প্রশ্ন-১. ক্ষমতা কি?
উত্তর : কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে।
প্রশ্ন-২. শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি কি?
উত্তর : শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ হতে অপর এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।
প্রশ্ন-৩. ঋণাত্মক কাজ কাকে বলে?
উত্তর : অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কৃত কাজকে ঋণাত্মক কাজ বলে।
প্রশ্ন-৪. ধনাত্মক কাজ কাকে বলে?
উত্তর : অভিকর্ষ বলের দিকে কৃত কাজকে ধনাত্মক কাজ বলে।
প্রশ্ন-৫. শক্তির একক কি?
উত্তর : শক্তির একক জুল।
প্রশ্ন-৬. শক্তির সংজ্ঞা কি?
উত্তর : কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
প্রশ্ন-৭. ক্ষমতার একক কি?
উত্তর : ক্ষমতার একক ওয়াট।
প্রশ্ন-৮. কাজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কাজ বলতে বল ও সরণ সংক্রান্ত বিশেষ অবস্থাকে বোঝায়। একটি বস্তুর উপর যদি কোনো বল ক্রিয়া করায় বলের অভিমুখে বস্তুটির সরণ ঘটে তাহলে প্রযুক্ত বল ও বলের দিকে সরণের উপাংশের গুণফলকে কাজ বলে।
প্রশ্ন-৯. কাজ কত ধরনের ও কি কি?
উত্তর : কাজ দুই ধরনের। যথা-
১. ধনাত্মক কাজ
২. ঋণাত্বক কাজ
উদাহরণঃ কোনো সাইকেল আরোহী যখন সাইকেল চালিয়ে কোনো উঁচু স্থানে উঠে তখন অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে যে কাজ হয় তা ঋণাত্বক কাজ, আবার সাইকেল আরোহী সাইকেল চালিয়ে যখন ঐ উঁচু স্থান থেকে নিচে নামে তখন অভিকর্ষ বলের দিকে যে কাজ করে তা ধনাত্মক কাজ।
প্রশ্ন-১০. কাজের একক লিখ।
উত্তর : কাজের একক জুল।
প্রশ্ন-১১. গতি শক্তি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : গতিশীল অবস্থায় কোন বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে, তাকে ঐ বস্তুর গতিশক্তি বলে।
প্রশ্ন-১২. বৈদ্যুতিক মোটরে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর : বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন-১৩. শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোন বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
প্রশ্ন-১৪. শক্তির বিভিন্ন উৎসগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : শক্তির বিভিন্ন উৎসগুলোর নাম নিচে দেওয়া হলো-
১. কয়লা;
২. খনিজ তেল;
৩. প্রাকৃতিক গ্যাস;
৪. রাসায়নিক শক্তি এবং
৫. সৌর শক্তি।
প্রশ্ন-১৫. নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা লেখ।
উত্তর : ১. নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
২. পরিবেশ দূষণ নেই।
প্রশ্ন-১৬. সৌরশক্তি কী?
উত্তর : সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে বলে সৌরশক্তি।
প্রশ্ন-১৭. শক্তির প্রধান উৎস কী?
উত্তর : শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য।
প্রশ্ন-১৮. শক্তির নিত্যতা সূত্র কি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শক্তির নিত্যতা সূত্রটি হলো, শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।
এক প্রকার শক্তিকে অন্য যেকোনো প্রকার শক্তিতে রূপান্তর সম্ভব। শক্তি যখন এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয় তখন শক্তির কোনো ক্ষয় হয় না। এক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায় অপর বস্তু ঠিক সে পরিমাণ শক্তি লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে আমরা নতুন কোনো শক্তি সৃষ্টি করতে পারি না বা শক্তি ধ্বংস করতে পারি না।