৫ হাজার কোটি টাকা লুট, আ.লীগ নেত্রীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিকট থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া, নৌকা প্রতীকের জন্য টাকা খরচ না করে টাকার বিনিময়ে বিকল্প পথে বিজয় অর্জনের দিকেই প্রার্থীদের জোক বেশি ছিলো। এমন বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে দেশজুড়ে আবারও আলোচিত হয়ে উঠলেন নারী নেত্রী নাজনীন আলম।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৮মিনিটে সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এমন মন্তব্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত শেয়ার করেছেন ৪৭৩ জন, মন্তব্য করেছেন ১ হাজার ৯শ জন। লাইক-লাভ রিয়েক্ট ১৯ হাজারের অধিক। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নাজনীন আলম এর আগেও ‘আমার ফাঁসি চাই’সহ বিভিন্ন শিরোনামে একাধিক মন্তব্য করে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেন । তিনি ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হরিণ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

‘৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হলো আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে! শিরোনামে নারীনেত্রী নাজনীন আলম তার ফেসবুকে দেয়া মন্তব্যে দলীয় হাই কমান্ডের নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন।

স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হলো আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে!’

‘এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ হতে সামান্য কয়েকজন চেয়ারম্যান হলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছিল জয়-জয়কার। যেখানে নৌকার প্রার্থীর সাংগঠনিক শক্তি ছিল এবং অঢেল অর্থ ব্যয় করেছে, সেখানেই শুধু তারা বিজয়ী হতে পেরেছে; অন্যথায়, ফলাফল চলে গিয়েছে আ’লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘরে। তবে এবার নৌকা পাওয়ার জন্য টাকা খরচ না করে টাকার বিনিময়ে বিকল্প পথে বিজয় অর্জনের দিকেই প্রার্থীদের জোক বেশি ছিল।

নির্বাচন নিরপেক্ষ করার নামে কোনো কোনো প্রার্থীর নিকট থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। আবার নির্বাচনকে প্রভাবিত করে বিজয় পাইয়ে দেয়ার নামেও নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। দায়িত্ববান অরাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের দালাল চক্র লুটে নিয়েছে ৪৫৭১টি ইউনিয়নের আনুমানিক ২২,৮৫৫ জন (প্রতি ইউনিয়নে ৫ জন ধরে) চেয়ারম্যান এবং দুই লক্ষাধিক মেম্বার (প্রতি ইউনিয়নে ৫০ জন ধরে) প্রার্থীর বিপুল পরিমাণ অর্থ।

প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ৪০ লাখ হতে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হয়েছে; সারা দেশে যার পরিমাণ ৬/৭ হাজার কোটি টাকার কম হবে না। তার মধ্যে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কাছ থেকেই লুটে নেয়া হয়েছে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও অরাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অর্থ এভাবে লুটে নেয়াটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না; দলীয় হাই কমান্ডের নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। (উল্লেখ্য, এ লেখাটি দলীয় মনোনয়ন সংক্রান্ত নয়।) দলীয় স্বার্থে- নাজনীন আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য. ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ।

দলীয় নেতাকর্মীদের স্বার্থে দলীয় হাইকমান্ডের নজরে আনার জন্য তিনি তার ফেসবুকে এ মন্তব্য লিখেছেন বলে আরটিভি নিউজকে নিশ্চিত করেন নারী নেত্রী নাজনীন আলম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *