জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ | জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব | জীববৈচিত্র্যের অবনতির কারণ

জীববৈচিত্র্য কাকে বলে? ইংরেজি পরিভাষায় জীববৈচিত্র্যকে বায়োডাইভারসিটি বলা হয়। 1980 সালে ইংরেজি বায়োডাইভারসিটি শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠের জল ও স্থলভাগে বসবাসকারী সকল প্রকার জীবের মধ্যে বিরাজমান জীনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বিভিন্নতা ও সংখ্যা প্রাচুর্যতা রয়েছে এবং কালের ক্রমধারায় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের বৈচিত্র্যময় অবস্থার পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটানোকে বলা হয় জীববৈচিত্র্য।…

ট্রপিক চলন কাকে বলে? | ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ

ট্রপিক চলন কাকে বলে? বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়া হিসাবে উদ্ভিদের কোনও অংশের বাঁকানো বা চলাচলকে ট্রপিক চলন বলে। বহিঃউদ্দীপক উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। এসব চলনকে ট্রপিক চলন বলে। যেমনঃ আলোর প্রভাবে কাণ্ডের আলোর দিকে চলন ঘটে।   ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ ট্রপিক চলনকে পাঁচভাগে ভাগ করতে পারি। ফটোট্রপিক…

জীব বৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

জীব বৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহুবিধ। যথা – উদ্ভিদ প্রজাতি দিবালোকে পরিবেশ থেকে সংগৃহীত জল, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং খনিজ দ্বারা সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন করে নিজের কোশে সংরক্ষণ করে। মানুষ ও বেশির ভাগ প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ প্রজাতি বা বনজ সম্পদ থেকে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারের নানাবিধ পোশাক প্রস্তুত…

প্রজাতিগত বৈচিত্র্য কাকে বলে? প্রজাতিগত বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য

প্রজাতিগত বৈচিত্র্য কাকে বলে? সাধারণভাবে, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলতে নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ, প্রাণী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের অথবা বৃহৎ অর্থে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির উপস্থিতি ও পার্থক্যকে বোঝায়। প্রজাতি বৈচিত্র্যের সমার্থক শব্দরূপে জীববৈচিত্র্যকেও ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, বাস্তুতন্ত্র প্রতিটি জীবরে নির্দিষ্ট সংখ্যা ও তার প্রকৃতিকে নির্দেশ করে। নিরক্ষীয় বৃষ্টিঅরণ্য বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির…

সাইটোপ্লাজম কাকে বলে? সাইটোপ্লাজম এর বৈশিষ্ট্য | সাইটোপ্লাজম এর কাজ

সাইটোপ্লাজম কাকে বলে? কোষের প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াসের বাইরে জেলির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে। এটি প্রধানত আমিষ দ্বারা গঠিত। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে সাইটোপ্লাজমে যে সকল অঙ্গাণু দেখা যায় তা হলো – মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড (উদ্ভিদ কোষে), সেন্ট্রোসোম (প্রাণী কোষে), সেন্ট্রিয়োল (প্রাণী কোষে), রাইবোসোম, গলগি বডি, অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা, কোষ গহ্বর, লাইসোসোম ইত্যাদি। সর্বপ্রথম ১৮৬২ সালে বিজ্ঞানী রুডলফ ভন…

কোষ বিভাজন এবং তার প্রকারভেদ (Cell Division and its Classifications)

কোষ বিভাজন এবং তার প্রকারভেদ প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে তৈরি। একটিমাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি জীবদেহের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনাে কোনাে জীবের দেহ একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত, এদের বলা হয় এককোষী (unicellular) জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমােডিয়াম ইত্যাদি। এককোষী জীব বিভাজনের মাধ্যমেই একটি থেকে অসংখ্য…

জীবনীশক্তি ও ATP-এর ভূমিকা

জীবনীশক্তি ও ATP-এর ভূমিকা জীবনীশক্তি বা জৈবশক্তি (bioenergy) বলতে আমরা ভিন্ন বা বিশেষ কোনাে শক্তিকে বুঝাই না। পদার্থবিজ্ঞানে শক্তির যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা থেকে, এটি আলাদা কিছু নয়, শুধু জীবদেহ বা জৈব অণুর রাসায়নিক বন্ধন ছিন্ন করার মাধ্যমে প্রাপ্ত শক্তিকে এই নামে ডাকা হয় মাত্র। জীব প্রতিনিয়ত পরিবেশ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে, সংগৃহীত শক্তিকে একরূপ…

জাইগোট কাকে বলে?

জাইগোট কাকে বলে? একটি পুরুষ গ্যামেট (gamete) এবং স্ত্রী গ্যামেট উভয় একত্রিত হয়ে নিষেকের মধ্য দিয়ে যায় এবং একটি নতুন কোষ গঠন করে। একে জাইগোট বলা হয়। এটি একটি নতুন উন্নত ভ্রূণের প্রাথমিক পর্যায়। জাইগোটে ডিপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোম (Chromosome) থাকে যার এক সেট (Set) আসে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণু থেকে এবং অন্য সেটটি আসে…

সাইনোভিয়াল তরল কি?

সাইনোভিয়াল তরল কি? দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। প্রতিটি সন্ধির অস্থি প্রান্তগুলো একপ্রকার সরু দড়ির ন‍্যায় বন্ধনী অর্থাৎ লিগামেন্ট দ্বারা দৃঢ় ভাবে সংলগ্ন থাকে যাতে অস্থিগুলি সন্ধিস্থল হতে বিচ‍্যুত না হয়। আবার প্রতিটি সন্ধি একটি মসৃণ বহিরাবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। ওই বহিরাবরণের ভিতর দিক সাইনোভিয়াল মেনব্রেন দ্বারা আবৃত থাকে। ওই সাইনোভিয়াল মেনব্রেন থেকে…

প্রকরণ চলন কাকে বলে?

প্রকরণ চলন কাকে বলে? রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন দেখা যায় তাকে প্রকরণ চলন বলে। বনচাঁড়াল এর পাতার পার্শ্বীয় পত্রক দুটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পর্যায়ক্রমে উপর নিচে ওঠা-নামা করে। এটি এক প্রকারের রসস্ফীতি জনিত চলন যা কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই ঘটে।