অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ কি? এ রোগের উৎস, বিস্তার লক্ষণ এবং প্রতিরোধ।

অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, যা মানুষ এবং অন্যান্য গবাদি পশুকে আক্রমণ করে। ব্যাসিলাস অ্যান্থ্রাসিস (Bacillus anthrasis) নামক জীবাণুর কারণে এ রোগ হয়ে থাকে।

অ্যানথ্রাক্স রোগের উৎস

বিংশ শতাব্দীর পূর্বে ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়ায় প্রতিবছর হাজার হাজার প্রাণী ও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যেত। কিন্তু, বর্তমানে এর বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কারের ফলে এটি মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করে না।

অ্যানথ্রাক্স রোগের বিস্তার

Anthrax সাধারণত বন্য ও গৃহপালিত তৃণভোজী প্রাণীদের সংক্রমিক করে। পরবর্তীতে আক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে মাংসাশী প্রাণীরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মানবদেহে Anthrax-এর জীবাণু তিনভাবে প্রবেশ করতে পারে। যথা- খাদ্যের মাধ্যমে, শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ও চামড়ার মাধ্যমে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী কোনো ব্যক্তি বা মৃত পশুর মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। আক্রান্ত পশুর চামড়া, মাংস ব্যবহারকারীর মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।

অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ:

i) চামড়ায় ক্ষত (Cutaneous Anthrax)

ii) ফুসফুসে ক্ষত (Pulmonary Anthrax)

iii) ডায়রিয়া (Intestinal Anthrax)

 

 

অ্যানথ্রাক্স কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

নিম্নলিখিত উপায়ে এনথ্রাক্স প্রতিরোধ করা যায়:

  • আক্রান্ত ব্যক্তি বা পশু থেকে নিরাপদ অবস্থানে থাকা।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি বা পশুর সংস্পর্শে আসলে হাত ও শরীর ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
  • আক্রান্ত পশুর মাংস ও দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • মৃত পশুকে ভালোভাবে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা।
  • আক্রান্ত হওয়ার আগেই মানুষ ও পশুকে এনথ্রাক্সের ভ্যাকসিন প্রদান করা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *