মজুদ পণ্য কি

মজুদ পণ্য কি কোনো কারবার প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের জন্য উৎপাদিত বা ক্রয়কৃত পণ্যের যে অংশ অবিক্রীত থেকে যায় এবং যা পূর্ণ বিক্রয়যোগ্য তাকে মজুদ পণ্য বলে। মজুত পণ্য একটি দৃশ্যমান ও স্পর্শযোগ্য চলতি সম্পদ। ইংরেজিতে একে stock বা Inventor বলে। অনেকে মনে করেন Inventory এর অর্থ হচ্ছে List of product. নিম্নে মজুত পণ্যের কিছু জনপ্রিয় সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো।…

কার্যপত্রকে আর্থিক বিবরণীর পরিপূরক বলা হয় কেন

কার্যপত্রকে আর্থিক বিবরণীর পরিপূরক বলা হয় কেন কোনো কারবার প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ যে বছরবিশিষ্ট শিটে লিপিবন্ধ করা হয় তাকে কার্যপত্র বলে। অন্যদিকে একটি কারবার প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য প্রকাশের জন্য বছর শেষে যে বিববরণী প্রস্তুত করে তাকে আর্থিক বিবরণী বলে। কারবারের সঠিক চিত্র প্রকাশের জন্য দুটোই খুবই প্রয়োজন। কার্যপত্র আর্থিক…

কার্যপত্র কি

কার্যপত্র বা ওয়ার্কশিট কি Worksheet বা কার্যপত্র হিসাবচক্রের একটি ঐচ্ছিক ধাপ। এটি তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কার্যপত্র সাধারণত বড় ধরনের কারবার প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। কার্যপত্র কাকে বলে যেকোনো কারবার প্রতিষ্ঠানের হিসাবকাল শেষে প্রাপ্ত বিভিন্ন লেনদেন হতে বিভিন্ন প্রকার আয় ব্যয়, সম্পত্তি, দায় নিয়ে হিসাববিকাশের একটি বহুঘর বিশিষ্ট প্রাথমিক খসড়াপত্রকে কার্যপত্র বা ওয়ার্কসিট বলে। নিম্নে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মনীষীদের গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা উল্লেখ করা…

বিপরীত দাখিলা কী

বিপরীত দাখিলা কী সমন্বয় জাবেদা করার পর যাবতীয় বকেয়া খরচ, বকেয়া আয়, অগ্রিম খরচ, অগ্রিম প্রাপ্ত আয়ের যে বিপরীত জাবেদা নেয়া হয় তাকে বিপরীত বা উল্টানো জাবেদা বা দাখিলা বলে। অর্থাৎ সমন্বয় জাবেদায় যা ডেবিট করা হয়েছে বিপরীত দাখিলায় উহা ক্রেডিট করতে হয়। আবার সমন্বয় দাখিলায় যা ক্রেডিট বিপরীত দাখিলায় তা ডেবিট, করতে হয়। Horngreen-এর মতে, “Reversing entry is an entry that…

সমাপনী জাবেদা বা দাখিলা কাকে বলে

সমাপনী জাবেদা বা দাখিলা কাকে বলে যেকোনো কারবার প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে আর্থিক অবস্থা ও লাভ-ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য সকল প্রকার আয় ব্যয়ের উদ্বৃত্তগুলো আয় বিবরণী, ক্রয়-বিক্রয়, লাভ-ক্ষতি হিসাবে স্থানান্তরের জন্য যে জাবেদা বা দাখিলা দেয়া হয় তাকে সমাপনী জাবেদা বা সমাপনী দাখিলা বলে। Pyle and Larso-এর মতে, “আয় ও ব্যয় হিসাব বন্ধ এবং নিট আয় মূলধন হিসাবে…

