প্রথম অধ্যায় : গৃহ ব্যবস্থাপনা, নবম-দশম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

গৃহ ব্যবস্থাপনা কি?

উত্তরঃ গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো পারিবারিক জীবনযাপনের প্রশাসনিক দিক। পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদ ব্যবহারে পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করাই হচ্ছে গৃহ ব্যবস্থাপনা।

মানুষের জীবনের লক্ষ্যসমূহ মূলত কোথায় অর্জিত হয়?

উত্তরঃ মানুষের জীবনের লক্ষ্যসমূহ মূলত গৃহেই অর্জিত হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ ধাপ কোনটি?

উত্তরঃ গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ ধাপ মূল্যায়ন।

সংগঠনের প্রথম পর্যায়ে কী করা হয়?

উত্তরঃ সংগঠনের প্রথম পর্যায়ে করণীয় কাজের বিভিন্ন অংশের ধারাবাহিক বিন্যাস করা হয়।

কাজ, কর্মী ও সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাকে কী বলে?

উত্তরঃ কাজ, কর্মী ও সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাকে সংগঠন বলে।

অভিযোজ্যতা করা বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যেকোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়াই অভিযোজ্যতা। পরিবর্তনশীল পরিবেশে বাস করার কারণে প্রায়ই আমাদের নানা রকম পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। তখন সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাওয়ানোই হলো অভিযোজ্যতা। যেমন— বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে সময়মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বাড়িতে থাকলে তার বিশেষ যত্ন নিতে হয়। অথবা চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। এরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারাই হলো অভিযোজ্যতা।

গৃহ ব্যবস্থাপকের আত্মসংযম গুণটি থাকা প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ পারিবারিক সংকটকালে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই আত্মসংযম। একজন গৃহ ব্যবস্থাপকের আত্মসংযম গুণটি থাকা জরুরি। এর মাধ্যমে অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান করা যায়। আত্মসংযমের ক্ষমতা থাকলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা যায়।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যে কোনো পরিবর্তিত অবস্থায় বা সমস্যার সম্মুখীন হলে সে অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন বিকল্প থেকে সবচেয়ে উত্তম পন্থাটি বেছে নেওয়াই হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। সিদ্ধান্ত দলগত ও ব্যক্তিগত উভয় প্রকার হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কর্তব্য লেখো।

উত্তরঃ পরিবারের ছোটখাটো কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব গৃহ ব্যবস্থাপককে পালন করতে হয়। গৃহ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো হলো গৃহে সুষ্ঠু কর্ম ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, পরিবারের আয় ও ব্যয়ের ব্যবস্থা করা, পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা, সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠু ভোগ আচরণ গড়ে তোলা এবং কাজে আগ্রহী ও উদ্যোগী হওয়া।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *