৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কোন অঙ্গ আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ করে?

উত্তরঃ মস্তিষ্ক আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন-২। মস্তিষ্ককে আমরা কী বলে থাকি?

উত্তর : মগজ।

প্রশ্ন-৩। চোখের কোন স্তরের মধ্যে দিয়ে আলো প্রবেশ করে না?

উত্তরঃ চোখের স্ক্লেরা স্তরের মধ্যে দিয়ে কোনো আলো প্রবেশ করতে পারে না।

প্রশ্ন-৪। অন্তঃকর্ণ কার মাধ্যমে শ্রবণ উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পাঠায়?

উত্তরঃ অন্তঃকর্ণ শ্রবণস্নায়ু বা অডিটরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে শ্রবণ উদ্দীপনা পাঠায়।

প্রশ্ন-৫। চোখের কোন অংশ চোখের আকৃতি রক্ষা করে?

উত্তর : স্ক্লেরা।

প্রশ্ন-৬। কর্নিয়া কাকে বলে?

উত্তর : স্ক্লেরার সামনের চকচকে অংশকে কর্নিয়া বলে।

প্রশ্ন-৭। চোখের কোন অংশের ভিতর দিয়ে আলো চোখের ভিতরে ঢোকে?

উত্তর : কর্নিয়ার।

প্রশ্ন-৮। আমাদের চোখ দেখতে কিসের মতো?

উত্তর : ক্যামেরার।

প্রশ্ন-৯। চোখের বাইরের আবরণ কী?

উত্তর : চোখের পাতা।

প্রশ্ন-১০। উপচর্ম কাকে বলে?

উত্তর : ত্বকের বাইরের আবরণকে উমচর্ম বলে।

প্রশ্ন-১১। অন্তঃচর্ম কী?

উত্তর : রক্তনালি ও স্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত ত্বকই হচ্ছে অন্তঃচর্ম।

প্রশ্ন-১২। কনজাংকটিভা কী?

উত্তর : চোখের পাতা খুললেই চোখের যে অংশটুকু আমরা দেখতে পাই, সে অংশটুকু একটা পাতলা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে তার নাম কনজাংকটিভা।

প্রশ্ন-১৩। আইরিশ কাকে বলে?

উত্তর : কর্নিয়ার পেছনে যে কালো গোলাকার পর্দা থাকে তাকে আইরিশ বলে।

প্রশ্ন-১৪। আইরিশ কী দিয়ে তৈরি?

উত্তর : পেশি।

প্রশ্ন-১৫। আইরিশকে আমরা সাধারণত কী বলে থাকি?

উত্তর : চোখের মণি।

প্রশ্ন-১৬। পিনার প্রধান কাজ কী?

উত্তর : শব্দ কর্ণকুহরে পাঠানো।

প্রশ্ন-১৭। কর্ণকুহর কাকে বলে?

উত্তর : পিনা যে নালির সাথে সংযুক্ত সেই নালিকাটিকে কর্ণকুহর বলে।

কী বন্ধ করে চোখকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা যায়?

উত্তর : চোখের পাতা।

অক্ষিগোলক কিসের মতো অঙ্গ?

উত্তর : গোলাকার বলের মতো।

অক্ষিগোলক কয়টি স্তর নিয়ে গঠিত?

উত্তর : তিনটি।

স্ক্লেরা কী?

উত্তর : অক্ষি গোলকের বাইরের সাদা, শক্ত ও পাতলা স্তরকে স্ক্লেরা বলে।

অন্তঃকর্ণ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : অডিটরি ক্যাপসুল অস্থির মধ্যে।

অন্তঃকর্ণ কয়টি প্রধান প্রকোষ্ঠে বিভক্ত?

উত্তর : দুটি।

অন্তঃকর্ণের প্রধান প্রকোষ্ঠ দুটির নাম লিখ।

উত্তর : ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। জিহ্বার কাজ কী?

উত্তরঃ জিহবার কাজ হলো–

i. খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করা।

ii. খাবার গিলতে সাহায্য করা।

iii. খাদ্যবস্তুকে লালার সাথে মিশ্রিত করতে সাহায্য করা।

প্রশ্ন-২। জিহ্বার মাঝখানে আমরা কোনো খাদ্যবস্তু রাখলে স্বাদ অনুভব করি না কেন?

উত্তরঃ জিহ্বার সামনে, পেছনে ও পাশে স্বাদকোরক থাকে। কিন্তু জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক থাকে না। স্বাদকোরক না থাকায় আমরা জিহ্বার মাঝখানটায় কোনো খাদ্যবস্তু রাখলে বিশেষ স্বাদ অনুভব করি না।

প্রশ্ন-৩। অশ্রুর কাজ লেখ।

উত্তরঃ অশ্রুগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরল যা চোখের পানি বা অশ্রু নামে পরিচিত। চোখের জন্য চোখের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অশ্রু সবসময় চোখকে ভেজা রাখে, বাইরের ধুলাবালি ও জীবাণু পড়লে তা ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন-৪। চোখের কাজ কী?

উত্তরঃ নিচে চোখের কাজ দেওয়া হলো–

i. চোখের মাধ্যমে সমগ্র বস্তু দেখা যায়।

ii. চোখের মাধ্যমে কোনো বস্তুর আকার, আকৃতি, বর্ণ, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

iii. চোখ দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন-৫। আমরা চোখ দিয়ে কীভাবে দেখি?

উত্তরঃ কোনো বস্তুর ওপর আলো পড়লে সেই বস্তু থেকে আলোকরশ্মি চোখের পিউপিলের ভেতর দিয়ে রেটিনায় গিয়ে পড়ে। রেটিনার ওপর বস্তুটির ক্ষুদ্র ও উল্টো প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয়। আলোর এই উদ্দীপনা অপটিক স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কে পৌঁছায় তখন আমরা বস্তুটিকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাই। এভাবে আমরা চোখ দিয়ে দেখি।

প্রশ্ন-৬। চোখের পাতা কীভাবে চোখকে রক্ষা করে?

উত্তরঃ চোখের বাইরের আবরণের নাম চোখের পাতা। চোখের এই পাতার সাহায্যে চোখ খোলা ও বন্ধ করা যায়। ফলে চোখের পাতা বন্ধের মাধ্যমে চোখকে ধুলাবালি ও আঘাত থেকে রক্ষা করা যায়।

প্রশ্ন-৭। জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয় কেন?

উত্তরঃ মুখগহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপরে একটি আস্তরণ আছে, এতে বিভিন্ন স্বাদ গ্রহণের জন্য স্বাদ কোরক থাকে যা জিহ্বার সামনে, পেছনে ও পাশে বিশেষ বিশেষ স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদ কোরকের উপস্থিতি না থাকায় সেখানে কোনো স্বাদ অনুভুত হয় না। জিহ্বায় উপস্থিত স্বাদ কোরকের উপস্থিতিতে স্বাদ অনুভব করা যায় বলেই জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয়।

প্রশ্ন-৮। মধ্যকর্ণ কীভাবে শ্রবণে সহায়তা করে?

উত্তরঃ বহিঃকর্ণ ও অন্তঃকর্নের মাঝখানে মধ্যকর্ণ অবস্থিত। এটি একটি বায়ুপূর্ণ থাল, যার মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাড় বা অস্থি রয়েছে। অস্থি সমূহের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ বা ঢেউ অন্তঃকর্ণে পৌঁছায়। এছাড়া কানের সাথে গলার সংযোগের জন্য একটি নল আছে, যার কাজ হলো কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুর চাপ সমান রাখা। এভাবেই মধ্যকর্ণ আমাদের শ্রবণে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-৯। চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গেলে কী ঘটবে!

উত্তরঃ মানুষের চোখের লেন্স পিউপিথের পেছনে অবস্থিত দ্বি-উত্তল লেন্স।

লেন্সটার মাঝখানের দুই দিক উঁচু আর অগ্রভাগ সরু। এটি এক ধরনের সিলিয়ারি পেশি দ্বারা আটকানো থাকে। এ পেশিগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এদের সংকোচন প্রসারণ দরকার মতো লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। তাই চোখের এ গুরুত্বপূর্ণ লেন্সটি নষ্ট হয়ে গেলে বাইরের পরিবেশ থেকে পাওয়া বস্তুর সঠিক আকৃতি রেটিনার উপর প্রতিবিম্ব হবে না। ফলে ত্রুটিযুক্ত দৃষ্টির সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-১০। ত্বকের কাজ কী?

উত্তরঃ ত্বকের কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :

i) দেহের ভেতরের কোমল অংশকে বাইরের আঘাত, ঠান্ডা, গরম, রোদ ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

ii) দেহে রোগ জীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়।

iii) ঘাম বের করে দিয়ে শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখে।

vi) দেহের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।

প্রশ্ন-১১। আইরিশকে চোখের মণি বলা হয় কেন?

উত্তরঃ আইরিশ পেশি দিয়ে তৈরি কালো গোলাকার পর্দা। অইরিশের মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে যাকে পিউপিল বলে। আইরিশের পেশিগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে আলোক রশ্মি রেটিনায় প্রবেশ করতে পারে। তাই আইরিশকে চোখের মনি বলা হয়।

প্রশ্ন-১২। চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ সংবেদী অঙ্গসমূহের মধ্যে চোখ অন্যতম। চোখের মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর আলো দেখতে পাই।

সকল ধরনের আনন্দ বেদনাকে স্মৃতিপটে মধুর করে তুলি। চোখে ছাড়া সবকিছু অন্ধকার। চোখ একটি কোমল অঙ্গ। তাই চোখকে খুব যত্নে রাখতে হবে। নিয়মিত শাকসবিজ ও ফলমূল খেতে হবে। চোখ মুছার কাজে পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। জীবনকে উপভোগ করতে হলে এর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন-১৩। আমরা শুনতে পাই কেন?

উত্তরঃ শব্দ তরঙ্গ কর্ণছত্র দ্বারা গৃহীত হয়ে কর্ণকুহর দিয়ে কর্নপটহে আঘাত করার ফলে শব্দ তরঙ্গ স্পন্দিত হয়। স্পন্দিত শব্দ তরঙ্গ মধ্যকর্ণে তীব্রতর হয় এ অবস্থায় অন্তঃকর্নে পৌছে সংবেদী কোষগুলোকে উদ্দীপ্ত করে। এ উদ্দীপনা অডিটরী স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কে প্রেরিত হলে আমরা শুনতে পাই।

প্রশ্ন-১৪। উপচর্ম বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ ত্বকের বাইরের আবরণকে বলা হয় উপচর্ম। হাতের তালু ও পায়ের তালুর চামড়া বা ত্বক পুরু আবার ঠোটের চামড়া বা ত্বক পাতলা। এ উপচর্ম থেকেই লোম, চুল ও চোখের উৎপত্তি হয়। উপচর্মে লোমকূপ ও থাকে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *