এইচএসসি (HSC) পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ইলেকট্রিসিটি (Electricity) শব্দের কীভাবে উদ্ভব হয়েছে?

উত্তরঃ অ্যাম্বার (amber)-এর গ্রিক নাম ইলেকট্রন (electron) থেকে ইলেকট্রিসিটি (electricity) শব্দের উদ্ভব হয়েছে।

প্রশ্ন-২। তড়িতাহিত বস্তু কাকে বলে?

উত্তরঃ ঘর্ষণের ফলে যেসব বস্তু অন্য বস্তুকে আকর্ষণের ক্ষমতা অর্জন করে তাদেরকে তড়িতাহিত বস্তু বলে।

প্রশ্ন-৩। তড়িৎ কত রকমের হতে পারে?

উত্তরঃ তড়িৎ দু’রকমের হতে পারে। যথা– স্থির তড়িৎ ও চল তড়িৎ।

প্রশ্ন-৪। তড়িৎ বলের উপরিপাতন নীতি কী?

উত্তরঃ দুটি আধানের পরিবর্তে যদি অনেকগুলো আধান থাকে সেক্ষেত্রে একটি আধানের উপর অপর আধানগুলোর ক্রিয়াশীল বল পৃথকভাবে বের করে তাদের ভেক্টর যোগফল বের করলেই উক্ত আধানের উপর নিট (Net) বল পাওয়া যাবে। একে বলা হয় তড়িৎ বলের উপরিপাতন নীতি।

প্রশ্ন-৫। তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি আহিত বস্তুর চারিদিকে যে অঞ্চলব্যাপী তার প্রভাব বজায় থাকে অর্থাৎ অন্য কোনো আহিত বস্তু আনা হলে সেটি আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল লাভ করে সেই অঞ্চলকে ঐ আহিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র বলে।

প্রশ্ন-৬। ধারক কি?

উত্তরঃ ধারক এক ধরনের যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক শক্তি ও বৈদ্যুতিক আধান জমা রাখে।

প্রশ্ন-৭। ধারকের গঠন বর্ণনা করো।

উত্তরঃ দুইটি পরিবাহী পাতের মাঝে একটি পরাবৈদ্যুতিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে এটি গঠিত। ডাই-ইলেকট্রিক এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে পোলারায়িত হতে পারে। এ পদার্থ হতে পারে কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক বা শুধুই বাতাস।

প্রশ্ন-৮। ধারকত্বের সংজ্ঞা কি? (What is definition of Capacitance?)

উত্তরঃ কোনো ধারকের বিভব এক একক বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ আধানের প্রয়োজন হয়, তাকে উক্ত ধারকের ধারকত্ব  বলে। একে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ধারকত্ব ধারকের আকার, মাধ্যমের প্রকৃতি এবং অন্য বস্তুর সান্নিধ্যের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন-৯। ফ্যারাড (Farad) কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো ধারকের বিভব এক একক বৃদ্ধি করতে যদি এক কুলম্ব আধানের প্রয়োজন হয়, তবে এর ধারকত্বকে এক ফ্যারাড বলে। একে সংক্ষেপে F দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১০। ধারকের সংযোগ কাকে বলে?

উত্তরঃ বিশেষ কাজ একাধিক ধারককে একত্রে ব্যবহার করাকে ধারকের সংযোগ বলে।

প্রশ্ন-১১। তুল্য ধারকত্ব কাকে বলে?

উত্তরঃ ধারকের সংযোগের পরিবর্তে যে একটি মাত্র ধারক ব্যবহার করলে সংযোগের বিভব পার্থক্য ও আধানের কোনো পরিবর্তন হয় না, তার ধারকত্বকে ঐ সংযোগের তুল্য ধারকত্ব বলে।

প্রশ্ন-১২। ডাইইলেকট্রিক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান চলাচল করতে পারে না তাদেরকে ডাইইলেকট্রিক বলে।

প্রশ্ন-১৩। তড়িৎ ফ্লাক্স কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো তলের ক্ষেত্রফল এবং ঐ তলের লম্ব বরাবর তড়িৎ ক্ষেত্রের উপাংশের গুণফলকে ঐ তলের সাথে সংশ্লিষ্ট তড়িৎ ফ্লাক্স বলে।

প্রশ্ন-১৪। কোনো মাধ্যমের পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক 2.5 বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ “কোনো মাধ্যমের পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক 2.5”-এর অর্থ এই যে, শূন্য বা বায়ু মাধ্যমে অবস্থিত দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যকার বল এবং একই দূরত্বে ঐ মাধ্যমে অবস্থিত ঐ বিন্দু চার্জ দুটির মধ্যকার পারস্পারিক বল অপেক্ষা 2.5 গুণ বেশি। অর্থাৎ শূন্য বা বায়ু মাধ্যমে এবং ঐ মাধ্যমে সমদূরত্বে অবস্থিত দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যকার পারস্পরিক বলের অনুপাত 2.5।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *