ক. বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?
উত্তর : বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মুরং, তঞ্চঙ্গা রাজবংশী ইত্যাদি।
খ. বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উৎসবগুলোর নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের নানা রকম উৎসব রয়েছে। নিচে বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের নাম উল্লেখ করা হলো :
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব : ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা।
হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব : দুর্গাপূজাসহ নানা উৎসব ও পার্বণ।
বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব : বৌদ্ধ পূর্ণিমা।
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব : ইস্টার সানডে, বড়দিন।
গ. বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের জনজীবন খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। নিচে তা তুলে ধরা হলো-
ধর্মীয় বৈচিত্র্য – এ দেশে বসবাস করে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদি ধর্মের মানুষ।
পেশাগত বৈচিত্র্য – এ দেশের একেক মানুষ একেক পেশায় নিয়োজিত। কেউ কৃষক, কেউ কুমোর, কেউ আবার কাজ করে অফিস-আদালতে।
জাতিসত্তার বৈচিত্র্য – বাঙালি ছাড়াও এ দেশে চাকমা, মারমা, মুরং, সাঁওতালসহ নানা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বাস করে।
পোশাক-পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য – এদেশের মানুষের পোশাক-আশাকেও অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়। কেউ পরে লুঙ্গি, কেউ শার্ট, কেউ শাড়ি, কেউ বা সালোয়ার কামিজ।
ঘ. “দেশ হলো জননীর মতো।” দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর : জননী স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। তেমনি দেশও তার আলো-বাতাস-সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ কারণেই দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
ঙ. জেলেরা কী কাজ করেন? তারা যদি কাজ না করেন তাহলে আমাদের কী হতে পারে?
উত্তর : জেলেরা পুকুর, নদী, খাল-বিল ইত্যাদি থেকে মাছ ধরেন।
জেলেরা যদি তাঁদের কাজ না করেন তাহলে আমরা মাছ খেতে পাব না। এর ফলে আমাদের শরীরে আমিষের অভাব দেখা দেবে। তাই জেলেদের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চ. ‘ধর্ম যার যার উত্সব যেন সবার’— এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : অনেক বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশের জনজীবন। এ দেশে আছে নানা ধরনের উত্সব। মুসলমানদের রয়েছে দুটো ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা, হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ আছে নানা উত্সব আর পার্বণ। বৌদ্ধদের আছে বুদ্ধপূর্ণিমা, খ্রিষ্টানদের আছে ইস্টার সানডে আর বড়দিন। এ ছাড়া রয়েছে নানা উত্সব। পয়লা বৈশাখ—নববর্ষের উত্সব। রাখাইনদের সাংরাই ও চাকমাদের বিজু উত্সব। প্রতিটি ধর্মের মানুষই স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উত্সব পালন করে থাকে। যেকোনো ধর্মের আনন্দ–উৎসবই সব নাগরিকের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই বলা হয়েছে, ‘ধর্ম যার যার, উত্সব যেন সবার।’
ছ. দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?
উত্তর : দেশ মানে এর মানুষ, জনপদ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এসব। দেশ হলো জননীর মতো। মা যেমন স্নেহমমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, দেশও তেমনই তার আলো, বাতাস আর সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দেশকেও তেমনই ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।
৪। নিচের অনুচ্ছেদ অবলম্বনে ৩টি প্রশ্ন তৈরি করি।
দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এই সব। দেশ হলো জননীর মতো। মা যেমন আমাদের স্নেহ মমতা ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। দেশও তেমনই তার সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এদেশকে আমাদের ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।
উত্তর :
ক) দেশ মানে কী?
খ) দেশকে জননীর মতো বলা হয়েছে কেন?
গ) কীভাবে আমাদের জীবন সার্থক হয়ে উঠবে?