নিডারিয়া পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ

পর্ব- Cnidaria [Gr. knide = neetle (কাঁটা) + aria = connected (সংযুক্ত)] প্রথম প্রকৃত Metazoa হিসাবে নিডারিয়া (Cnidaria) পর্বকে উল্লেখ করা যায়। কারণ— বহুকোষী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে দৃশ্যমান হয়। এই পর্বের প্রাণীদের সাধারণভাবে “Stinging Animal” নামে অভিহিত করা হয়। সর্বপ্রথম Coelenterata নামে উল্লেখ করা হলেও 1888 সালে Hatschek পর্বটিকে নিডারিয়া এই পর্বটিকে নামকরণ করেন। এই পর্বের প্রজাতি সংখ্যা প্রায়…

পরিফেরা পর্ব কি, এই পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ

পরিফেরা পর্ব কি পর্ব- Porifera [Lt. Porus = Pore (ছিদ্র) + ferre = bearer ( বহনকারী)] প্রাণী বিবর্তনের প্রথম ধাপ হিসাবে পরিফেরা (Porifera) পর্বের প্রাণীদের বিবেচনা করা হয়। বহুকোষী প্রাণী হলেও এদের জৈবিক প্রক্রিয়াসমূহ অঙ্গ বা তন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন না হয়ে কোষের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়ায় বিজ্ঞানীরা এই পর্বের প্রাণীদের Parazoa হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ল্যাটিন শব্দ Porous = ছিদ্র…

মাইটোকন্ড্রিয়া কি, এর গঠন এবং কাজ চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর

মাইটোকন্ড্রিয়া কি দ্বিস্তর বিশিষ্ট আবরণী পর্দা দ্বারা সীমিত কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ইত্যাদি সংঘটিত হয় ও শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে। Altman ১৯৮ মাইটোকন্ড্রিয়া আবিষ্কার করেন ও বায়োব্লাস্ট (bioblast) নামকরণ করেন। পরবর্তীতে Benda ১৮১৭ এদের মাইটোকন্ড্রিয়া নামকরণ করেন। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভৌত গঠন (Physical structure of mitochondria) (i) আকার, আকৃতি (Size…

সিলোম কি, সিলোমের প্রকারভেদ এবং এর গুরুত্ব

সিলোম কি এবং কাকে বলে বহুকোষী (metazoa) প্রাণীদের দেহ প্রাচীর ও পৌষ্টিক নালীর প্রাচীরের মধ্যবর্তী সিলোম রসে পূর্ণ বা শূন্য স্থানকে সিলোম বলে। যে সিলোম ভ্রূণীয় মেসোডার্ম স্তর থেকে উদ্ভূত হয় যা দেহ প্রাচীরের দিক থেকে পেরিটোনিয়াম প্যারাইটাল স্তর এবং অস্ত্রের প্রাচীরের দিক থেকে পেরিটোনিয়াম ভিসেরাল স্তর দ্বারা আবৃত থাকে তাকে প্রকৃত সিলোম (true coelom) বলে।…

জীববৈচিত্র্য কি এবং কাকে বলে | জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব

জীববৈচিত্র্য কি এবং কাকে বলে পৃথিবীর জলে, স্থলে ও বায়ুমণ্ডলে বসবাসকারী বৈচিত্র্যময় জীবকূলকে জীববৈচিত্র্য বলে। অন্যভাবে বলা যায় – জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে বসবাসরত সকল প্রকার জীবদের মধ্যে জিনগত, বাসস্থানগত, প্রজাতি ও প্রকরণগত ভিন্নতাকে জীববৈচিত্র্য বলে। জীববৈচিত্র্য তৈরির বিভিন্ন কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হল। জীবকুল ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার জন্য এদের মধ্যে অবস্থানগত ও আচরণগত তারতম্যের সৃষ্টি হয়…

প্রতিসাম্যতা কি

প্রতিসাম্যতা কি প্রাণী দেহের অক্ষ বরাবর এক বা একাধিক তলে বিভক্ত করে সমান অংশে ভাগ করা গেলে তাকে প্রতিসাম্যতা বলে। অনিয়ত দেহাকৃতির প্রাণীদের দেহ অক্ষ বরাবর যে কোন ছেদনতল বরাবর বিভক্ত করলে, সমান দুই অংশে ভাগ করা যায় না। তাই এদেরকে অপ্রতিসাম্য প্রাণী বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়—সমুদ্র তারা, মানুষ ইত্যাদি প্রতিসাম্য প্রাণী। পক্ষান্তরে শামুক একটি অপ্রতিসাম্য প্রাণী। প্রাণীদেহে পরিলক্ষিত বিভিন্ন ধরনের…

দ্বিপদ নামকরণ কি, কাকে বলে এবং এর নিয়মাবলি | ত্রিপদ নামকরণ কি

প্রাণী নামকরণ কি (Zoological nomenclature) : Nomenclature শব্দটি মূলত ল্যাটিন শব্দ nomen নাম ও calare ডাকা থেকে উদ্ভূত। কোনো বিশেষ প্রাণীকে শনাক্তকরণের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের কিছু নিয়মকানুনু ও পদ্ধতি অনুসারে প্রাণীর প্রতিটি প্রজাতির যে বিশেষ নাম প্রদান করা হয় তাকে নামকরণ বা নমতত্ত্ব (Nomenclature) বলে। প্রকৃতপক্ষে নামকরণের মাধ্যমে কোন অপরিচিত প্রাণীর পরিচিতি ঘটে। কোন প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম (scientific name) যেমন প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে…

শ্রেণীবিন্যাস কি এবং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

শ্রেণীবিন্যাস কি এবং কাকে বলে প্রাণীদের আকৃতি ও প্রকৃতিগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যাবলির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগ, শ্রেণী, বর্গ, গোত্র, গণ, প্রজাতি প্রভৃতি স্তরে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণীবিন্যাস (classification) বলে। শ্রেণীতত্ত্ববিদ Simpson ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে উল্লেখ করেন যে, Zoological classification is the ordering of animals into groups or sets on the basis of their relationship. অর্থাৎ পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রাণিকুলকে…

ক্লিভেজ কি এবং এর প্রকারভেদ আলোচনা কর

ক্লিভেজ কি যে পদ্ধতিতে যৌন জননকারী প্রাণীর জাইগোট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয়ে অসংখ্য ভ্রূণ কোষ সৃষ্টি করে তাকে ক্লিভেজ বলে। ক্লিভেজের মাধ্যমে সৃষ্ট ভ্রূণের প্রতিটি কোষকে ব্লাস্টোমিয়ার বলে। ক্লিভেজের প্রকারভেদ ক্লিভেজকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যায়। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচিত হল। ক. বিভাজনের ধরন অনুযায়ী (According to mode of segmentation) বিভাজনের ধরন অনুযায়ী ক্লিভেজকে নিম্নোক্ত দু’ভাগে ভাগ করা…

অমরা কি | অমরার কাজ | অমরার প্রকারভেদ

অমরা কি মনোট্রিম ব্যতীত অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর ডিম্বতে কুসুম থাকে না। কুসুম (yolk) মূলত বিকাশমান ভ্রূণের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্তন্যপায়ীদের বিকাশমান ভ্রূণের জন্য সঞ্চিত খাদ্য না থাকায় গর্ভধারণকারী মাকে ভ্রূণ বিকাশের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মাতৃদেহ থেকে পুষ্টি সরবরাহের জন্য ভ্রূণকলা ও মাতৃকলা মিলে যে বিশেষ অঙ্গের সৃষ্টি হয় তাকে অমরা (placenta) বলে। যে পদ্ধতিতে আমরা গঠিত ও…