শাসন বিভাগ বলতে কি বুঝায়

শাসন বিভাগ বলতে কি বুঝায় রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে। শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। শাসন বিভাগ মূলত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে গঠিত।

মোহাম্মদ আলী ফর্মুলা বুঝিয়ে লেখ

মোহাম্মদ আলী ফর্মুলা ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ নাজিমুদ্দীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত বগুড়ার মোহাম্মদ আলীকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মোহাম্মদ আলী যথা শীঘ্রই সংবিধান রচনায় মনোযোগ দেন এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সংবিধান রচনার প্রশ্নে কতকগুলো সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। তাঁর এ সিদ্ধান্তগুলো রিপোর্ট আকারে ১৯৫৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গণপরিষদে পেশ করা হয়। এই রিপোর্টই মোহাম্মদ আলী ফর্মুলা…

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পটভূমি

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পটভূমি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর উপনিবেশিক মনোভাব পূর্ব বাংলাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে রাখে। যে কারণে সংবিধান অনুযায়ী ১৯৫১ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনকে পিছিয়ে ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক-শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম এবং গণতন্ত্রী দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত…

যুক্তফ্রন্ট গঠনের উদ্দেশ্য কি

যুক্তফ্রন্ট গঠনের উদ্দেশ্য কি পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগকে প্রতিহত করার জন্য বাংলার কতিপয় নেতৃবৃন্দ মিলিতভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। এ রাজনৈতিক দলটি গঠনের পিছনে নানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল মুসলিম লীগের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ। আঞ্চলিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে মুসলিম লীগ আশার বাণী শুনিয়েছিল তা বাস্তবায়ন না করায় এর বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। এছাড়া আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল,…

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কী

  মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কী ভারতবর্ষে শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতিতে ১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এ আইনের কার্যকারিতা ব্রিটিশ সরকারের কাছে সন্তোষজনক মনে হলেও তা শিক্ষিত, সচেতন ভারতীয়দের তুষ্ট করতে পারেনি। ফলে ভারতীয়দের আইন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি অব্যাহত থাকে। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং মুসলমানদের স্বার্থ ও দাবি আদায়ের জন্য…

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব বর্ণনা কর

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশ দশসালা বন্দোবস্তকে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ ঘোষণা করেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব নিম্নরূপ- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ইতিবাচক প্রভাব হলো এ বন্দোবস্তের ফলে কোম্পানির রাজস্ব বৃদ্ধি, জমির মূল্য বৃদ্ধি এবং সরকার সমর্থক একটি গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের নেতিবাচক প্রভাব হলো মুসলমান জমিদারশ্রেণির সর্বনাশ হয়, প্রজাদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পায় এবং কোম্পানির আড্ডাবহ জমিদারশ্রেণির উদ্ভব ঘটে।   চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ও ফলাফল আলােচনা | চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি চিরস্থায়ী ব্যবস্থার প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন স্কটিশ চিন্তাবিদ ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাফ। লর্ড কর্নওয়ালিশ সর্বপ্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন (১৭৯৩ খ্রি. ২২ মার্চ)। [1] রাজস্ব আদায়ে পরীক্ষানিরীক্ষা: ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর থেকেই রাজস্ব…

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ও ফলাফল আলােচনা করাে | চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি লেখাে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি চিরস্থায়ী ব্যবস্থার প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন স্কটিশ চিন্তাবিদ ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাফ। লর্ড কর্নওয়ালিশ সর্বপ্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন (১৭৯৩ খ্রি. ২২ মার্চ)। [1] রাজস্ব আদায়ে পরীক্ষানিরীক্ষা: ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর থেকেই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে। খুব সহজভাবে অথচ বেশি পরিমাণে কীভাবে রাজস্ব আদায় করা যায়…

বেঙ্গল প্যাক্ট বলতে কি বোঝায়

বেঙ্গল প্যাক্ট বলতে কি বোঝায় খেলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার ফলে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি বিনষ্ট হবার উপক্রম হলে এ. কে. ফজলুল হক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, মোঃ আঃ করিম, মাওলানা আকরম খান, মনিরুজ্জামান ইসলামবাদী, মৌঃ মুজিবর রহমান প্রমুখ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যাদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন এবং হিন্দু-মুসলমানদের দাবি-দাওয়ার প্রশ্নে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। এ চুক্তি ঐতিহাসিক ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামে খ্যাত। চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টি, ১৯২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর কাউন্সিল সভায় এ চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়।

স্বদেশী আন্দোলন বলতে কি বোঝ

স্বদেশী আন্দোলন কি হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা প্রভাবিত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ সূচনালগ্ন থেকে বিভিন্নভাবে বঙ্গভঙ্গ রদের প্রচেষ্টা চালায়। এরই ধারাক্রমে তারা ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে স্বদেশী আন্দোলনের আদর্শকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এ আদর্শ অনুযায়ী তারা ব্রিটিশ দ্রব্য বর্জন, বিদেশি রীতিনীতি পরিহার এবং স্বদেশী পণ্য ব্যবহার করে দেশীয় সংস্কৃতিতে উজ্জীবিত হতে জনগণকে আহ্বান করে। এটিই ছিল স্বদেশী আন্দোলন।

মজলুম জননেতা বলা হয় কাকে এবং কেন

মজলুম জননেতা বলা হয় কাকে এবং কেন মজলুম জননেতা বলা হয় আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে । কেননা সারাজীবন তিনি সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ও জেলে-জুলুমের শিকার হয়েছেন। জনদরদি এ নেতা বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত উল্ককার মতো ছুটে বেড়িয়েছেন এবং ঔজস্বীনী বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে অধির সচেতনতায় ব্রত পালন করেছেন। এ কারণেই তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়।