মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য, মিশ্র গ্রন্থির কাজ, অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? যে সমস্ত গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা (হরমোন ক্ষরণকারী অংশ) এবং বহিঃক্ষরা (উৎসেচক ক্ষরণকারী অংশ) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে। মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ১) অনাল বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং অনাল বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যুক্ত হয়। ২) বহিঃক্ষরা অংশের ক্ষয় নালির মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে এবং অন্তঃক্ষরা অংশের ক্ষরণ রক্তের মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে পৌঁছায়। মিশ্র…

ভূ-আলোড়ন কাকে বলে?

ভূ-আলোড়ন কাকে বলে? ভূ-অভ্যন্তরস্থ প্রচন্ড তাপ ও চাপের ফলে সেই তাপের কোন কোন সময় অবস্থা বিশেষে ভূ-অভ্যন্তরে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ভূ-অভ্যন্তরে প্রবল শক্তির উদ্ভব হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উদ্ভুত শক্তি ভূত্বকে বা ভূ-পৃষ্ঠে আঞ্চলিক বা মহাদেশীয় ভূ-গঠন কাঠামোর যে বিকৃত ঘটায় তাকে ভূ-আলোড়ন বলে। ভূ-আলোড়নজনিত শক্তির অন্যতম উৎস ভূ-অভ্যন্তরস্থ তাপ। এ শক্তির…

বংশগতি কাকে বলে?

বংশগতি কাকে বলে? যে প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার আকার, আকৃতি, চেহারা, দেহের গঠন, প্রকৃতি, শরীরবৃত্ত, আচরণ ইত্যাদি নানাবিধ বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমিকভাবে তাদের সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয় তাকে বংশগতি বলে। অন্যভাবে, বংশগতি হলো পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানের মধ্যে জিনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্য অতিক্রম করার একটি উপায়।   জিন     বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে…

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি কাকে বলে? | নিউক্লিয়ার ঝিল্লির কাজ

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি কাকে বলে? নিউক্লিয়াস সজীব দুটি ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে- বহিঃঝিল্লি ও অন্তঃঝিল্লি। ঝিল্লি দুটিকে একসাথে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন বা নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলে। প্রতিটি মেমব্রেন দ্বিস্তরী ফসফোলিপিড বাইলেয়ার দ্বারা গঠিত। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এর রাসায়নিক উপাদান বিশুদ্ধ প্রোটিন। নিউক্লিয়ার ঝিল্লির কাজ নিউক্লিয়াসের রক্ষণাবেক্ষণ করাই নিউক্লিয়ার ঝিল্লির প্রধান কাজ। তা ছাড়া এটি নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোমকে সাইটোপ্লাজম…

নিষ্ক্রিয় শোষণ কাকে বলে?

নিষ্ক্রিয় শোষণ কাকে বলে? উদ্ভিদের খনিজ লবণ শোষণ ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বলে অনেক বিজ্ঞানী ধারণা পোষণ করেছেন। মাটির দ্রবণ এবং মূলরোমের কোষের দ্রবণের ঘনত্বের অসমতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ উদ্ভিদ কোষে প্রবেশ করে। দ্রবণ দুটির ঘনত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত সমান না হয় ততক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ শোষণ প্রক্রিয়ায় কোন বিপাকীয়…

জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে? জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে? যে পদ্ধতিতে কোনো শারীরবৃত্তীয় বা অর্থনৈতিক গুণমানযুক্ত জীবের প্রোটোপ্লাজমযুক্ত উন্নত কোশকে নির্দিষ্ট সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ করা হয়, তাকে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ বলে। এই জার্মপ্লাজম থেকে একই বৈশিষ্ট্য বা ভিন্ন গুণসম্পন্ন প্রজাতি সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিদ বা প্রাণীর জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সীড্ ব্যাংক ও জার্মপ্লাজম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। মূলত বিরল ও বিপন্ন…

বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য

বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য জৈব ও অজৈব পরিবেশের উপাদানের পার্থক্য ও আন্তঃপ্রক্রিয়ায় পৃথক পৃথক বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি, প্রজাতির জিনগত পার্থক্য ও একই প্রজাতির অভিযোজন এবং অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানের সরবরাহ বিভিন্ন মাত্রায় হওয়ায় একই ভৌগলিক অঞ্চলে অবস্থানকারী বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের শক্তি অর্জন, স্থানান্তর ও ব্যবহার ভিন্ন…

শ্রেণিবিন্যাসকরণের গুরুত্ব

শ্রেণিবিন্যাসকরণের গুরুত্ব সঠিকভাবে প্রাণিবিজ্ঞান পাঠে শ্রেণিবিন্যাসকরণের গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো – ১) প্রাণিজগতের অসংখ্য প্রাণী সম্বন্ধে অল্প সময়ে, অল্প পরিশ্রমে বিজ্ঞানসম্মতভাবে জানার সুবিধার্থে এদের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন। ২) শ্রেণিবিন্যাসে অভিব্যক্তির ধারা প্রতিফলিত হয়। তাই একটি পর্বের সাথে অন্যান্য পর্বের প্রাণীগুলোর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সহজেই ধরা পড়ে। ৩) শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমেই প্রাণিজগতের একটি প্র্রাণীর নির্দিষ্ট স্থান, অস্তিত্ব…

ইনভিভো জিনব্যাংক কাকে বলে? ইনভিট্রো জিনব্যাংক কাকে বলে?

ইনভিভো জিনব্যাংক কাকে বলে? এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে উদ্ভিদের বীজ বা রেণু দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। এমনকি সম্পূর্ণ উদ্ভিদকেও সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এই ধরনের সংরক্ষণের পদ্ধতিকে ইনভিভো জিনব্যাংক বলে। এটি Plant Genetic Resource সংরক্ষণের একটি চিরাচরিত পদ্ধতি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Seed Dormancy, Seed Borne Disease, Short-Life of Seeds ইত্যাদি। ইনভিট্রো জিনব্যাংক কাকে…