বহুবিভাজন কাকে বলে?
বহুবিভাজন কাকে বলে? যে পদ্ধতিতে এককোষী প্রাণীরা বার বার বিভাজিত হয়ে অসংখ্য অপত্য প্রাণীর সৃষ্টি করে তাকে বহু বিভাজন বলে। যেমন – এন্টামিবা (Entamoeba histoloytica), প্যারামেসিয়াম (Paramacium caudatum) ইত্যাদি।
বহুবিভাজন কাকে বলে? যে পদ্ধতিতে এককোষী প্রাণীরা বার বার বিভাজিত হয়ে অসংখ্য অপত্য প্রাণীর সৃষ্টি করে তাকে বহু বিভাজন বলে। যেমন – এন্টামিবা (Entamoeba histoloytica), প্যারামেসিয়াম (Paramacium caudatum) ইত্যাদি।
মুকুলোদগম কাকে বলে? যে প্রক্রিয়ায় অসম বিভাজনের মাধ্যমে মাতৃদেহ হতে এক বা একাধিক মুকুল সৃষ্টি হয়, যা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীকালে মাতৃদেহ হতে বিচ্ছিন্ন হয় এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করে তাকে মুকুলোদম বলে। যেমনঃ Hydra vulgaris (হাইড্রা)।
ট্রপিক হরমোন কাকে বলে? যে হরমোন অন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিকে তার হরমোন ক্ষরণে উদ্বুদ্ধ করে তাকে ট্রপিক হরমোন বলে। যে সমস্ত হরমোন কোনো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়ে দূরবর্তী কোনো স্থানে পরিবাহিত হয়ে অন্য কোনো অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হরমোন নিঃসরণে উদ্দীপিত করে তাদের ট্রপিক হরমোন বলে। বেশিরভাগ ট্রপিক হরমোন পূর্ববর্তী পিটুইটারী দ্বারা উৎপাদিত এবং নিঃসৃত হয়।…
ক্রোমাটিড কাকে বলে? প্রত্যেক ক্রোমোজোম দুটি প্রতিসম ও সমান্তরাল লম্বা সুতার মতো ক্রোমাটিড নিয়ে গঠিত। এরা সাধারণত সিস্টার ক্রোমাটিড নামে পরিচিত। প্রতিটি ক্রোমাটিড অনুদৈর্ঘ্য খাবে সাজানো দুই বা ততোধিক সূক্ষ্ম সূত্রাকার ক্রোমোনেমাটা নিয়ে গঠিত।
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা কাকে বলে? বিজ্ঞানের যে শাখায় শ্রেণিবিন্যাসের তত্ত্বসমূহ, মূলনীতি, নামকরণের নিয়মাবলি, প্রথা ও তাদের ব্যবহার সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy) বলে।
শ্রেণিকরণ বা শ্রেণিবিন্যাসকরণ কাকে বলে? সভ্যতার সূচনালগ্নে মানুষ বৈচিত্র্যময় জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসে সচেষ্ট হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রাণিজগতের সমস্ত প্রাণীকে তাদের মধ্যকার পারস্পরিক স্বাভাবিক সম্পর্কের ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিভিন্ন স্তরে বা ধাপে পর্যায়ক্রমে বিন্যাস করাকেই শ্রেণিকরণ বা শ্রেণিবিন্যাসকরণ বলে।
নামকরণ কাকে বলে? কোনো বিশেষ প্রাণীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে শ্রেণিবিন্যাসের যে সকল নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতি অনুসারে প্রতিটি প্রজাতিভুক্ত প্রাণীদেরকে নির্দিষ্ট ও বিশেষ নাম প্রয়োগ করা হয়, তাকে নামকরণ (Nomenclature) বলে। নামকরণের সাহায্যে প্রতিটি প্রজাতির একটি করে সর্বজনীন স্বীকৃত নাম দেয়া হয়। যেমন: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis।
মাইক্রো বা আণুবীক্ষণিক প্রাণী কাকে বলে? যেসব প্রাণী আকৃতিতে অত্যন্ত ক্ষুদ্র, খালি চোখে দেখা যায় না তাদের মাইক্রো বা আণুবীক্ষণিক প্রাণী বলে। যেমনঃ Plasmodium vivax (ম্যালেরিয়া জীবাণু), Amoeba proteus (অ্যামিবা)।
মাইক্রো বা বৃহত্তম প্রাণী কাকে বলে? যেসব প্রাণী আকৃতিতে বড়, খালি চোখে দেখা যায় তাদের ম্যাক্রো বা বৃহত্তম প্রাণী বলে। উদাহরণঃ Duttaphrynus melanostictus (কুনোব্যাঙ), Homo sapiens (মানুষ) ইত্যাদি।
মেরুদন্ডহীন প্রাণী কাকে বলে? যে সকল প্রাণীর মেরুদন্ড নেই তারাই মেরুদন্ডহীন প্রাণী। যেমনঃ Musca domestica (মাছি), Metaphire posthuma (কেঁচো) ইত্যাদি।