গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী পল্লবী মণ্ডলের (২৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। করোনার কারণে সেশনজটে পড়াশোনা শেষ না হওয়ায় পল্লবী ‘হতাশাগ্রস্ত’ হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমান।
শুক্রবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শুকুরমারি এলাকা থেকে পল্লবীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, রাতে নানীর সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন পল্লবী। সকালে রান্নাঘরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এবিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমান বলেন, পারিবারিক সূত্রে জেনেছি সেশনজটের কারণে পল্লবী মণ্ডল কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। তার মা এসেছিলেন এ বিষয়ে কথা বলতে। শুনেছি রাত জেগে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতেন পল্লবী। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সৃষ্ট সেশনজটে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এজন্য কিছুদিন আগে মিডটার্ম পরীক্ষায় পর্যন্ত সে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
সহপাঠীরা জানান, পল্লবী বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা, বিশেষ করে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে সৃষ্ট সেশনজটের কারণে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
পল্লবীর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।