পড়াশোনা

ব্যুরেট কী? রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে সতর্কতা ব্যাখ্যা করো।

1 min read

ব্যুরেট একটি দাগ কাটা সুষম ছিদ্রবিশিষ্ট কাচনল। এর একপ্রান্ত সরু নলে পরিণত করা থাকে ও সরু প্রান্তের একটু উপরে একটি স্টপকর্ক থাকে। এটি সাধারণত 50mL আয়তনের হয়ে থাকে এবং প্রত্যেক mL দাগ 10টি সমান অংশে ভাগ করা থাকে।

রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে সতর্কতা।

ল্যাবরেটরিতে কাজ করার পূর্বশর্ত হলো সতর্কতা। মুহূর্তের অসতর্কতার কারণে ঘটে যেতে পারে যে কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।

ত্বক এবং পোশাকে যাতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকে লাগলে তা ত্বক কর্তৃক শোষিত হয়। এতে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ল্যাবরেটরির কোথাও রাসায়নিক দ্রব্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লে তা দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যেন পরিষ্কার করার সময় হাতে গ্লাভস পড়া থাকে। বিকারক বোতল ব্যবহারের সময় কখনো ছিপি খোলা অবস্থায় রাখা উচিত নয়।

যদি কখনোও বিকারক বোতল বা পাত্র হতে রাসায়নিক দ্রব্য মেঝেতে বা পরীক্ষণ টেবিলের উপর পড়ে যায়, তবে উঠিয়ে পুনরায় উক্ত বিকারক বোতলে রাখা যাবে না, এতে বাহির হতে অন্য কোনো বস্তু বিকারক বোতলে সংযুক্ত হয়ে বিস্ফোরণের মতো বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ল্যাবরেটরিতে কোনো রাসায়নিক পদার্থের স্বাদ গন্ধ, প্রভৃতি জিহ্বা বা নাক দিয়ে নেয়া যাবে না। এতে স্বাস্থ্যের প্রতি বড় আকারের ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। যেমন- ক্লোরিন যুক্ত দ্রাবক, বেনজিন, টলুইন, ন্যাপথা, জৈব পদার্থ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এগুলো ব্যবহারে সময় সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। জৈব দ্রাবক নিয়ে কাজ করার সময় অত্যন্ত কম পরিমাণ বিকারক ব্যবহার করা উচিত, এতে বিপর্যয়ের ঝুঁকি কম হয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x