে লাইটিক চক্র বলে।

প্রশ্ন-৪। পরজীবী কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব জীব আজীবন বা জীবনের কোনো এক বা একাধিক পর্যায়ে জীবনধারণের জন্য ভিন্ন প্রজাতিভুক্ত জীবদেহে (ভেতরে বা বাইরে) বাস করে, তাকে পরজীবী বলে।

প্রশ্ন-৫। পোষক কাকে বলে?
উত্তরঃ পরজীবী যে জীবের দেহে বসবাস করে পুষ্টি সংগ্রহ করে এবং ঐ জীবের ক্ষতি সাধন করে, সে জীবকে পোষক বলে।

প্রশ্ন-৬। সাইজোগনি কাকে বলে?
উত্তরঃ মানবদেহে সংঘটিত Plasmodium-এর অযৌন জননকে সাইজোগনি বলে।

প্রশ্ন-৭। রোগের সুপ্তাবস্থা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবাণু প্রবেশ করার পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে রোগের সুপ্তাবস্থা বলে।

প্রশ্ন-৮। এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি কাকে বলে?
উত্তরঃ মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অযৌন জননকে এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি বলে।

প্রশ্ন-৯। ভাইরাস কি?
উত্তরঃ ভাইরাস অর্থ বিষ। এটি নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত অতি ক্ষুদ্র পরজীবী, যা শুধুমাত্র জীবিত কোষেই জীবনের কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে।

প্রশ্ন-১০। ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভাইরাসের দেহে কোষপ্রাচীর, প্লাজমালেমা, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদির কিছু না থাকার কারণে ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলে। এটি শুধু নিউক্লিয় এসিড ও প্রোটিন আবরণে গঠিত।

ব্যাসিলাস কি?
উত্তরঃ ব্যাসিলাস হলো লম্বা দণ্ডের ন্যায় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। এরা মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ ব্যাসিলাস দ্বারা সৃষ্টি হয়।

পেঁপের রিং স্পট রোগ কে ঘটায়?
উত্তরঃ Potyvirus গণের PRSV-P নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ রোগ হয়।

পেঁপের রিং স্পট রোগের লক্ষণ কী?
উত্তরঃ পেঁপের রিং স্পট রোগের লক্ষণ হলো–
১। কাণ্ডে সবুজ বর্ণের আকাবাকা দাগ।
২। পাতায় বিকৃতিসহ গোল দাগ, সবুজ-হলুদের নকসা ও পাতা কুকড়ে যাওয়া।
৩। ফল-এ গাঢ় সবুজ বর্ণের রিং এর মতো দাগ এবং ফোলাফোলা ভাব।

ব্যাকটেরিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিম্নরূপঃ

  • মৃত জীবদেহ ও আবর্জনা পঁচতে সাহায্য করে।
  • একমাত্র ব্যাকটেরিয়াই প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।
  • পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
  • দই তৈরি করতে ও ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য নিতে হয়।
  • বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
  • ব্যাকটেরিয়া জীন প্রকৌশলের মূল ভিত্তি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবের কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য পাওয়ার জন্য জীনগত পরিবর্তনের কাজে ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *