স্থির তড়িৎ বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. আধান কি?
উত্তর :
 চার্জযুক্ত পরমাণুই হচ্ছে আধান।

প্রশ্ন-২. দুটি বস্তুর পারস্পরিক ঘর্ষণের ফলে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর :
 আধান।

প্রশ্ন-৩. তড়িৎ আধানের একক কী?
উত্তর :
 তড়িৎ আধানের একক কুলম্ব।

প্রশ্ন-৪. বজ্রনাদ কী?
উত্তর :
 বজ্রপাতের সাথে সাথে যে শব্দ শোনা যায় তাই বজ্রনাদ।

প্রশ্ন-৫. তড়িৎ বিভবের একক কী?
উত্তর :
 তড়িৎ বিভবের একক ভোল্ট।

প্রশ্ন-৬. বিপরীত ধর্মী দুইটি চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল বলের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর :
 বিপরীত ধর্মী দুইটি চার্জের মধ্যে আকর্ষণ বল কাজ করে।

প্রশ্ন-৭. পৃথিবীর বিভব কত?
উত্তর :
 পৃথিবীর বিভব শূন্য।

প্রশ্ন-৮. সমধর্মী দুটি আধানের মাঝে কী ধরনের বল ক্রিয়া করে?
উত্তর :
 সমধর্মী দুটি আধানের মাঝে বিকর্ষণ বল ক্রিয়া করে।

প্রশ্ন-৯. তড়িৎ তীব্রতা কী রাশি?
উত্তর :
 তড়িৎ তীব্রতা ভেক্টর রাশি।

প্রশ্ন-১০. তড়িৎ প্রবাহের একক কি?
উত্তর :
 তড়িৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার।

প্রশ্ন-১১. ধনাত্মক বিভব কাকে বলে?
উত্তর :
 ধনাত্মক আধানে আহিত পরিবাহের বিভবকে ধনাত্মক বিভব বলে।

প্রশ্ন-১২. তড়িৎ আবেশ কাকে বলে?
উত্তর :
 একটি আহিত বস্তুর প্রভাবে অনাহিত বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

প্রশ্ন-১৩. আবেশী আধান কাকে বলে?
উত্তর :
 যে আধান কোনো অনাহিত পরিবাহীতে তড়িৎ আবেশের সৃষ্টি করে তাকে আবেশী আধান বলে।

প্রশ্ন-১৪. তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর :
 কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে প্রবাহিত আধানকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১৫. ইলেকট্রোস্কোপ বা তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর :
 যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি নির্ণয় করা যায় তাকে ইলেকট্রোস্কোপ বা তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র বলে।

প্রশ্ন-১৬. তড়িৎ ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর :
 একটি আহিত বস্তুর চারিদিকে যে অঞ্চলব্যাপী তার প্রভাব বজায় থাকে অর্থাৎ অন্য কোনো আহিত বস্তু আনা হলে সেটি আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল লাভ করে সেই অঞ্চলকে ঐ আহিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র বলে।

প্রশ্ন-১৭. তড়িৎ তীব্রতা কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ তীব্রতা বলে।

প্রশ্ন-১৮. তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎ ক্ষেত্রে একটি মুক্ত ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি যে পথে পরিভ্রমণ করে তাকে তড়িৎ বলরেখা বলে।

প্রশ্ন-১৯. তড়িৎ বিভব বা ইলেকট্রিক পটেনশিয়াল কাকে বলে?
উত্তর :
 অসীম দূরত্ব থেকে প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বা ইলেকট্রিক পটেনশিয়াল বলে।

প্রশ্ন-২০. বিভব পার্থক্য কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য এক বিন্দুতে একক ধনাত্মক চার্জকে নিয়ে যেতে বৈদ্যুতিক বলের বিরুদ্ধে যে কাজ করতে হয় তাকে ঐ বিন্দুদ্বয়ের বিভব পার্থক্য বলে।

প্রশ্ন-২১. তড়িৎ বল কাকে বলে?
উত্তর :
 আধানসমূহ পরস্পরের ওপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে তড়িৎ বল বলে।

প্রশ্ন-২২. হারানো ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তর :
 কোনো তড়িৎ কোষের অভ্যন্তরীণ রোধের জন্য যে শক্তি বা বিভব ব্যয় হয় তাকে হারানো ভোল্ট বলে।

প্রশ্ন-২৩. কাচদণ্ডকে রেশম দ্বারা ঘষলে কোনটি কোন ধরনের আধানে আহিত হয়?
উত্তর :
 কাচদণ্ডকে রেশম দ্বারা ঘষলে রেশম ঋণাত্মক এবং কাচদণ্ড ধনাত্মক আধানে আহিত হয়।

প্রশ্ন-২৪. কুলম্বের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর :
 সমপরিমাণ ও সমধর্মী দুইটি আধান শূন্য 1 m দূরত্বে থেকে পরস্পর যদি পরস্পরকে 9 × 109 N বলে বিকর্ষণ করে তবে আধানদ্বয়ের প্রত্যেককে কুলম্ব (1C) আধান বলে।

প্রশ্ন-২৫. তড়িৎচালক শক্তি কী?
উত্তর :
 কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িৎচালক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-২৬. বিভব কাকে বলে?
উত্তর :
 অসীম দূরত্বের কোনো স্থান হতে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিদ্যুৎ একক ধনাত্মক চার্জ আনতে যে কাজ করতে হয় তাকে ঐ বিন্দুর বিভব বলে।

প্রশ্ন-২৭. পরিবাহক কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সকল পদার্থের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ তথা আধান সহজে চলাচল করতে পারে তাদেরকে পরিবাহক বা পরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-২৮. অপরিবাহক কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সকল পদার্থের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ তথা আধান চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অন্তরক বা অপরিবাহক বলে।

প্রশ্ন-২৯. মেঘ গর্জন কী?
উত্তর :
 বিদ্যুৎচ্চমকের সময় মেঘের চবার পাশের বায়ুমন্ডলের চাপের সংকোচন ও প্রাসরণের ফলে যে প্রচন্ড শব্দের সৃষ্টি হয় তাকে মেঘ গজণ বলে।

প্রশ্ন-৩০. চার্জ কাকে বলে?
উত্তর :
 পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকেই আধান বা চার্জ বলে।

প্রশ্ন-৩১. বজ্রপাত কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িতাহিত মেঘে যদি তড়িতের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তা তড়িৎক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসে। একে বজ্রপাত বলে।

প্রশ্ন-৩২. ঋণাত্মক বিভব কাকে বলে।
উত্তর :
 ঋণাত্মক আধানে আহিত পরিবাহকের বিভবকে ঋণাত্মক বিভব বলে।

প্রশ্ন-৩৩. বিদ্যুৎ চমক কাকে বলে?
উত্তর :
 তাড়িতাহিত দুটি মেঘ কাছাকাছি এলে তাদের মধ্যে তড়িৎক্ষরণ হয়, তখন বিরাট অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়। একে বিদ্যুচ্চমক বলে।

প্রশ্ন-৩৪. তড়িৎক্ষেত্রের তীব্রতা কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ ক্ষেত্রের তীব্রতা বলে।

প্রশ্ন-৩৫. বজ্র নিরোধক কাকে বলে?
উত্তর :
 অনাকাঙ্খিত বজ্রপাত থেকে বাড়িঘর রক্ষার জন্য বাড়ির ছাদের চেয়ে উঁচু করে ধাতব দন্ডের সাহায্যে মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত পুতে রাখা হয় এবং এই দন্ডকেই বজ্র নিরোধক বলে।

প্রশ্ন-৩৬. ধারক কাকে বলে?
উত্তর :
 যে যান্ত্রিক কৌশল চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে পারে এবং প্রয়োজনের সময় চার্জ সরবরাহ করে তাকে ধারক বলে।

প্রশ্ন-৩৭. আবেশি আধান ও আবিষ্ট আধান বলতে কী বোঝ?
উত্তর :
 আহিত বস্তুর যে আধান তড়িৎ আবেশের মাধ্যমে পরিবাহকে আবেশ সৃষ্টি করে তাকে আবেশি আধান বলে। তড়িৎ আবেশের ফলে কোনো পরিবহাকে যে আধানের সঞ্চার হয় তাকে আবিষ্ট আধান বলে।

প্রশ্ন-৩৮. কুলম্বের সূত্রটি বিবৃত করো।

উত্তর : কুলম্বের সূত্রটি হলো- একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু আধানের মধ্যবর্তী আকর্ষণ বল আধানদ্বয়ের পরিমাণের গুণফলে সমানুপাতিক, মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এই বল এদের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিযা করে।

প্রশ্ন-৩৯. পৃথিবীর বিভব শূন্য কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :
 পৃথিবী এতই বৃহৎ যে এর থেকে কিছু আধান আদান বা প্রদান করলে এর চার্জের কোন পরিবর্তন হয় না। তাই পৃথিবীর বিভব শূন্য ধরা হয়।

প্রশ্ন-৪০. সুষম তড়িৎক্ষেত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর :
 কোনো তড়িৎক্ষেত্রের সকল বিন্দুতে প্রাবল্য যদি একই হয় অর্থাৎ তড়িৎক্ষেত্রের সকল বিন্দুতে প্রাবল্যের মান সমান এবং দিক একই হয় তবে ঐ তড়িৎক্ষেত্রকে সুষম তড়িৎক্ষেত্র বলা হয়। সুষম তড়িৎক্ষেত্রের বলরেখাগুলোর পরস্পর সমান্তরাল ও সম ঘনত্ববিশিষ্ট হয়।

প্রশ্ন-৪১. আকাশে বিজলী চমকায় কেন?
উত্তর :
 মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে স্থির বৈদ্যুতিক আধান উৎপন্ন হয়। আহিত দুৎটি মেঘ খন্ডের অবস্থান কাছাকাছি থাকলে বিদ্যুৎক্ষরণ চলতে থাকে এবং আলোর ঝলকানি দেখা যায়। এভাবেই আকাশে বিজলী চমকায়।

