দ্বিতীয় অধ্যায় : গুণগত রসায়ন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রসায়ন ১ম পত্র

প্রশ্ন-১. কোয়ান্টাম সংখ্যা কী?

উত্তর : কোনো একটি ইলেকট্রন কোন অরবিটালে আছে, অরবিটালটি বৃত্তাকার না উপবৃত্তাকার, ইলেকট্রন নিজ অক্ষের চারিদিকে ঘড়ির কাঁটার দিকে না ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে পরিভ্রমণ করে, এসব বিষয় প্রকাশের জন্য যে কয়েকটি সংখ্যার অবতারণা করা হয় তাই কোয়ান্টাম সংখ্যা।

প্রশ্ন-২. পলির বর্জন নীতি কী?

উত্তর : পলির বর্জন নীতিটি হলো– একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো একই হতে পারে না।

প্রশ্ন-৩. অরবিট (Orbit) কী?

উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রন আবর্তনের জন্য কতকগুলো সুনির্ধারিত শক্তিবিশিষ্ট শক্তিস্তর বা কক্ষপথ রয়েছে। এদেরকে অরবিট বলে।

প্রশ্ন-৪. Rf কী?

উত্তর : Rf এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Retardation Factor Value। দ্রাবক ও দ্রব্যের গতিবেগের আনুপাতিক হারকে Rf দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Rf এর মান সর্বদা 1 থেকে কম হয়।

প্রশ্ন-৫. GC এর অর্থ কী?

উত্তর : GC এর অর্থ Gas Chromatography বা, গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি।

প্রশ্ন-৬. স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা কী?

উত্তর : নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ইলেকট্রনের ঘূর্ণনের দিক প্রকাশকারী সংখ্যাকে স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-৭. বিকীর্ণ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ উৎস হতে শক্তি স্থানান্তরকে বিকীর্ণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন-৮. মোলার দ্রাব্যতা কাকে বলে?

উত্তর : দ্রবণে যত মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তার সংখ্যাকে ঐ দ্রবণের মোলার দ্রাব্যতা বলে।

প্রশ্ন-৯. সক্সলেট নিষ্কাশন কাকে বলে?

উত্তর : কঠিন দশা হতে নির্দিষ্ট দ্রাবক ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত জৈব যৌগকে পৃথকীকরণ করার পদ্ধতিকে সক্সলেট নিষ্কাশন বলে।

প্রশ্ন-১০. ক্রোমাটোগ্রাফি (Chromatography) কাকে বলে?
উত্তর :
 যে বিশ্লেষণী পদ্ধতিতে একটি সচল মাধ্যমকে একটি স্থির মাধ্যমের মধ্যে প্রবাহিত করে কোনো রাসায়নিক মিশ্রণের বিভিন্ন উপাদানগুলোকে পরিশোষণ মাত্রা বা বণ্টন গুণাংকের উপর ভিত্তি করে আলাদা করা হয়, তাকে ক্রোমাটোগ্রাফি (Chromatography) বলে।

গ্যাস-তরল ক্রোমাটোগ্রাফি বলতে কী বোঝ?

উত্তর : গ্যাস-তরল ক্রোমাটোগ্রাফি এক ধরনের পার্টিশন ক্রোমাটোগ্রাফি, যেখানে চলমান দশাটি একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস এবং স্থির দশাটি কঠিন পৃষ্ঠদেশের ওপর অধিশোষিত উচ্চ স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট তরল। নমুনাকে গ্যাসীয় দশায় অন্তঃক্ষেপ (inject) করা হয়। যেখানে নমুনা বাষ্পীভূত হয়ে তরল দশায় (কলামে) প্রবাহিত হয়। স্থির দশায় উপাদানসমূহের আপেক্ষিক আসক্তির ওপর নির্ভর করে পৃথকীকরণ সম্পন্ন হয়। নমুনায় বাম্প, গ্যাস এবং তরল দশায় বিভাজিত হওয়ার কারণে উপাদানসমূহ বিশ্লিষ্ট হয়।

ব্রাউনীয় গতি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কোন তরলে ক্ষুদ্র কণার তাপীয় গতি দেখতে পাওয়া যায়। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট ব্রাউন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের অভ্যন্তরীণ গঠন পরীক্ষার সময় এটি প্রথম লক্ষ্য করেন। তাই তার নাম অনুসারে এই গতিকে ব্রাউনীয় গতি বলা হয়।

বিভিন্ন বিজ্ঞানীর পরীক্ষার ফলাফলে ব্রাউনীয় গতির নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি পরিলক্ষিত হয়।

১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কণাগুলির গতি বৃদ্ধি পায়।

২) কণাগুলি যত ছোট হয় তাদের গতি তত বেশি হয়।

৩) তরলের সান্দ্রতা যত কম হয় কণাগুলির গতি তত বৃদ্ধি পায়।

৪) ব্রাউনীয় গতি অনিয়মিত, অবিচ্ছিন্ন, এলোমেলো ও বিক্ষিপ্ত।

৫) পাত্রের নড়াচড়ার উপর কণাগুলির গতি নির্ভরশীল নয়।

রেখা বর্ণালির সাহায্যে মৌল বা পরমাণু সনাক্তকরণের মূলনীতি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : মৌল বা মৌলিক পদার্থ সনাক্তকরণের জন্য পারমাণবিক বর্ণালিমিতি একটি উত্তম পদ্ধতি। পারমাণবিক বর্ণালিতে অসংখ্য সূক্ষ্ম বিভক্তিকৃত রেখা উপস্থিত থাকে। কিন্তু নমুনার মধ্যে ঐ মৌলের পরিমাণ কম থাকলে অসংখ্য বর্ণালি রেখা থেকে কিছু কিছু রেখা উধাও হয়ে যেতে থাকে। তবে কয়েকটি রেখা নাছোড় বান্দার মতো শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। তাই এই রেখাগুলোকে নাছোড় রেখা (Raise Ultimes) বলা হয়। কোনো মৌল সনাক্তকরণের সময় এই নাছোড় রেখাগুলোই (Raise Ultimes) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এক-একটি মৌলের জন্য এক-এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নাছোড় রেখা (Raise Ultimes) পাওয়া যায়। এজন্য একটি আদর্শ বর্ণালির সাথে যে কোনো একটি পরমাণুর নাছোড় রেখাগুলোকে তুলনা করা হয়। যেমন- বাজারে আর.ইউ পাউডার নামে এক ধরনের পাউডার পাওয়া যায়। যার মধ্যে কমপক্ষে পঞ্চাশটি মৌলিক পদার্থ থাকে। যাকে উত্তেজিত করলে কেবল নাছোড় রেখাগুলোর বর্ণালি বিকিরণ করে। তাই কোনো একটি নমুনার নাছোড় বর্ণালিগুলোকে আদর্শ আর.ইউ (R.U.) পাউডারের বর্ণালির পাশাপাশি স্থাপন করলে ঐ নমুনায় যে কয়টি পরমাণু আছে তা সনাক্ত করা যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *