সমাক্ষরেখাঃ নিরক্ষরেখার উত্তরে ও দক্ষিণে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল করে অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এদেরকে সমাক্ষরেখা বলে। সমাক্ষরেখাগুলো পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী এক একটি পূর্ণবৃত্ত। এরা পরস্পর সমান্তরাল তবে সমান নয়। নিরক্ষরেখা এদের মধ্যে বৃহৎ।
দ্রাঘিমারেখাঃ সমাক্ষরেখা থেকে অবস্থান জানার জন্য পৃথিবীর দুই মেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এদেরকে দ্রাঘিমারেখা বা মধ্যরেখা বলে।
সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্যঃ
সমাক্ষরেখা
(১) সমাক্ষরেখাগুলো পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত।
(২) সমাক্ষরেখাগুলো এক একটি পূর্ণবৃত্ত।
(৩) সমাক্ষরেখাগুলো পরস্পর সমান্তরাল।
(৪) সমাক্ষরেখাগুলোর পরিধি পরস্পর অসমান।
(৫) সর্বোচ্চ অক্ষাংশ ৯০°।
(৬) নিরক্ষরেখা থেকে সমাক্ষরেখা গণনা করা হয়।
(৭) একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত প্রত্যেক দেশের স্থানীয় সময় এক হয় না।
(৮) একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলো একে অন্যের পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত।
দ্রাঘিমারেখা
(১) দ্রাঘিমারেখাগুলো উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত।
(২) দ্রাঘিমারেখাগুলো এক একটি অর্ধবৃত্ত।
(৩) দ্রাঘিমারেখাগুলো পরস্পর সমান্তরাল নয়।
(৪) দ্রাঘিমারেখাগুলোর পরিধি পরস্পর সমান।
(৫) সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০°।
(৬) মূল মধ্যরেখা থেকে দ্রাঘিমারেখা গণনা করা হয়।
(৭) একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত প্রত্যেক দেশের স্থানীয় সময় এক হয়।
(৮) একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলো একে অন্যের উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত