অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ৭ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
ওজন কী রাশি?
উত্তরঃ ওজন ভেক্টর রাশি।
ভরের একক কী?
উত্তরঃ ভরের একক কিলোগ্রাম বা কেজি (Kg)।
ভূ-পৃষ্ঠে g-এর মান ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২ এর অর্থ কী?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২ হারে বৃদ্ধি পায়।
ভর কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুতে পদার্থের পরিমাণকে ভর বলে।
মহাকর্ষ কী?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী আকর্ষণই হলো মহাকর্ষ।
মহাকাশ কী?
উত্তরঃ গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্যালাক্সি ইত্যাদির মাঝখানের খালি জায়গাই হলো মহাকাশ।
মাধ্যাকর্ষণ কী?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণই হলো মাধ্যাকর্ষণ।
মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলে।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি হলো— মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
অভিকর্ষজ ত্বরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
অভিকর্ষজ ত্বরণকে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক মিটার/সেকেন্ড২। পৃথিবীর সব জায়গায় অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সমান না হলেও বেশ কাছাকাছি। হিসাবের সুবিধার জন্য ভূপৃষ্ঠে g-এর আদর্শ মান ধরা হয় ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২।
অভিকর্ষকে এক ধরনের মহাকর্ষ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। কিন্তু পৃথিবী ও এর উপরস্থ কোনো বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণকে অভিকর্ষ বলে। যেহেতু পৃথিবী ও ঐ বস্তু এই মহাবিশ্বেরই দুটি বস্তু তাই অভিকর্ষকে এক ধরনের মহাকর্ষ বলা হয়।
ভর ও ওজনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ ভর ও ওজনের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
i. কোনো বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণই হলো ঐ বস্তুর ভর। অপরদিকে, কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাই বস্তুর ওজন।
ii. আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ভরের একক কিলোগ্রাম। পক্ষান্তরে, আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ওজনের একক নিউটন।
বিশ্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলতে কী বোঝ?
১ কেজি ভরের দুটি বস্তু পরস্পর থেকে ১ মিটার দূরে যে বলে আকর্ষণ করে তাই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। একে G দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান ৬.৬৭৩ x ১০−১১ Nm2kg-2। এই মান মহাবিশ্বের যে কোন বস্তু এবং যে কোনো স্থানের জন্য সর্বদা একই বা ধ্রুবক থাকে। এ কারণে একে বিশ্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবকও বলা হয়।
অভিকর্ষ ও মহাকর্ষের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ অভিকর্ষ ও মহাকর্ষের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো-
অভিকর্ষ
- পৃথিবীর সাথে কোনো বস্তুর আকর্ষণ বল হচ্ছে অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ।
- অভিকর্ষজ বল এক ধরনের মহাকর্ষ।
মহাকর্ষ
- মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল হচ্ছে মহাকর্ষ।
- সকল মহাকর্ষজ বল অভিকর্ষ নয়।
লিফট যখন নিচে নামতে শুরু করে তখন লিফটযাত্রী নিজেকে হালকা অনুভব করে কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ লিফট যাত্রী যখন স্থির লিফটে দাঁড়ায় তখন লিফট তার ওজনের সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। ফলে সে তার ওজনের অস্তিত্ব টের পায়। লিফট যখন নিচে নামতে শুরু করে তখন স্থির অবস্থান থেকে একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয় এবং লিফটের সাপেক্ষে যাত্রীর ত্বরণ g (অভিকর্ষজ ত্বরণ)-এর চেয়ে কম হয়। ফলে এ ত্বরণ নিয়ে লিফট যাত্রী নিজের ওজনের চেয়ে কম ওজনের বল লিফটের উপর প্রয়োগ করে। তাই লিফট যাত্রী নিজেকে হালকা মনে করে।