মাৎস্যন্যায় কি?

মাৎস্যন্যায় কি?

মাৎস্যন্যায় কি পাল বংশের পূর্ববর্তী সময়ের বাংলার অসীম নৈরাজ্যকর অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে অভিহিত করা হয়। আর প্রচলিত অর্থে মাৎস্যন্যায় বলতে সেসময়ের অরাজকতা অবস্থাকেই বোঝায়। সংস্কৃত শব্দ মাৎস্যন্যায়-এর আক্ষরিক অর্থ ‘মাছের ন্যায়। মাছেদের জগতে বড় মাছ কর্তৃক সাবাড় হয় ছোট ছোট মাছ। দুর্বল নিমেষেই হয়ে যায় সবলের গ্রাস। মাছেদের জগতে যদিও বা এটাই নিয়ম, কিন্তু মানবসমাজে…

হিব্রু সভ্যতার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য সমূহ

হিব্রু সভ্যতার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য সমূহ

হিব্রু সভ্যতার ইতিহাস মধ্য এশিয়া ও নিকট প্রাচ্যের যেসব সভ্যতা আমাদের আধুনিক সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে তাদের মধ্যে হিব্রু সভ্যতা অন্যতম। হিব্রু সভ্যতা পূর্ববর্তী সভ্যতার অনেক কিছু আত্ম করেছিল বটে কিন্তু হিব্রু সভ্যতার মৌলিক কিছু সৃষ্টিও। আছে। বিশেষ করে একেশ্বরবাদের প্রবক্তা ইহুদীরা ধর্মে নৈতিকতা এবং পবিত্রতা রক্ষায় অধিক ভূমিকা পালন করে। হিব্রুদের পরিচয় প্রাচীন মিশরীয় এবং মেসােপটেমীয় সভ্যতার…

শেরশাহের প্রবর্তিত কেন্দ্ৰীয় প্রশাসন আলোচনা কর

শেরশাহের প্রবর্তিত কেন্দ্ৰীয় প্রশাসন আলোচনা কর

শেরশাহের প্রবর্তিত কেন্দ্রীয় প্রশাসন সম্পর্কে যা জান লিখ। পৃথিবীর মহান শাসকদের ইতিহাসে শেরশাহ এক অনন্য নাম ৷ তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী তেমনি ছিলেন রণকৌশলী ও সুপ্রশাসক। শেরশাহ মুঘল সম্রাট হুমায়ূনকে পরাজিত করেন দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন এবং যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন তার বেশিরভাগ সময় শেরশাহ রাজ্যবিস্তারে কাটান। তবে এত কিছুর মধ্যে শেরশাহ প্রশাসন ব্যবস্থার সংস্কার করে…

শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর

শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর

 প্রশাসনিক সংস্কারে শেরশাহের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর। অথবা, প্রশাসক হিসেবে শেরশাহের কৃতিত্ব লিখ।  ভারতবর্ষের ইতিহাসে শেরশাহ ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা শাসক। তিনি তার প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য ভারতের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ হয়ে আছেন। তিনি প্রশাসনিক সংস্কার করেন আর আকবর তার উপর ভিত্তি করে প্রশাসন গড়ে তোলেন। এজন্য ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় শেরশাহকে আকবরের অগ্রদূত বলা যায়। → প্রশাসক হিসেবে শেরশাহ : শেরশাহের…

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা | আমরা ইতিহাস কেন জানবো?

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা | আমরা ইতিহাস কেন জানবো?

ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানব সমাজের শুরু থেকে তারা যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা, ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি। কেননা ইতিহাসের প্রথম উপজীব্য বিষয় হলো, মানব সমাজের অগ্রগতির ধারা বর্ণনা করা। সভ্যতার প্রধান স্তর, সভ্যতার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের কথা সম্পর্কে ইতিহাম থেকে জানা যায়। ইতিহাস আমাদের অতীত সম্পর্কে জ্ঞানদান করে। ইতিহাসের…

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব আলোচনা| ত্বরাইনের প্রথম যুদ্ধের চেয়ে দ্বিতীয় যুদ্ধ কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেন?

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব আলোচনা| ত্বরাইনের প্রথম যুদ্ধের চেয়ে দ্বিতীয় যুদ্ধ কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেন?

সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে দুর্বল করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে একইভাবে মুহাম্মদ ঘুরী ভারতে অভিযান চালিয়ে ভারতে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যত হন। একই উদ্দেশ্য নিয়ে মুহাম্মদ ঘুরী চৌহানরাজ পৃথ্বীরাজের সাথে মোট দুইবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুহাম্মদ ঘুরী বিচলিত না হয়ে পুনরায় শক্তিশালী…

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বিবরণ দাও | পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বিবরণ দাও | পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর

পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সম্রাট বাবর ও ইব্রাহীম লোদীর মধ্যে সংঘটিত হওয়ার পর সম্রাট আকবর ও আদিল শাহের মধ্যে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে জয়লাভ করে আকবর মুঘল সাম্রাজ্যকে পুনরুদ্ধার করেন। এ যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট আকবরের ক্ষমতা আরো দৃঢ় হয় এবং ভারতবর্ষে অন্ধকারাচ্ছন্ন শাসন ব্যবস্থাকে নতুন আলোয় আলোকিত করে । → পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের…

খানুয়ার যুদ্ধের বর্ণনা দাও। খানুয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ

খানুয়ার যুদ্ধের বর্ণনা দাও। খানুয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ

ভারতবর্ষের শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও বীরবিক্রমশীল যোদ্ধা হচ্ছেন জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। তিনি অতি অল্প বয়সে নানারকম প্রতিকূলতাকে জয় করে ভারতবর্ষের দিকে দৃষ্টি দেন তবে বাবর একবারেই ভারতবর্ষ জয় করতে পারেনি। কয়েকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে বাবর তার দিল্লি জয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। আর বাবরের এ অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে খানুয়ার যুদ্ধ। খানুয়ার…

গোগরার যুদ্ধের বর্ণনা দাও। গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

গোগরার যুদ্ধের বর্ণনা দাও। গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

১৫২৬ সালে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করলেও বাবরের ভারতবর্ষে টিকে থাকা সহজ ছিল না। তাকে খানুয়ার যুদ্ধের রাজপুতদের পরাজিত করার পর আফগানদের সাথে গোগরার যুদ্ধ করতে হয়। এ যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করে মুঘল শক্তিকে সুসংহত করেন। গোগরার যুদ্ধ : দুর্ধর্ষ আফগান দলপতিগণ সম্রাট বাবরকে নিশ্চিত হয়ে নিরাপদে শাসন করতে বাধা দেন। ফলে তাদেরকে দমন করার জন্য…

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভূমিকা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভূমিকা

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদের স্বার্থে স্বাধীনতার পক্ষে অথবা বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছিল। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ এমন সময়ে হয়েছিল যখন বিশ্বের দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) এবং আমেরিকার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। এই ঠান্ড যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একদম প্রথম থেকেই সোভিয়েত সমর্থন পেয়ে আসছিল। বিপরীতে মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন…