আয়নীকরণ শক্তি কাকে বলে? আয়নীকরণ শক্তির উপর নিয়ামকের প্রভাব।
আয়নীকরণ শক্তি কি বা কাকে বলে? (What is Ionization energy in Bengali/Bangla?)
আয়নীকরণ শক্তি হল মৌলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম। গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।
আয়নীকরণ শক্তির উপর বিভিন্ন নিয়ামকের প্রভাব (Effect of various factors on Ionization energy)
মৌলের আয়নীকরণ শক্তির মান সাধারণভাবে নিম্নোক্ত বিষয় বা নিয়ামকসমূহের (Factors) উপর নির্ভর করে :
১. পরমাণুর আকার
২. নিউক্লিয়ার চার্জ
৩. ইলেকট্রন বিন্যাস
৪. অর্ধপূর্ণ বা পূর্ণ অরবিটাল
১. পরমাণুর আকার (Size of atom) : পরমাণুর আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নীকরণ শক্তি কমতে থাকে। কারণ পরমাণুর আকার বড় হওয়ার সাথে সাথে নিউক্লিয়াস হতে সর্ব বহি:স্তরের ইলেকট্রন মেঘের দূরত্ব বেড়ে যায় ফলে আকর্ষণ কমে যায় এবং সহজেই ইলেকট্রন অপসারিত হয়। যেমন Na ও K এর আকার যথাক্রমে 1.9Å ও 2.35Å।
আয়নীকরণ শক্তি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
যেকোনো পর্যায়ে IA শ্রেণীর মৌলসমূহের আয়নীকরণ শক্তি সবচেয়ে কম কেন?
উত্তরঃ পর্যায় সারণীর যে কোন পর্যায় বামদিকে গ্রুপ-IA থেকে শুরু হয়। আবার যেকোনো পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে পারমাণবিক আকার সংকোচনের কারণে আয়নীকরণ বিভবের মান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ কারণে সর্ববামে অবস্থিত IA গ্রুপের মৌলসমূহের আয়নীকরণ শক্তি সবচেয়ে কম।
ম্যাগনেসিয়ামের চেয়ে ক্যালসিয়ামে আয়নীকরণ শক্তি কম কেন?
উত্তরঃ ম্যাগনেসিয়াম ৩য় পর্যায়ের ২য় গ্রুপের মৌল। আর ক্যালসিয়াম ৪র্থ পর্যায়ের ২য় গ্রুপের মৌল।
একই গ্রুপে যত নিচের দিকে যাওয়া হয় ইলেকট্রনের একটি নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়। ফলে নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় নিউক্লিয়াসের সাথে আকর্ষণ কমে যায়। আকর্ষণ কমে যাওয়ায় সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর হতে ইলেকট্রন বের করতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়।
তাই ম্যাগনেসিয়ামের চেয়ে ক্যালসিয়ামের আয়নিকরণ শক্তি কম।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “আয়নীকরণ শক্তি কাকে বলে? ” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।