সমন্বয় দাখিলার প্রকারভেদ

সমন্বয় দাখিলার প্রকারভেদ আলোচনা কর যেকোনো কারবারি প্রতিষ্ঠানে যেসব সমন্বয় দাখিলা ব্যবহার করা হয় এদেরকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১. অগ্রিমসমূহ ও ২. বকেয়াসমূহ। নিচে অগ্রিমসমূহ ও বকেয়াসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ১. অগ্রিমসমূহ সকল প্রকার অগ্রিমসমূহ হতে চলতি হিসাবকালের মুনাফা জাতীয় অংশটুকু পৃথক করার জন্য যে জাবেদা দেয়া হয় তাকে অগ্রিম সমন্বয় দাখিলা বলে। ইহা দু’প্রকার, নিচে তা…

সমন্বয় দাখিলার প্রয়োজন কেন

সমন্বয় দাখিলার প্রয়োজন কেন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের রেওয়ামিল করার পর চূড়ান্ত হিসাব প্রস্তুত করার পূর্বে সমন্বয় দাখিলার মাধ্যমে হিসাবের ভুলত্রুটি সংশোধন করে নির্ভুল হিসাবরক্ষণে সহায়তা করে। নিচে এর গুরুত্ব আলোচনা করা হলো। ১. অলিখিত লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ : কারবার প্রতিষ্ঠানের অনেক অলিখিত লেনদেন আছে যা সমন্বয় জাবেদার মাধ্যমে সংশোধন করে হিসাবরক্ষণ কার্যকে সহজ নির্ভুল ও গতিশীল করতে সহায়তা করে। ২. ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দ্রব্যের সমন্বয় : অনেক…

সমন্বয় দাখিলা কি | সমন্বয় দাখিলা কাকে বলে

সমন্বয় দাখিলা বা জাবেদা কি একটি কারবার প্রতিষ্ঠানের হিসাবকাল শেষে লাভ-ক্ষতি ও আর্থিক বিবরণী জানার জন্য চূড়ান্ত হিসাব তৈরি করা হয়। মূলত রেওয়ামিলের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত হিসাব তৈরি করা হয়। কিন্তু হিসাবকালের সব বিষয় রেওয়ামিলে নাও থাকতে পারে। তাই অলিপিবদ্ধকৃত লেনদেনসমূহ সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করার কৌশলকে সমন্বয় জাবেদা বা সমন্বয় দাখিলা বলে। সমন্বয় দাখিলা কাকে বলে হারম্যানসন ও অন্যান্যের মতে, “আর্থিক কার্যাবলির…

অনিশ্চিত হিসাব কেন প্রস্তুত করা হয়

অনিশ্চিত হিসাব কেন প্রস্তুত করা হয় হিসাবের বইতে ভুল থাকার কারণে রেওয়ামিলের উভয় দিকে যখন সমতা আনয়ন করা সম্ভবপর হয় না, তখন সাময়িকভাবে অনিশ্চিত হিসাব খোলার মাধ্যমে রেওয়ামিলের উভয় দিকের যোগফল সমান করা অনিশ্চিত হিসাব তৈরির অন্যতম কারণ। রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের যোগফল কম হলে অনিশ্চিত হিসাব ডেবিট দিকে এবং ক্রেডিট দিকের যোগফল কম হলে অনিশ্চিত হিসাব ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করতে হয়। সাধারণত নিম্নলিখিত…

হিসাববিজ্ঞানের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক সূত্র বর্ণনা কর

হিসাববিজ্ঞানের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক সূত্র ব্যাখ্যাসহ বর্ণনা দুতরফা দাখিলাপদ্ধতি হিসাবরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেবিট এবং ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়ম আলোচনা করা হলো। ১. সনাতন পদ্ধতি হিসাবের শ্রেণিবিভাগের উপর ভিত্তি করে সনাতন পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করা হয়। একে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- (i) ব্যক্তিবাচক হিসাব (ii) সম্পত্তিবাচক হিসাব (iii) নমিক ও আয় ব্যয়বাচক হিসাব নিচে এদের বিশ্লেষণ দেয়া হলো।…