বিভিন্ন ধরণের কাঁচের সংকেত

কাঁচের সংকেত কাঁচ বা গ্লাস হচ্ছে বালুর মূল উপাদান সিলিকা থেকে তৈরি একটি পদার্থ। তাহলে, কাঁচের সংকেত হচ্ছে SiO2। সাধারণ কাঁচ সিলিকার (Si) অক্সাইড (O2) দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে, সিলিকা (SiO2), সোডিয়াম অক্সাইড (Na2O), এবং অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2O3)। কাঁচ আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়, এজন্য কাঁচের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংকেত। নিচে বিভিন্ন কাঁচের সংকেত দেওয়া হল। সোডালাইম কাঁচঃ SiO2.Na2O.CaO.MgO.Al2O3 সোডালাইম কাঁচ তৈরিতে ৬৯% সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO2), ১৫% সোডিয়াম অক্সাইড (Na2O), ১০% ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO), ৪% ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO), এবং ২% অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2O3) ব্যাবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে, সোডালাইম কাঁচের সংকেত এই রূপও লিখা যায়, 69SiO2.15Na2O.10CaO.4MgO.2Al2O3 । এই সংকেতের…

আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্তকরণ

জাল টাকা বা জাল পাসপোর্ট কি? আমরা প্রায়ই নিউজে দেখতে পায় যে, জাল টাকা বানানোর জন্য কোন এক দুষ্টু চক্র পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এই জাল টাকা বলতে আমরা কি বুঝি? জাল টাকা হচ্ছে যা একটি দেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয় এবং যা অন্য আরেকটি টাকার ছাপ বা হুবহু কপি করা। ঠিক তেমনি, জাল পাসপোর্ট একটি দেশের…

রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে, উদাহারণ ও বৈশিষ্ট্য

রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে এক ধরণের প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ বা মৌল বা যৌগ বা বিক্রিয়ক, উপযুক্ত পরিবেশে পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে এক বা একাধিক অন্য নতুন পদার্থ বা মৌল বা যৌগ বা উৎপাদক তৈরী করে। রসায়ন বিজ্ঞানে, যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক উৎপাদকে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। রাসায়নিক…

রাসায়নিক সংকেত

রাসায়নিক সংকেত কাকে বলে? আমরা যখন কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে একটি নির্দিস্ট রূপে প্রকাশ করি ঐ মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে চিহ্নিত করার জন্য, তখন চিহ্নিত রূপকে রাসায়নিক সংকেত বলে। অন্যভাবে বলা যায়, রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ দিয়ে উৎপন্ন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যে পূর্ণ চিহ্নিতরূপে প্রকাশ করা হয়, তাকে রাসায়নিক সংকেত বলে।…

গ্লাস (কাঁচ) কি ও গ্লাসের প্রকার

গ্লাস বা কাচ যদি বলা হয় বিশ্বের সব বড় বড় দালানগুলো (বিল্ডিং) দেখতে এতো সুন্দর কেন ? উত্তর আসবে একটিই এবং তা হচ্ছে গ্লাস। বড় বড় বিল্ডিংগুলো গ্লাস দিয়ে মোড়ানো থাকে,  যা বিল্ডিংগুলোর সৌন্দর্য বর্ধিত করে। গ্লাস অন্য যেকোনো উপাদানের বা টেকনোলজির তুলনায় বিশ্বকে অনেক পরিবর্তন করেছে। গ্লাস শব্দের উৎপত্তি ইংরেজি গ্লাস (glass) শব্দটির মূল উৎপত্তি হচ্ছে ল্যাটিন গ্লায়ছুম (glaesum) শব্দ থেকে। গ্লায়ছুম শব্দের অর্থ হচ্ছে স্বচ্ছ পদার্থ। ইংরেজি গ্লাস শব্দটি বাংলা ভাষার সাথে মিশ্রণ ঘটলেও বাংলায় গ্লাস অর্থ হচ্ছে কাঁচ। প্রথম গ্লাস তৈরি কে করেছিলে? অনুমান করা হয় যে, ৩৫০০ বছর আগে প্রাচীন গ্রিকের মানুষজন সর্ব প্রথম গ্লাস তৈরি করেছিল। তাঁরা বালি থেকে সিলিকাকে…

কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে রসায়ন

কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে রসায়ন (Chemistry in Agriculture and Industries) শিল্পকারখানায় উৎপন্ন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মাটিতে প্রয়োগ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা হয়। চুনাপাথর (CaCO3) একটি মূল্যবান খনিজ সম্পদ। আমাদের দেশে সুনামগঞ্জ জেলার এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রচুর চুনাপাথর পাওয়া যায়। চুনাপাথর দ্বারা অনেক পদার্থ তৈরি করা যায়। যেমনঃ সিমেন্ট তৈরি করার প্রধান উপাদান হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহার…

অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রস্তুতি

অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রস্তুতি (Ammonium Sulphate) অ্যামোনিয়াম এবং সালফিউরিক এসিড বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2SO4] এবং পানি উৎপন্ন হয়। 2NH3 + H2SO4 → (NH4)2SO4 + H2O কৃষিক্ষেত্রে অ্যামোনিয়াম সালফেট এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। অ্যামোনিয়াম সালফেট ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে কাজেই মাটিতে ক্ষারকের পরিমাণ বেড়ে গেলে অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রয়োগ করে ক্ষারকের পরিমাণ কমানো হয়। এটি উদ্ভিদের অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি…

ইউরিয়া প্রস্তুত প্রণালী

ইউরিয়া প্রস্তুত প্রণালী ইউরিয়া মূল্যবান পদার্থ। কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের মিশ্রণকে উচ্চ চাপে এবং 130°C-150°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে প্রথমে অ্যামোনিয়া কার্বামেট (NH2COONH4) উৎপন্ন হয়। পরবর্তীতে অ্যামোনিয়াম কার্বামেট ভেঙে ইউরিয়া (NH2-CO-NH2) প্রস্তুত হয়। CO2 + 2NH3 → NH2COONH4 NH2COONH4 → NH2-CO-NH2 + H2O শিল্পক্ষেত্রে এবং কৃষিক্ষেত্রে ইউরিয়ার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে ইউরিয়া থেকে ম্যালামাইন পলিমার তৈরি করা হয়। কৃষিক্ষেত্রে ইউরিয়াকে সার হিসেবে…

টাইট্রেশন কাকে বলে?

টাইট্রেশন কাকে বলে? কোনো নির্দেশক ব্যবহার করে একটি জানা ঘনমাত্রার দ্রবণেল সাহায্যে অপর একটি অজানা দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের প্রক্রিয়াকে টাইট্রেশন বলে। অজ্ঞাত ঘনমাত্রার কোনো পরীক্ষাধীন দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত দ্রবণের কত আয়তনের সাথে কোনো প্রয়োজনীয় বিকারকের প্রমাণ দ্রবণের কত আয়তন সম্পূর্ণভাবে বিক্রিয়া করতে পারে তা উপযুক্ত নির্দেশকের উপস্থিতিতে নির্ণয় করার পরীক্ষা পদ্ধতিকে টাইট্রেশন (Titration)…

ওয়েল অব ভিট্রিয়ল কাকে বলে?

ওয়েল অব ভিট্রিয়ল কাকে বলে? অতি প্রাচীনকালে রসায়নবিদগণ যৌগের নামকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যৌগের ইতিহাসের উপর নির্ভর করতেন, সে যৌগটি জৈব যৌগ হোক আর অজৈব যৌগ থাকে। যেমন আলকেমী জাবীর ইবনে হাইয়ান অষ্টম শতাব্দীতে গ্রিন ভিট্রিয়লকে পাতন করে যে গ্যাস পেয়েছিলেন তাকে পানিতে দ্রবীভূত করে সালফিউরিক এসিড প্রস্তুত করেন। এ এসিডটি দেখতে তেলের মতো এবং গ্রিন…