ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় : উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন
কোষ কী?
উত্তরঃ কোষ হলো জীবদেহের গাঠনিক ও কার্ষিক একক।
কোষ আবিষ্কার করেন কে?
উত্তরঃ কোষ আবিষ্কার করেন লিউয়েন হুক।
প্রোটোপ্লাজম কী?
উত্তরঃ কোষপ্রাচীরের অভ্যন্তরে পাতলা পর্দা বেষ্টিত জেলীর ন্যায় অর্ধতরল বস্তুটিই হলো প্রোটোপ্লাজম।
কোষঝিল্লী কী?
উত্তরঃ সম্পূর্ণ প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে নরম পর্দা দেখা যায় তাকে কোষঝিল্লী বলে।
কোষের কোন অঙ্গকে শক্তির আধার বলে?
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তির আধার বলে।
নিউক্লিওলাস কাকে বলে? নিউক্লিওলাসের কাজ কি?
উত্তরঃ নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে ক্রোমোজোমের সাথে সংলগ্ন গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে। এরা RNA ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়।
নিউক্লিওলাসের কাজ- i. বিভিন্ন প্রকার RNA সংশ্লেষণ করে; ii. প্রোটিন সংশ্লেষণ করে; iii. উৎপাদিত প্রোটিন সংরক্ষণ করে; iv. নিউক্লিওটাইডের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে; V. রাইবোজোম প্রস্তুত করে।
প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তরঃ কোষ প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ স্বচ্ছ, আঠালো এবং জেলি সদৃশ অর্ধতরল সজীব যৌগিক পদার্থ হলো প্রোটোপ্লাজম। এতে জীবনের সব গুণাবলি বিদ্যমান। প্রোটোপ্লাজমই উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের সকল মৌলিক জৈবিক কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে। এ কারণে প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
ক্রোমাটিন তন্তুর ২টি কাজ লেখো।
উত্তরঃ ক্রোমাটিন তন্তুর ২টি কাজ হলো—
i. জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা।
ii. কোষের বৃদ্ধি বা যেকোনো ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা।
আবরণী কলার ২টি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ আবরণী কলার ২টি বৈশিষ্ট্য হলো—
i. এটি দেহের সবচেয়ে বাইরের স্তর।
ii. এটি বাইরের আঘাত থেকে ভেতরের অঙ্গাণুকে রক্ষা করে।
কোষগহ্বরের কাজ বর্ণনা কর।
উত্তরঃ নিচে কোষগহ্বরের কাজ বর্ণনা করা হলোঃ
i. কোষরসের জন্য আধার হিসেবে কাজ করে।
ii. বিভিন্ন প্রকার অজৈব লবণ, আমিষ, শর্করা, চর্বি জাতীয় পদার্থ, জৈব এসিড, রঞ্জক পদার্থ, পানি ইত্যাদি এই কোষরসে থাকে।
iii. কোষের উপর কোনো চাপ এলে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
কোষপ্রাচীরেরর কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ নিচে কোষপ্রাচীরেরর কাজগুলো উল্লেখ করা হলো–
- কোষপ্রাচীর কোষের আকার প্রদান করে।
- কোষপ্রাচীর কোষের ভেতর ও বাইরের মধ্যে তরল পদার্থ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
- কোষের ভেতরের অংশকে রক্ষা করে।
মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কেন?
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে শক্তি উৎপাদনের প্রায় সকল বিক্রিয়া ঘটে থাকে। এর প্রধান কাজ শ্বসন প্রক্রিয়ার সাহায্যে শক্তি উৎপাদন করা। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলে।
উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের তিনটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের তিনটি পার্থক্য হলো-
উদ্ভিদকোষ
- এই কোষে কোষপ্রাচীর থাকে।
- এতে প্লাস্টিড থাকে।
- এতে সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ।
প্রাণী কোষ
- এই কোষে কোষপ্রাচীর থাকে না।
- এতে প্লাস্টিড থাকে না।
- এতে সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।