Category: ভূগোল

মহাসাগর কাকে বলে | মহাসাগর কয়টি ও কি কি | ৫টি মহাসাগর সম্পর্কে তথ্য

মহাসাগর কাকে বলে অবস্থান, আয়তন ও গভীরতা অনুযায়ী বারিমণ্ডলের বৃহত্তম ও গভীরতম অর্থাৎ উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ পানি রাশিকে মহাসাগর (Ocean) বলে। মহাসাগরের ইংরেজি হচ্ছে Ocean । মহাসাগর কয়টি ও কি কি পৃথিবীপৃষ্ঠে মোট ৫টি মহাসাগর আছে। যথা: ১. প্রশান্ত মহাসাগর ২. আটলান্টিক মহাসাগর ৩. ভারত মহাসাগর ৪. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর ৫. কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর নিম্নে মহাসাগরগুলোর অবস্থান, আয়তন […]

পৃথিবীর কত ভাগ জল ও কত ভাগ স্থল | মহাদেশ এবং মহাসাগর

পৃথিবীর জল ও স্থলভাগের বিন্যাস পৃথিবীর মোট আয়তনের ৭১.৪ ভাগ জল এবং বাকি ২৮.৬ ভাগ স্থল। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের ৭ ভাগের ৫ ভাগ জলভাগ এবং ২ ভাগ স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত। ভূপৃষ্ঠের উঁচু ও নিচু না হয়ে যদি সমতল অবস্থান করতো, তাহলে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র প্রায় ৩.২ কি. মি. গভীর জলে আবৃত থাকত। ভূপৃষ্ঠের মোট আয়তনের ভাগ স্থলমণ্ডল আবার কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে […]

সমুদ্রবিজ্ঞান কি | সমুদ্রবিজ্ঞান কাকে বলে

পৃথিবীর মোট আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ ভাগই পানি। এ জলরাশি পৃথিবীর সমগ্র পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। পৃথিবীপৃষ্ঠের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ জলরাশিকে সমুদ্র বলে। এ সামুদ্রিক অঞ্চলের পরিবেশ, জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করাই হলো সমুদ্রবিজ্ঞান। সমুদ্রবিজ্ঞান হলো মূলত একটি ফলিত ব্যবহারিক বিজ্ঞান। সমুদ্রবিজ্ঞান কি সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞান সম্পর্কে যে বিষয়ে আলোচনা করা হয় তাকে সমুদ্রবিজ্ঞান […]

আদ্র জলবায়ু কাকে বলে

আদ্র জলবায়ু কাকে বলে যে বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে মধ্যম তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সাধারণ জলবায়ুর চেয়ে বেশি থাকে, তাকে আদ্র জলবায়ু বলে। আদ্র জলবায়ু, বৃষ্টিবহুল ক্রান্তীয় জলবায়ুর সাথে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আদ্র জলবায়ু অঞ্চলে বছরের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। এখানে শীতলতম মাসের গড় তাপমাত্রা ৬৪° ফা. এর ঊর্ধ্বে থাকে। যেসব উদ্ভিদের অধিক তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন সেসব উদ্ভিদ এ জলবায়ুতে […]

নিরক্ষীয় জলবায়ু কাকে বলে

নিরক্ষীয় জলবায়ু কাকে বলে নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতে সারাবছর উচ্চ তাপমাত্রা ও অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত যে এক বিশেষ ধরনের জলবায়ু পরিলক্ষিত হয় তাকে নিরক্ষীয় জলবায়ু বলে। নিরক্ষরেখার উভয় পার্শ্বে ৫° থেকে ১০° অক্ষাংশ পর্যন্ত এ জলবায়ু বিদ্যমান। সারাবছর ধরে অত্যধিক তাপ ও বৃষ্টিপাত এ জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ অঞ্চলের কোথাও তুসারপাত হয় না। নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে শীত ও গ্রীষ্মের তাপমাত্রার পার্থক্য খুবই কম। বার্ষিক গড় তাপমাত্র প্রায় ৭০° থেকে ৮০° ফা. […]

মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্য

মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে জল ও স্থলভাগে দিন ও রাত্রির উত্তাপের তারতম্যের জন্য যে বায়ুর দিক পরিবর্তিত হয় তাই মৌসুমি বায়ু এবং যে অঞ্চল বা দেশের ওপর দিয়ে এ বায়ুপ্রবাহিত হয় সেসব দেশের জলবায়ুকে মৌসুমে জলবায়ু বলে। এ জলবায়ু শীতকালে স্থলভাগ হতে জলভাগের দিকে গ্রীষ্মকালে জলভাগ হতে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এজন্য গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিবহুল এবং শীতকালে প্রায় […]

জলবায়ু কাকে বলে

কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর চাপ, তাপ, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি উপাদানের সল্পকালীন অবস্থাকে আবহাওয়া বলে। আর এ আবহাওয়ার দীর্ঘকালীন (৩০-৪০ বছর) আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদান প্রাণীকে তার বসবাসের উপযোগী স্থান নির্ধারণে সহায়তা করে। জলবায়ু কাকে বলে জলবায়ু হলো একটি বৃহৎ অঞ্চলব্যাপী বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা। কাজেই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে কোনো স্থানের বা অঞ্চলের […]

আবহাওয়া কাকে বলে

প্রধানত বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে সূর্য হতে শক্তি আগত হয়। আবহাওয়া ও জলবায়ু বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে অন্যতম। আবহাওয়া ওজলবায়ু পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন স্থানে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আবহাওয়া কাকে বলে সাধারণত আবহাওয়া বলতে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের কতকগুলো […]

পৰ্বত কী, কাকে বলে এবং বৈশিষ্ট্যসহ পর্বতের প্রকারভেদ

পৰ্বত কী পৃথিবী পৃষ্ঠের সর্বত্র সমান নয়। এর কোথাও সুউচ্চ পর্বত, কোথাও মালভূমি আবার কোথাও বিস্তৃত সমতল ভূমি রয়েছে। পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানের ভূমিরূপে বিভিন্ন ধরনের। এ বৈচিত্র্যেময় ভূমিরূপের একটি অন্যতম ধরুন হলো পর্বত। যা পাহাড় থেকে বহুদূর বিস্তৃত ও উঁচু। ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত পর্বতগুলোর মধ্যে উচ্চতা ও আকৃতিগত দিক দিয়ে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। পর্বতমালার অবস্থান ভূপৃষ্ঠের বন্ধুরতাকে সর্বাধিক […]

খনিজ কি, কাকে বলে, এর বৈশিষ্ট্য এবং খনিজ সম্পদের গুরুত্ব

খনিজ কি খনিজ বলতে সাধারণত মাটির অজৈব অংশকে বুঝায়। কতকগুলো মৌলিক পদার্থ প্রাকৃতিক উপায়ে একত্রে মিলিত হয়ে যে যৌগিক পদার্থ তৈরি করে তাকে খনিজ বলে। আর এটাকে সাধারণত তার বর্ণ, কাঠিন্য, আপেক্ষিক গুরুত্ব, রাসায়নিক সংযুতি, ফাটল, দ্যুতি প্রভৃতি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও রাসায়নিক গঠনের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট এবং কেলাসিত এমন একটি সমসত্ত্বের অজৈব পদার্থ যার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক মিশ্রণ এবং একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পারমাণবিক গঠন থাকে তাকে খনিজ (Minerals) বলে। ভূপৃষ্ঠে প্রায় দেড় হাজার প্রকারের খনিজ পদার্থ রয়েছে। খনিজ হলো স্বাভাবিকভাবে একটি অজৈব পদার্থ, যা একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পারমাণবিক গঠনে সমৃদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে খনিজকে নির্দিষ্ট রাসায়নিক গুণসম্পন্ন একটি সমমাত্রিক অজৈব বলা হয়। ভূপৃষ্ঠে প্রায় ১,৫০০ ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। খনিজ কাকে বলে “Minerals are naturally occurring substances having a definite chemical composition and atomic structure and formed by inorganic processes.” প্রখ্যাত ভূগোলবিদ এ. এন. স্ট্রেহলার (A.N.Strahler) এর মতে, “খনিজ হলো স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট এমন একটি অজৈব পদার্থ যার সাধারণত নির্দিষ্ট এ একটি রাসায়নিক মিশ্রণ এ বৈশিষ্ট্য পূর্ণ পারমাণবিক গঠন থাকে।” ‘ভুবনকোষ’ এ বলা হয়েছে, “প্রাকৃতিকভাবে অজৈব প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট নির্দিষ্ট আণবিক গঠন ও রাসায়নিক সংস্থিতিসম্পন্ন কার্বন রস্তুকে খনিজ বলে।” খনিজের বৈশিষ্ট্য নিম্নে খনিজের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো। ১. কাঠিন্যতা : কাঠিন্যতা বলতে বুঝায় খনিজের গায়ের আঁচড় বা দাগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে। এটি খনিজ পদার্থের একটি আপেক্ষিক ধর্ম। কাঠিন্যতা জানা খনিজের সাথে ঘর্ষণের মাধ্যমে অজানা খনিজের কাঠিন্যতা জানা যায়। ২. গঠন : কোনো কোনো খনিজ কেবল একটিমাত্র মৌলিক উপাদানের দ্বারা গঠিত। যেমন- সোনা, হীরা, রুপা, তামা প্রভৃতি। ৩. সংকেত : খনিজের নির্দিষ্ট সংস্থিতি ও সংকেত রয়েছে। ৪. ক্ষয়প্রাপ্তি : খনিজ অতি সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। ৫. ধর্ম : প্রত্যেক খনিজেই নিজস্ব কিছু ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিদ্যমান। খনিজ সম্পদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব খনিজ একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি যেমন- ভূত্বকের শিলা গঠন করে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিম্নে খনিজ সম্পদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করা হলো। ১. শিল্পোন্নয়ন : খনিজ সম্পদ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য কাঁচামালের যোগান দিয়ে খনিজ সম্পদ শিল্পোন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। ২. জ্বালানির উৎস : খনিজ সম্পদ যেকোনো দেশের অর্থনীতির ভিত্তিম্বরূপ। খনিজ সম্পদ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কয়লা তাপ উৎপাদনে, খনিজ তেল যানবাহন ও জেনারেটর চালাতে ব্যবহৃত হয়। আবার ভারী খনিজ যেমন- রেডিয়াম, ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি পারমাণবিক চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ৩. ব্যবহারিক ও নির্মাণ কার্যে : বিভিন্ন অলংকার নির্মাণে খনিজ সম্পদ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পুল, রাস্তাঘাট, রেললাইন ইত্যাদি নির্মাণে এবং সাবান, সিমেন্ট, কাগজ প্রভৃতি প্রস্তুতিতে খনিজের প্রয়োজন। ৪. কর্মসংস্থান : খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য বহু দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। যে দেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ সে দেশের মানুষের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। ৫. বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হ্রাস : দেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ থাকলে বিদেশ হতে তা আমদানি করতে হয় না। ফলে দেশ বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় থেকে রক্ষা পায়। ৬. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন : দেশে পর্যাপ্ত খনিজ সম্পদ থাকলে তা নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। এতে বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বের অর্থনীতিতে খনিজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। মূলত খনিজ সম্পদই যেকোনো রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।

Back To Top