অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

মেগালিথ পাথর কোথায় পাওয়া গেছে?

উত্তরঃ জয়ন্তীয়াপুর।

মৌর্য বংশের শক্তিশালী সম্রাট কে ছিলেন?

উত্তরঃ অশোক।

চারুকলা কাকে বলে?

উত্তরঃ যে কারুকাজ বাহ্যিকভাবে কোনো কাজে লাগে না, কিন্তু মনের তৃপ্তি পাওয়া যায়, তাকে চারুকলা বলে।

চারুকলা বলতে শিল্পকলার বেশ কিছু ধারার একটি দলকে বোঝায়, যার মধ্যে অঙ্কন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সঙ্গীত, কাব্য, মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয় অন্তর্ভুক্ত।

বর্তমানে চারুকলায় সাধারণভাবে চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফি, ধারণাগত শিল্প ও প্রিন্টমেকিং যুক্ত হয়।

লোকশিল্পীদের শিল্পকর্মের পাঁচটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : লোকশিল্পীদের শিল্পকর্মের পাঁচটি উদাহরণ হলো— নকশিকাঁথা , শখের হাঁড়ি, কাঠের পুতুল, পোড়ামাটির হাতি ও মাটির কলস।

কারুশিল্পীদের শিল্পকর্মের পাঁচটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : কারুশিল্পীদের শিল্পকর্মের পাঁচটি উদাহরণ হলো— ফুলদানি, মাটির ভাস্কর্য, মাটির গয়না, বেতের চেয়ার, তাঁতের শাড়ি।

চারু ও কারুশিল্পীরা উপার্জন ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কাজ করে চলেছেন এমন দশটি বিষয় ও সংস্থানের নাম লেখো।

উত্তর : চারু ও কারুশিল্পীরা তাদের তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে জীবনযাপনের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকেন। পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যও তারা বিভিন্ন রকম শিল্প তৈরি করে থাকেন। চারু ও কারুশিল্পীরা উপার্জন ও সৌন্দর্যবর্ধনে যেসব জিনিস তৈরি করেছেন তার মধ্যে ১০ টি- হলো— i. পোড়ামাটির পুতুল, ii. শখের হাঁড়ি, iii. কাঠের নকশা, iv. নকশাবহুল পুতুল, vi. হাতি, vii. ঘোড়া, vili. কুমারদের তৈরি হাঁড়ি পাতিল, ix. কলসি, x. ফুলদানি।

কালো পাথরের ভাস্কর্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর : বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্মের মধ্যে শিল্প-নৈপুণ্য ও কারুকাজে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো কালো পাথরের ভাস্কর্য। ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরে কষ্টিপাথর বা কালো পাথরের ভাস্কর্য সংরক্ষিত আছে। প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ তথা মাটি খনন করে এটি আবিষ্কার করা হয়। কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলো প্রধানত পৌরাণিক দেব-দেবীর। এ মূর্তিগুলো তৎকালীন ধর্মাচারের প্রমাণ বহন করে। সেই সাথে প্রাচীনকালেই ভাস্কর্য শিল্পে বাংলার উন্নতির পরিচয় তুলে ধরে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *