মেহেদি কি?

হাত ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মেহেদি বেশ সুপরিচিত। মেহেদি গাছের পাতার রস মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে আসলে ত্বক উজ্জ্বল ও গাঢ় সুন্দর বাদামী বর্ণ ধারণ করে। কারণ মেহেদি পাতার নির্যাসে অম্লধর্মী  লাসোন বা 2-হাইড্রক্সি-1, 4-ন্যাপথা কুইনোন নামক জৈব যৌগ থাকে। এটি প্রোটিনের অ্যামিনো গ্রুপের সাথে সংযুক্ত হয়ে রঙ্গিন বর্ণ সৃষ্টি করে। যতক্ষণ ত্বকের মৃত কোষ ত্বক থেকে অপসারিত না হয় ততক্ষণ মেহেদির রঙ্গিন বর্ণ থেকে যায়। মেহেদি পেস্টের মধ্যে চিনি ব্যবহার করলে বর্ণের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর হরেক রকম মেহেদি পাওয়া গেলেও তাতে অনেক সময় কেমিক্যালস্ ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য হতে পারে ক্ষতির কারণ। উল্লেখ্য, লাসোন গরম পানিতে এবং অম্লীয় দ্রবণে সহজে দ্রবীভত হয় বিধায় মেহেদি পেস্ট তৈরি করায় গরম পানি ব্যবহার করা হয় এবং অম্লীয় করার জন্য সাইট্রিক এসিড, অ্যাডিপিক এসিড যোগ করা হয়। মেহেদি পেস্টের pH এর মান 5.5 হলে এটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। মেহেদী পেস্টের সাথে ক্যাজিপুট তেল, লেভেন্ডার তেল, তারপিন, তার্পিনোয়িল, জিরানিওল, সিনিওল ইত্যাদি এসেনসিয়াল তেল ব্যবহার করলে মেহেদি পেস্ট হতে রঞ্জক পদার্থ দ্রুত ত্বকের কোষের সাথে যুক্ত হয়। এতে স্বল্প সময়ে গাঢ় রং পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *