সাম্য বলতে কী বোঝ?

সাম্য বলতে কী বোঝ? সাধারণভাবে সাম্য বলতে বোঝায় সকল মানুষই সমান। তাই প্রতিটি মানুষ অন্যের ন্যায় সমান অধিকার, সমান সুযোগ সুবিধা ও স্বাধীনতা ভোগের অধিকারী। কিন্তু বাস্তবে সকল মানুষ সমান হতে পারে না। শক্তি, সামর্থ্য, বুদ্ধি ইত্যাদির দিক থেকে মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকবেই। সুতরাং সাম্য বলতে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সকলের অভিন্নতা বোঝাতে পারে না। অধ্যাপক ল্যাস্কি…

আইন ও স্বাধীনতার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর।

আইন ও স্বাধীনতার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর। সাধারণভাবে স্বাধীনতা বলতে নিজের খুশিমত যা কিছু করবার অবাধ ক্ষমতাকে বোঝায়। অন্যদিকে আইন হলো মানুষের বাহ্যিক আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী এবং সার্বভৌম শক্তির দ্বারা সমর্থিত ও প্রযুক্ত নিয়মাবলী। সুতরাং আপাত দৃষ্টিতে আইন ও স্বাধীনতাকে পরস্পর বিরোধী বলেই মনে হয়। জন স্টুয়ার্ট মিল, হার্বাট স্পেনসার, লর্ড ব্রাইস প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, আইন…

আধুনিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতার রক্ষাকবচগুলি কী কী?

আধুনিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতার রক্ষাকবচগুলি কী কী? অধ্যাপক ল্যাস্কি বলেছেন, সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া অধিকাংশ লোকের স্বাধীনতা ভোগ সম্ভব নয়। বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য যেসব রক্ষাকবচের ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে সেগুলি হলোঃ ১) সংবিধানে মৌলিক অধিকারের ঘোষণাঃ সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহ লিপিবদ্ধ করা এবং ঐসব অধিকার ভঙ্গ হলে তার প্রতিবিধানের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখা স্বাধীনতার অন্যতম…

নয়া উদারনীতিবাদের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর। (Discuss, in short, the basic features of neo-liberalism)

নয়া উদারনীতিবাদের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর। (Discuss, in short, the basic features of neo-liberalism) উদারনীতিবাদী দর্শনের নব প্রজন্মের চিন্তাবিদরা বিংশ শতাব্দীর অষ্টম দশকে নয়-উদারনীতিবাদী তত্ত্বের অবতারণা করেন। নয়-উদারনীতিবাদের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হলো – ন্যূনতম রাষ্ট্রঃ নয়া-উদারনীতিবাদে রাষ্ট্রের ভূমিকার পরিবর্তন ঘটানো হয়। অতি ক্ষমতাশালী ও আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বদলে এক ন্যূনতম কর্মসূচিসম্পন্ন রাষ্ট্র বা সীমিত রাষ্ট্রের ধারণাকে ফিরিয়ে…

আধুনিক বা সংশোধনমূলক উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।

আধুনিক বা সংশোধনমূলক উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।

আধুনিক বা সংশোধনমূলক উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাবেকি উদারনীতিবাদের বক্তব্য সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গ্রিন, ব্র্যাডলি, বোসাঙকেটের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী ধারণার সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার সংমিশ্রণে আধুনিক বা সংশোধনমূলক উদারনীতিবাদ গড়ে ওঠে। সংশোধনমূলক বা আধুনিক উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি হলো – উদারনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাঃ আধুনিক বা সংশোধনমূলক উদারনীতিবাদে উদারনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। উদারনৈতিক গণতন্ত্রের…

ধ্রুপদি বা সাবেকি উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি ব্যাখ্যা কর।

ধ্রুপদি বা সাবেকি উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি ব্যাখ্যা কর। লক এর Two Treatises of Governement শীর্ষক গ্রন্থটি ১৬৯০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ধ্রুপদি উদারনীতিবাদ এর সূচনা ঘটে। জন লক, জেরেমি বেন্থাম, জেমস মিল, জন স্টুয়ার্ট মিল, স্পেনসার, মন্তেস্কু প্রমুখ হলেন ধ্রুপদি উদারনীতিবাদের মুখ্য প্রবক্তা। ধ্রুপদি উদারনীতিবাদের মূলনীতিগুলি হলো – অলঙ্ঘনীয় প্রাকৃতিক অধিকারঃ জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার এবং সম্পত্তির…

আমলাতন্ত্র কাকে বলে? আমলাতন্ত্রের চারটি পরিকাঠামো বা সাংগঠনিক দিক, আমলাতন্ত্রে সাতটি মূল নীতি, আমলাতান্ত্রের বৈশিষ্ট্য

আমলাতন্ত্র কাকে বলে? আমলাতন্ত্র একটি বিশেষ পরিকাঠামো যা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত ও আইন নির্ভর। সুনির্দিষ্ট বিধি, রীতি-নীতি নিয়ম ও লিখিত আইন অনুসারে আমলাতন্ত্র পরিচালিত হয়। ওয়েবারের মতে, আমলাতন্ত্র হলো একটি বিশেষ উপায় বা পদ্ধতির সমষ্টি, যার মাধ্যমে শিল্প সমাজের সদস্যগণ তাদের উদ্দেশ্যগুলি যুক্তিসম্মত উপায়ে অর্জন করতে পারেন। ওয়েবার আমলাতন্ত্রের আলোচনায় ‘আদর্শরূপ’ নামক বিশেষ পদ্ধতিটির প্রয়োগপূর্বক বিশুদ্ধ…

আমলাতন্ত্রের চারটি পরিকাঠামো বা সাংগঠনিক দিক

ওয়েবার আমলাতন্ত্রের চারটি পরিকাঠামো বা সাংগঠনিক দিক রয়েছে। ১) প্রশাসনিক স্তরে প্রতিটি কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে সুস্পষ্ট শ্রমবিভাজন লক্ষ্য করা যায়। ২) কর্মচারী বৃন্দকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় এবং তাদের পদোন্নতির জন্য কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। ৩) কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও পদমর্যাদা অনুসারে কর্মচারীবৃন্দ ক্রমোচ্চ স্তরে বিন্যাপ্ত থাকেন। ৪) সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সংগঠনটির কর্মচারীবৃন্দ…

আমলাতন্ত্রে সাতটি মূল নীতি

আমলাতন্ত্রে সাতটি মূল নীতি ম্যাক্স ওয়েবার আমলাতন্ত্রের সাতটি মূল নীতি উল্লেখ করেছেন। এগুলি হলো – ১) চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মচারীর দায়িত্ব, অধিকার, কর্তব্য এবং কর্তৃত্বের পরিধি সুনির্দিষ্ট থাকে। ২) তদারক ও বশ্যতার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ৩) কর্তৃত্বের সামঞ্জস্যপূর্ণ নির্দেশ। ৪) লিখিত নথিপত্রের সাহায্যে কার্য সম্পাদন করা হয়্ ৫) চাকরিতে নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য…