তৃতীয় অধ্যায় : ইবাদত, নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ইবাদত অর্থ কি?
উত্তর : ইবাদত অর্থ চূড়ান্তভাবে দীনত-হীনতা বা বিনয় প্রকাশ করা।
প্রশ্ন-২। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা।
প্রশ্ন-৩। কিসের মধ্যে মানুষের কল্যাণ নিহিত?
উত্তর : ইবাদতের মধ্যে মানুষের কল্যাণ নিহিত।
প্রশ্ন-৪। ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
প্রশ্ন-৫। ইবাদত কয় প্রকার?
উত্তর : ইবাদত দুই প্রকার।
প্রশ্ন-৬। সালাত আদায়ের পর কোথায় ছড়িয়ে পড়তে হয়?
উত্তর : সালাত আদায়ের পর জমিনে ছড়িয়ে পড়তে হয়।
প্রশ্ন-৭। সালাত অর্থ কী?
উত্তর : সালাত অর্থ দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ও রহমত কামনা করা।
প্রশ্ন-৮। সালাতের ফারসি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর : সালাতের ফারসি প্রতিশব্দ নামায।
প্রশ্ন-৯। সালাত কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর : সালাত আরবি শব্দ।
প্রশ্ন-১০। সালাত ইসলামের কততম রুকন?
উত্তর : সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন।
প্রশ্ন-১১। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম কিসের হিসাব নিবেন?
উত্তর : কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নিবেন।
প্রশ্ন-১২। সাওম অর্থ কী?
উত্তর : সাওম অর্থ বিরত থাকা।
প্রশ্ন-১৩। সাওমের ফারসি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর : সাওমের প্রতিশব্দ রোযা।
প্রশ্ন-১৪। রমযান মাসে সাওম পালন করা কী?
উত্তর : রমযান মাসে সাওম পালন করা ফরজ।
প্রশ্ন-১৫। সাওম ইসলামের কততম স্তম্ভ?
উত্তর : সাওম ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ।
প্রশ্ন-১৬। সাওম শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
উত্তর : সাওম আরবি শব্দ।
প্রশ্ন-১৭। কোন ইবাদতের প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন?
উত্তর : সাওমের প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন।
প্রশ্ন-১৮। ইসলামের সেতুবন্ধন কোনটি?
উত্তর : ইসলামের সেতুবন্ধন হলো যাকাত।
প্রশ্ন-১৯। যাকাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা ও বৃদ্ধি পাওয়া।
প্রশ্ন-২০। যাকাত অস্বীকারকারীদের কী বলা হয়?
উত্তর : যাকাত অস্বীকারকারীদের মুরতাদ বলা হয়।
প্রশ্ন-২১। গুরুত্বের দিক দিয়ে সালাতের পরই কার স্থান?
উত্তর : গুরুত্বের দিক দিয়ে সালাতের পরই যাকাতের স্থান।
প্রশ্ন-২২। হজ ইসলামের কততম ভিত্তি?
উত্তর : হজ ইসলামের পঞ্চম ভিত্তি।
প্রশ্ন-২৩। হজ এর আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর : হজ এর আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা।
প্রশ্ন-২৪। হজের ওয়াজিব কয়টি?
উত্তর : হজের ওয়াজিব সাতটি।
প্রশ্ন-২৫। ইহরাম কী?
উত্তর : আনুষ্ঠানিকভাবে হজের নিয়ত করাই হলো ইহরাম।
প্রশ্ন-২৬। মুসলমানদের জীবনে হজ কয়বার ফরজ?
উত্তর : মুসলমানদের জীবনে হজ একবার ফরজ।
প্রশ্ন-২৭। হজ অস্বীকারকারীদের কী বলা হয়?
উত্তর : হজ অস্বীকারকারীদের কাফির বলা হয়।
প্রশ্ন-২৮। বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলন কী?
উত্তর : বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মেলন হচ্ছে হজ।
প্রশ্ন-২৯। কার ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া উচিত?
উত্তর : শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন-৩০। হযরত মুহাম্মদ (স)-এর শ্রমিক ছিলেন কে?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স) এর শ্রমিক ছিলেন হযরত আনাস (রা)।
প্রশ্ন-৩১। কে আমিরুল মুমিনিন ছিলেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) আমিরুল মুমিনিন ছিলেন।
প্রশ্ন-৩২। মজুরের কী নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিযুক্ত করা যাবে না?
উত্তর : মজুরের পারিশ্রমিক নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।
প্রশ্ন-৩৩। হযরত আনাস (রা) কয় বছর রাসুলুল্লাহ (স)-এর খেদমত করেছেন?
উত্তর : হযরত আনাস (রা) দশ বছর রাসুলুল্লাহ (স)-এর খেদমত করেছেন।
প্রশ্ন-৩৪। ইলম কী শব্দ?
উত্তর : ইলম আরবি শব্দ।
প্রশ্ন-৩৫। ইলম অর্থ কী?
উত্তর : ইলম অর্থ জ্ঞান, বিদ্যা, অবগত হওয়া, জানা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩৬। ইসলাম অর্থ কী?
উত্তর : ইসলাম অর্থ আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ করা।
প্রশ্ন-৩৭। ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কোনটি?
উত্তর : ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস হলো আল-কুরআন।
প্রশ্ন-৩৮। ইলম কয়ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : ইলম দুইভাগে বিভক্ত।
প্রশ্ন-৩৯। ইসলামে জ্ঞানার্জনকে সকল মুসলিমের ওপর কী করেছে?
উত্তর : ইসলামে জ্ঞানার্জনকে সকল মুসলিমের ওপর ফরজ করেছে।
প্রশ্ন-৪০। কী জাতির মেরুদণ্ড?
উত্তর : শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।
প্রশ্ন-৪১। ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কয়টি?
উত্তর : ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস দুইটি।
প্রশ্ন-৪২। রাসুল (স)-এর বাণী, কাজ ও মৌনসম্মতিকে কী বলে?
উত্তর : রাসুল (স) এর বাণী, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদিস বলে।
প্রশ্ন-৪৩। ইসলামের দ্বিতীয় উৎস কোনটি?
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় উৎস হাদিস।
প্রশ্ন-৪৪। ইসলাম শিক্ষার তৃতীয় উৎস কোনটি?
উত্তর : ইসলাম শিক্ষার তৃতীয় উৎস ইজমা।
প্রশ্ন-৪৫। কে আদর্শ জাতি গঠনের কারিগরি?
উত্তর : শিক্ষক হলেন আদর্শ জাতি গঠনের কারিগরি।
প্রশ্ন-৪৬। শিক্ষকের সাথে কেমন আচরণ করা যাবে না?
উত্তর : শিক্ষকের সাথে অভদ্র আচরণ করা যাবে না।
প্রশ্ন-৪৭। শিক্ষার্থীদের কেমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে?
উত্তর : শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।
প্রশ্ন-৪৮। জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে কী পরিহার করতে হবে?
উত্তর : জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে লজ্জাশীলতা পরিহার করতে হবে।
প্রশ্ন-৪৯। ইমাম শাফেয়ি (র)-এর শিক্ষকের নাম কী ছিল?
উত্তর : ইমাম শাফেয়ি (র)-এর শিক্ষকের নাম ছিল আল্লামা ওয়াকি (র)।
প্রশ্ন-৫০। যিনি আমাদের শিক্ষা দেন তিনি কে?
উত্তর : যিনি আমাদের শিক্ষা দেন তিনি শিক্ষক।
প্রশ্ন-৫১। পৃথিবীর সবচাইতে সম্মান ও মর্যাদার পেশা কী?
উত্তর : পৃথিবীর সবচাইতে সম্মান ও মর্যাদার পেশা শিক্ষকতা।
প্রশ্ন-৫২। নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন কে?
উত্তর : নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (স)।
প্রশ্ন-৫৩। একজন ভালো শিক্ষক অন্যায়ের ব্যাপারে কেমন হবেন?
উত্তর : একজন ভালো শিক্ষক অন্যায়ের ব্যাপারে আপোষহীন হবেন।
প্রশ্ন-৫৪। একজন ভালো শিক্ষকের পোশাক কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : একজন ভালো শিক্ষকের পোশাক শালীন, মার্জিত হওয়া উচিত।
প্রশ্ন-৫৫। পিতামাতার পরই কার স্থান?
উত্তর : পিতামাতার পরই শিক্ষকের স্থান।
প্রশ্ন-৫৬। কারা অনুকরণ প্রিয়?
উত্তর : শিশুরা অনুকরণ প্রিয়।
প্রশ্ন-৫৭। রাসুল (স) কাদের উত্তরাধিকারী বলেছেন?
উত্তর : রাসুল (স) আলেমদের উত্তরাধিকারী বলেছেন।
প্রশ্ন-৫৮। ইসলামের চতুর্থ খলিফা কে?
উত্তর : ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি (রা)।
প্রশ্ন-৫৯। জিহাদ কোন ভাষার শব্দ?
উত্তর : জিহাদ আরবি শব্দ।
প্রশ্ন-৬০। জিহাদের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর : জিহাদের আভিধানিক অর্থ পরিশ্রম, সাধনা, কষ্ট, চেষ্টা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৬১। ইসলামে জিহাদ কয় প্রকার?
উত্তর : ইসলামে জিহাদ তিন প্রকার।
প্রশ্ন-৬২। কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে কী বলে?
উত্তর : কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে জিহাদে আকবর বলে।
প্রশ্ন-৬৩। জ্ঞানের সাহায্যে জিহাদ করাকে কী বলে?
উত্তর : জ্ঞানের সাহায্যে জিহাদ করাকে জিহাদে কাবির বলে।
প্রশ্ন-৬৪। রাসুল (স) কতগুলো জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর : রাসুল (স) প্রায় ১০০টি জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রশ্ন-৬৫। জিহাদের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : বান্দাকে মানবীয় কুপ্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্ত করে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর অনুগত বানিয়ে দেওয়া।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ইবাদত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চূড়ান্তভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা এবং নমনীয় হওয়া। আর ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধিবিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।
প্রশ্ন-২। ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তর : ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজ-কর্মে আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলে। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করে অসংখ্য নিয়ামত দিয়েছেন। তাই আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করতে হয়। ইবাদতে একনিষ্ঠ না হলে এটি কবুল হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘জিন ও মানবজাতিকে আমি আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত-৫৬)
প্রশ্ন-৩। ‘তাওহিদ মানবমনে ঐক্যের চেতনা জাগ্রত করে’– উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : তাওহিদ বা আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাস মানবসমাজে ভ্রাতৃত্ববন্ধন তৈরি করে ঐক্যের চেতনা সৃষ্টি করে।
তাওহিদে বিশ্বাস মানুষের মধ্যে এ ধারণা প্রতিষ্ঠা করে যে, সব মানুষই আল্লাহর বান্দা ও সমান মর্যাদার অধিকারী। তাই মানুষ একে অপরের উপরে শ্রেষ্ঠত্বের মানসিকতা দূর করতে পারে। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে এক কাতারে সামিল হওয়ার মানসিকতা লাভ করতে পারে। এভাবে তাওহিদে বিশ্বাস মানবমনে ঐক্যের চেতনা জাগ্রত করে।