ইলেকট্রিসিটি কি? ইলেকট্রিসিটির প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য – What is Electricity?
তড়িৎ বা বিদ্যুৎ যার ইংরেজি নাম হলো ইলেকট্রিসিটি, এটি একটি বিশেষ শক্তি। এটি এমন একটি শক্তি, যা আমরা চোখে দেখতে পাই না অথচ অনুভব করতে পারি। আর এ অদৃশ্য শক্তি হলো বিদ্যুৎ। গ্রিক শব্দ ‘ইলেকট্রন’ হতে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতের নামকরণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ এমন একটি শক্তি, যার উপস্থিতিতে কোন বস্তু আকর্ষণ গুণ প্রাপ্ত হয়। বিদ্যুৎ এর আর এক নাম চার্জ। শুকনো রেশমি কাপড় দ্বারা কাঁচ দণ্ড অথবা পশমি চামড়া দ্বারা এবােনাইট দণ্ডকে ঘষলে কাঁচ বা এবােনাইট দণ্ডে এক প্রকার বিদ্যুৎ বা চার্জের সঞ্চার হয়। ফলে দণ্ডগুলাে ছােট ছােট কাগজের টুকরা আকর্ষণ করে। অর্থাৎ, কোন বস্তুকে অপর কোন বস্তু দিয়ে ঘর্ষণ করা হলে তাদের মধ্যে নতুন ধর্ম লাভ করে, তারা অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে। এ ধর্মকেই তড়িৎ বা বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি বলে।
ইলেকট্রিসিটির প্রকারভেদ
বিদ্যুৎ দুই প্রকার। যথা–
ক) স্থির বিদ্যুৎ
খ) চল বিদ্যুৎ
বস্তুতে সঞ্চিত চার্জ বা বিদ্যুৎ যখন চলাচল না করে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে, তখন তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে। আর বাহ্যিক শক্তির প্রভাবে যখনই চার্জগুলাের চলাচল শুরু হয়, তখন তাকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বলা হয়। স্থির ও চলবিদ্যুতের গতিবিধি বােঝার জন্য ব্যাটারি বা ক্যাপাসিটরকে বিবেচনা করা যেতে পারে। ব্যাটারি বা ক্যাপাসিটরকে কার্যোপযােগী করার জন্য চার্জের প্রবাহ ঘটিয়ে এদের অভ্যন্তরে চার্জকে জমিয়ে রাখা হয়। এক্ষেত্রে প্রবহমান চার্জকে চলবিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিক কারেন্ট এবং সঞ্চিত চার্জকে স্থির বিদ্যুৎ বলা হয়।
বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিসিটির বৈশিষ্ট্য
কোনাে পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তিন ধরনের ক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। যথা–
ক) চৌম্বক ক্রিয়া (Magnecti Effect)
খ) তাপীয় ক্রিয়া (Heating Effect)
গ) রাসায়নিক ক্রিয়া (Chemical Effect)
চৌম্বক ক্রিয়া : কোনাে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করলে এর চারিদিকে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একে বিদ্যুৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া বলে।
তাপীয় ক্রিয়া : কোনাে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ চলাচল করলে তাপ উৎপন্ন হয়। একে বিদ্যুৎ প্রবাহের তাপীয় ক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক ক্রিয়া : কোনাে কোনাে তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করলে তরলে রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। একে বিদ্যুতের রাসায়নিক ক্রিয়া বলে।