একাদশ অধ্যায় : আলো, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। চোখের শ্বেতমণ্ডলের সামনের অংশকে কী বলে?

উত্তরঃ কর্নিয়া।

প্রশ্ন-২। মানবচক্ষুর আলোকগ্রাহী অংশ কোনটি?

উত্তরঃ রেটিনা।

প্রশ্ন-৩। চোখের শ্বেতমণ্ডল মূলত কী?

উত্তরঃ অস্বচ্ছ আবরণ।

প্রশ্ন-৪। চোখের রেটিনার রং কোনটি?

উত্তরঃ গোলাপী।

প্রশ্ন-৫। মানব চক্ষুর প্রধান অংশ কয়টি?

উত্তরঃ ৯ টি।

প্রশ্ন-৬। এক আলোক বর্ষ=কত?

উত্তরঃ 9460800 মিলিয়ন কিলোমিটার।

প্রশ্ন-৭। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফলে কী সৃষ্টি হয়

উত্তরঃ মরীচিকা।

প্রশ্ন-৮। ভিট্রিয়াস হিউমার কার মধ্যবর্তী অংশে থাকে?

উত্তরঃ লেন্স ও রেটিনা।

প্রতিসরণ কোণের মান সর্বোচ্চ কত ডিগ্রি হতে পারে?

উত্তর : প্রতিসরণ কোণের মান সর্বোচ্চ ৯০ ডিগ্রি হতে পারে।

আলোকচিত্রগ্রাহী ক্যামেরার কাজ কিসের মতো?

উত্তর : আলোকচিত্রগ্রাহী ক্যামেরার কাজ মানবচক্ষুর মতো।

বিবর্ধক কাচে কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : বিবর্ধক কাচে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।

অক্ষিগোলক কাকে বলে?

উত্তরঃ চোখের কোটরে অবস্থিত গোলাকার অংশকে অক্ষিগোলক বলে।

অক্ষিগোলক কাকে বলে?

উত্তর : চোখের কোটরে অবস্থিত গোলাকার অংশকে অক্ষিগোলক বলে।

কর্নিয়া কী?

উত্তর : শ্বেতমণ্ডলের সামনের অংশ হলো কর্নিয়া।

অ্যাকুয়াস হিউমার কী?

উত্তরঃ চোখের লেন্স ও কর্নিয়ার মধ্যবর্তী যে স্থান এক প্রকার স্বচ্ছ জলীয় পদার্থে ভর্তি থাকে তাই হলো অ্যাকুয়াস হিউমার।

আইরিশ কী?

উত্তর : এটি কর্নিয়ার ঠিক পেছনে অবস্থিত একটি অস্বচ্ছ পর্দা। পর্দাটি স্থান ও ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন রঙের (নীল, গাঢ় বাদামি, কালো) ইত্যাদি হয়ে থাকে।

ভিট্রিয়াস হিউমার কী?

উত্তর : চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশ একপ্রকার জেলি জাতীয় পদার্থে পূর্ণ থাকে। একে বলা হয় ভিট্রিয়াস হিউমার।

মানুষের চোখের লেন্সের নাম কী?

উত্তর : মানুষের চোখের লেন্সের নাম উত্তল লেন্স।

ডায়াফ্রাম কী?

উত্তর : ডায়াফ্রাম ক্যামেরার লেন্সের পেছনে অবস্থিত একটি ছিদ্রপথ, যাকে ছোট-বড় করে লেন্সের উন্মেষ পরিবর্তন করা হয় এবং প্রয়োজনমতো আলো ফিল্মের ওপর ফেলা হয়।

আপতন কোণ কাকে বলে?

উত্তর : আপতিত রশ্মি ও বিভেদ তলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্বের মধ্যকার কোণকে আপতন কোণ বলে।

ক্রান্তি কোণ কাকে বলে?

উত্তরঃ আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম হতে হালকা মাধ্যমে আপতিত হলে আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান ৯০° হয় অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তল ঘেষে যায়, আপতন কোণের সেই মানকে ক্রান্তি কোণ বলে।

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ আলো এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় এর গতিপথের পরিবর্তনকেই আলোর প্রতিসরণ বলে।

পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন কী?

উত্তর : আপাতন কোণ যদি সংকট কোণের চেয়ে বড় হয় তাহলে আলোকরশ্মি প্রতিসরিত না হয়ে বিভেদ তল থেকে একই মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে। এ ঘটনায় হলো পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।

সংকট কোণ কাকে বলে?

উত্তরঃ আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম হতে হালকা মাধ্যমে আপতিত হওয়ার সময় আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তল ঘেঁষে যায় তাকে সংকট কোণ বলে।

ক্যামেরা কী?

উত্তর : ক্যামেরা একপ্রকার যন্ত্র, যা দ্বারা আলোকিত বস্তুর চিত্র লেন্সের সাহায্যে আলোকচিত্রগ্রাহী পাতের ওপর গ্রহণ করা হয়।

আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তনের কারণ কি?

উত্তরঃ আমরা জানি, হালকা মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি আবার ঘনমাধ্যমে আলোর বেগ কম। তাই আলো যখন হালকা মাধ্যম হতে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্বের দিকে এবং বিপরীত ক্রমে আলো ঘন মাধ্যম হতে হালকা মাধ্যমে যাওয়ার সময় প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্ব হতে দূরে সরে যায়। আলোর দ্রুত বা ধীরে চলা নির্ভর করে ঐ মাধ্যমের আলোকীয় ঘনত্বের উপর। অতএব, মাধ্যমের ঘনত্বের ভিন্নতার কারণেই আলো ভিন্ন মাধ্যমে এর গতিপথ পরিবর্তন করে।

অপটিক্যাল ফাইবার বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : অপটিক্যাল ফাইবার হলো একটি খুব সরু কাচ তন্তু। এটা মানুষের চুলের মতো চিকন এবং নমনীয়। আলোকরশ্মিকে বহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। আলোকরশ্মি যখন এই কাচতন্তুর মধ্যে প্রবেশ করে তখন এর দেয়ালে পুনঃপুন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটতে থাকে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে আলোকরশ্মি কাচতন্তর অপর প্রান্ত দিয়ে বের না হওয়া পর্যন্ত। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণের জন্য এবং টেলিকমিউনিকেশনের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হয়।

ম্যাগনিফাইং গ্লাস কেন ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ম্যাগনিফাইং গ্লাসে উত্তল লেন্স থাকে। কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে কোনো বস্তুকে স্থাপন করে লেন্সের অপর পাশ থেকে বস্তুটিকে দেখলে বস্তুটির একটি সোজা, বিবর্ধিত ও অবাস্তব প্রতিবিম্ব দেখা যায়। যে সমস্ত লেখা বা বস্তু চোখে পরিষ্কার দেখা যায় না তা স্পষ্ট ও বড় করে দেখার জন্য উত্তল লেন্স দ্বারা তৈরিকৃত ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করা হয়।

আলোর বেগ মাধ্যমের উপর নির্ভর করে- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আলো এক ধরনের শক্তি যা চোখে প্রবেশ করে দর্শনের অনুভূতি জন্মায়। এই আলোর বেগ মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে। কারণ মাধ্যমভেদে আলোর বেগের পরিবর্তন হয়ে থাকে। আলোর বেগ মাধ্যমের ঘনত্বের ব্যাস্তানুপাতিক। অর্থাৎ মাধ্যমের ঘনত্ব বাড়লে আলোর বেগ কমে। শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।

বিবর্ধক কাচে বস্তু বড় দেখায় কেন?

উত্তর : উপযুক্ত ফ্রেমে আবদ্ধ উত্তল লেন্সই হলো বিবর্ধক কাচ।

কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে কোনো বস্তুকে স্থাপন করে লেন্সের অপর পাশ থেকে বস্তুটিকে দেখলে বস্তুটির একটি সোজা, বিবর্ধিত ও অবাস্তব বিম্ব দেখা যায়। এখন এই বিম্ব চোখের যত কাছে গঠিত হবে চোখের বীক্ষণ কোণও তত বড় হবে এবং বিম্বটিকেও বড় দেখাবে। এ কারণেই বিবর্ধক কাচে বস্তু বড় দেখায়।

ক্যামেরা ও মানুষের চোখের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ ক্যামেরা ও মানুষের চোখের মধ্যে পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ

ক্যামেরা

  • ক্যামেরার কালো রঙের বুদ্ধ প্রকোষ্ঠ আলোর প্রতিফলন হতে দেয় না।
  • ক্যামেরার সাটারের সাহায্যে লেন্সের মুখ খোলা ও বন্ধ করা যায়।
  • ডায়াফ্রামের ছিদ্রপথ ছোট বড় হয়ে প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আলো প্রবেশে সহায়তা করে।
  • নির্দিষ্ট ফোকাস দূরত্বের লেন্স থাকে।
  • আলোক চিত্রগ্রাহী প্লেটে লক্ষ্যবস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
  • অভিসারী লেন্সের সাহায্যে ক্যামেরায় লক্ষবস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

 

মানুষের চোখ

  • চোখের অক্ষিগোলকের কৃষ্ণপ্রাচীর রুদ্ধ আলোক প্রকোষ্ঠের মতো কোনো আলোর প্রতিফলন হতে দেয় না।
  • চোখের পাতার সাহায্যে চক্ষু লেন্সের মুখ খোলা ও বন্ধ করা যায়।
  • কর্ণিয়ার ছিদ্রপথ আলো তীব্রভাবে সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে আলো প্রবেশে সহায়তা করে।
  • পেশি বন্ধনীর সাহায্যে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তন করা যায়।
  • আলোক সুবেদী অক্ষিপটে লক্ষ্যবস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
  • কর্ণিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, চক্ষু লেন্স, ভিট্রিয়াস হিউমার একত্রে একটি অভিসারী লেন্সের কাজ করে।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “একাদশ অধ্যায় : আলো, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

Similar Posts