উচ্চতর বা হাইলেভেল ভাষা কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা ও অসুবিধা।

অ্যাসেম্বলি ভাষার পরবর্তী প্রজন্মের প্রােগ্রাম ভাষাকে উচ্চতর বা হাইলেভেল ভাষা বলে। মেশিন ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য উচ্চতর ভাষার উদ্ভব হয়। বিভিন্ন ধরনের উচ্চস্তরের ভাষা হলাে সি++জাভাবেসিকপাইথন ইত্যাদি। হাই লেভেল ভাষা মানুষ দ্রুত লিখতে, বুঝতে ও মনে রাখতে পারে। উচ্চতর ভাষা ইংরেজি ভাষার মতোই। উচ্চতর ভাষায়, প্রােগ্রাম লেখার জন্য কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন সম্পর্কে ধারণার প্রয়ােজন নেই।

প্রোগ্রাম রচনায় উচ্চস্তরের ভাষা ব্যবহার করার কারণ
কম্পিউটারের পক্ষে লো লেভেল ভাষা বোঝা সহজ হলেও মানুষের পক্ষে লো লেভেল ভাষা বোঝা সহজসাধ্য নয়। এ সব অসুবিধা থেকে অব্যাহতির প্রচেষ্টার ফলে উচ্চতর ভাষার উদ্ভব হয়। মানুষের কাছাকাছি ভাষা হচ্ছে হাই লেভেল ভাষা। হাই লেভেল ভাষা মানুষ দ্রুত লেখতে, বুঝতে ও স্মরণ রাখতে পারে। এটি ইংরেজি ভাষার মতো। অসংখ্য লাইব্রেরি ফাংশন হাই লেভেল প্রোগ্রামে বিদ্যমান থাকে। হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ লেখা প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন করা সহজ। তাই হাইলেভেল (উচ্চস্তরের) ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা সুবিধাজনক।

উচ্চস্তরের ভাষার বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা

  • হাইলেভেল বা উচ্চস্তরের ভাষায় লিখিত প্রােগ্রাম যেকোনাে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
  • মানুষের পক্ষে লাে লেভেলের চেয়ে হাইলেভেল ভাষা শেখা সহজ।
  • হাইলেভেল ভাষায় তাড়াতাড়ি প্রােগ্রাম লেখা যায়।
  • লাে লেভেল ভাষার চার বা পাঁচটি নির্দেশের জায়গায় হাইলেভেল ভাষার মাত্র একটি বাক্য লিখলেই চলে।
  • প্রােগ্রাম লেখার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণার প্রয়ােজন নেই।
  • হাইলেভেল ভাষায় লেখা প্রােগ্রামের ভুল সংশােধন করা তুলনামূলক সহজ।
  • অসংখ্য লাইব্রেরি ফাংশন হাইলেভেল প্রােগ্রামে বিদ্যমান থাকে।
  • প্রোগ্রাম তৈরির সময় হার্ডওয়্যার নিয়ে ভাবতে হয় না।
  • কাজের পরিধি বড় বিধায় প্রোগ্রাম তুলনামূলকভাবে ছোট হয়।
উচ্চস্তরের ভাষার অসুবিধা
  • প্রোগ্রাম লেখার সময় আগে এ ভাষার স্ট্রাকচার জানতে হয়।
  • প্রোগ্রাম তৈরিতে ব্যবহৃত উচ্চস্তরের ভাষার প্রতিটি কমান্ডের সিনটেক্স জানতে হয়।
  • এ ভাষাকে মেশিন ভাষাতে রূপান্তরের জন্য কম্পাইলার প্রয়োজন হয় যা অনেকটা ব্যয়বহুল।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *