তমদ্দুন মজলিস

তমদ্দুন মজলিস সম্পর্কে কি জানো? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট সংগঠন হলো। ‘তমদ্দুন মজলিশ’। মূলত এ সংগঠনটির মাধ্যমেই ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘তমদ্দুন মজলিশ প্রকাশিত‘ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ পুস্তিকায় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পেছনে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছিল। তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত…

জাতি ও জাতীয়তা কি এবং জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য কী কী

জাতি কি জাতি হচ্ছে জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত এবং রাজনৈতিকভাবে সুসংগঠিত এমন এক জনসমষ্টি যারা হয় স্বাধীন অথবা স্বাধীনতাকামী। ব্যুৎপত্তিগত অর্থে জাতি বলতে এক বংশোদ্ভূত জনসমষ্টিকে বোঝায়। আধুনিককালে জাতি (race) বলতে এমন এক জনসমষ্টিকে বোঝায়, যারা কতগুলো সাধারণ ঐক্যবোধে আবদ্ধ ও সংগঠিত। অর্থাৎ, আমরা জাতি বলতে সেই জনসমষ্টিকে বুঝি, যারা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বাস করে এবং যাদের মধ্যে বংশগত, ভাষাগত, বর্ণগত, কৃষ্টি…

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইংরেজদের বিরোধের কারণ ব্যাখ্যা কর

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইংরেজদের বিরোধের কারণ ব্যাখ্যা কর ইংরেজরা ভারতবর্ষে ব্যবসায় বাণিজ্য করার জন্য আগমন করলেও তারা এখানে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের নীল নকশা আঁকতে থাকে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব হিসেবে সিংহাসনে আরোহণের অল্পকাল পরেই ইংরেজদের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টার কারণে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইংরেজদের বিরোধ দেখা দেয় এবং ১৭৫৭ সালে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং নবাবের পরাজয় ঘটে।

ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর

ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ধরনের কৌশল গ্রহণ করে। ১৭৫৭ সালে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যুদ্ধ হয় এবং সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। সর্বশেষ ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসনের গোড়াপত্তন হয়। এভাবেই ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

কাউন্সিলর কাকে বলে? | মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা

কাউন্সিলর কাকে বলে? কোনও নগর বা শহরের পৌর প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সর্বোচ্চ কর্মকর্তাকে পৌরকর্তা বলা হয়। সাধারণত একজন পৌরকর্তা সংশ্লিষ্ট নগরী বা শহরের পৌর প্রশাসন প্রতিষ্ঠান (যেমন পৌরসভা, পুরসভা, পৌরসংস্থা, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, সিটি কর্পোরেশন, ইত্যাদি) নির্বাহী পরিষদের প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব ছাড়াও তিনি প্রায়শই নগর বা শহরের আনুষ্ঠানিক প্রতীক…

সূর্যাস্ত আইন বলতে কি বুঝায়

সূর্যাস্ত আইন বলতে কি বুঝায় ১৭৮৬ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। লর্ড কর্নওয়ালিশ গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পর নিয়মিত খাজনা আদায়ের জন্য অন্যান্য আইনের পাশাপাশি সূর্যাস্ত আইন বলবৎ করেন। মূলত কোম্পানির রাজস্ব একটি নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের পূর্বে দিতে অসমর্থ হলে কোম্পানি জমিদারি নিলামে বিক্রি করত। আর এটিই সূর্যাস্ত আইন বলে পরিচিত ছিল।

রাষ্ট্রপতির অপসারণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর

রাষ্ট্রপতির অপসারণ পদ্ধতি শারীরিক এবং মানসিক অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতি অপসারিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরে অভিযোগ আনয়ন করতে হবে। তখন স্পিকার একটি চিকিৎসা পর্ষদ গঠনের ব্যবস্থা করবেন। শেষ পর্যায়ে সংসদের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পর্ষদের রিপোর্ট গৃহীত হলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হবে।

প্রজাতন্ত্র বলতে কি বুঝায়

প্রজাতন্ত্র বলতে কি বুঝায় যে শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগ করে জনগণ এবং রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি নিয়োগ হয় জনগণের অংশগ্রহণে তাকেই সাধারণত প্রজাতন্ত্র বলে। যেমন- বাংলাদেশ। প্রজাতন্ত্রে রাজা বা রানির কোনো পদ থাকে না।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলতে কি বুঝ

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলতে কি বুঝ যে মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য এক ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার যে নীতি সংযোজন করা হয়েছে তাই রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি। ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এ চারটি নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১০, ১১ ও ১২নং অনুচ্ছেদে এসব নীতির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কেন প্রয়োজন

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কেন প্রয়োজন আধুনিককালে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের উদ্ভবের ফলে রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জাতীয় ও স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সরকারি ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে নিম্নস্তরে নিয়ে আসা। অর্থাৎ স্থানীয় শাসন কর্তৃপক্ষের ওপর কতিপয় দায়িত্ব ও ক্ষমতা হস্তান্তর করা প্রয়োজন। এতে স্থানীয়…