বায়ুমণ্ডলের স্তরকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো :
১. ট্রপোমণ্ডল
২. স্ট্রাটোমণ্ডল
৩. মেসোমণ্ডল
৪. তাপমণ্ডল
১। ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর, যা ভূপৃষ্ঠের সাথে লেগে আছে তাকে ট্রপোমণ্ডল বলে। জীবজগতের জন্য এ স্তরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ স্তরের শেষ প্রান্তের নাম ট্রপোবিরতি। মেরু অঞ্চলে এ স্তরের গভীরতা ৮ কি.মি. এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৬-১৯ কি.মি.।
বৈশিষ্ট্য :
১. উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা ও ঘনত্ব কমতে থাকে।
২. উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়।
৩. জলীয়বাষ্প নিচের দিকে থাকে।
৪. আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়া এ স্তরে ঘটে।
৫. এ স্তরটি শীতকালে সংকুচিত ও গ্রীষ্মকালে প্রসারিত থাকে।
৬. সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ এ স্তরের তলদেশে অবস্থান করে।
২। স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
ভূপৃষ্ঠের ১২.৮৭ কি.মি. ওপর থেকে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলীয় স্তরকে স্ট্রাটোমণ্ডল বলে। ওজোন গ্যাসের বেশির ভাগ এ স্তরে বিদ্যমান, যা সূর্যের আলো থেকে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে নেয়।
৩। মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
স্ট্রাটোবিরতির উপরে প্রায় ৮০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে মেসোমণ্ডল বলে এই স্তরের উপরে তাপমাত্রি হ্রাস পাওয়া থেমে যায়।
৪। তাপমণ্ডল (Thermosphere)
মেসোবিরতির ওপরের অংশকে তাপমণ্ডল (Thermosphere) বলে। এটি থার্মোস্ফিয়ার নামেও পরিচিত। এ স্তর গামা রশ্মি ও এক্স-রে শোষণ করে নেয়। এছাড়া এ স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।