প্রশ্ন-৪২. ট্যাংকারে জ্বালানী পূর্ণ করার পূর্বে ট্যাংকারকে ভূ-সংযুক্ত করা হয় কেন?
উত্তর :
 ট্যাংকারে জ্বালানী পূর্ণ করার সময় স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জ্বালানীতে আগুন ধরে যেতে পারে বলে ট্যাংকারকে ভূ-সংযুক্ত করা হয় যেন উৎপন্ন বিদ্যুৎ নিউট্রাল হয়ে যায়।

প্রশ্ন-৪৩. বিভব পার্থক্য কীভাবে আধান স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে বর্ণনা কর।
উত্তর :
 বিভব পার্থক্য মূলত উৎপন্ন হয় আধানের ঘনত্বের তারতম্যের কারণে। তড়িৎ ক্ষেত্রের দুটি বিন্দুর মধ্যে বা কোনো বর্তনীর দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভবপার্থক্য থাকলে উচ্চ বিভবের বিন্দু হতে নিম্ন বিভবের বিন্দুতে ধনাত্মক আধান স্থানান্তরিত হয়। ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রন বিবেচনা করলে নিম্ন বিভবের বিন্দু হতে উচ্চ বিভবের বিন্দুতে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হয়। এভাবে বিভব পার্থক্য আধান স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে।

প্রশ্ন-৪৪. স্বর্ণপাত তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রকে কীভাবে ধনাত্মক আধানে আহিত করা যায়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
 একটি কাঁচদন্ডকে রেশম দিয়ে ঘষলে কাঁচদন্ডে ধনাত্মক আধানের উদ্ভব হয়। ঐ আহিত কাচদন্ডকে তড়িৎবীক্ষণের চাকতি বা গোলকের গায়ে স্পর্শ করালে দন্ড হতে খঅনিকটা আধান চাকতিতে চলে যায়। এই আধান সুপরিবাহী ধাতব দন্ডের মধ্য দিয়ে স্বর্ণপাত তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের সোনার পাতদ্বয়ে পৌঁছে। ফলে সোনার পাত দুটি একই জাতীয় আধান পেয়ে পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়। এ অবস্থায় কাঁচদন্ড সরিয়ে নিলে যদি পাতদ্বয়ের মধ্যবর্তী ফাঁক না কমে, তাহলে যন্ত্রটি ধনাত্মক আধানে আহিত হয়েছে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

প্রশ্ন-৪৫. আবেশ প্রক্রিয়ায় কোনো নতুন আধানের উদ্ভব হয় না- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
 একটি কাচদন্ডকে রেশমের কাপড় দ্বারা ঘষে অনাহিত পরিবাহক দন্ড AB এর A প্রান্তের নিকট আনলে পরিবাহকের মুক্ত ইলেকট্রনগুলো কাচদন্ডের ধনাত্মক আধান দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে A প্রান্তে সরে আসে। এখানে নতুন কোনো আধানের সৃষ্টি হয় না। আহিত কাচদন্ডের উপস্থিতির কারণে সমপরিমাণ বিপরীত জাতীয় আধান পৃথক হয়ে পরিবাহকের দুপ্রান্তে অবস্থান করে। কাচদন্ডকে সরিয়ে নিয়ে কোনো তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পপরীক্ষা করলে AB পরিবাহকে কোনো আধানের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় না। অর্থাৎ আধানগুলো একত্রিত হয়ে পরিবাহককে পুনরায় অনাহিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। সুতরাং বলা যায়, আবেশ প্রক্রিয়ায় কোনো নতুন আধানের সৃষ্টি হয় না।

প্রশ্ন-৪৬. ‘আবেশী ও আবিষ্ট আধান একটি অন্যটির বিপরীতধর্মী’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
 আহিত বস্তু যে আধান তড়িৎ আবেশের মাধ্যমে পরিবাহকে আবেশ সৃষ্টি করে তাকে আবেশী আধান বলে এবং তড়িৎ আবেশের ফলে কোনো পরিবাহকে যে আধানের সঞ্চার হয় তাকে আবিষ্ট আধান বলে। আবেশ প্রক্রিয়ায় তড়িৎ আকর্ষণের কারণে আবিষ্ট বস্তুতে আধান সৃষ্টি হওয়ায় এবং পরস্পর বিপরীতধর্মী আধানের কারণে আকর্ষণ বলের সৃষ্টি হওয়ায় আবেশী ও আবিষ্ট আধান একটি অন্যটির বিপরীতধর্মী।

প্রশ্ন-৪৭. ভোল্টমিটারকে বর্তনীর সাথে সমান্তরালে যুক্ত করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
 বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য মাপার জন্য ভোল্টমিটার ব্যবহার করা হয়। বর্তনীর যে দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য মাপতে হয় সেই দুই প্রান্তে ভোল্টমিটারকে সমান্তরালে যুক্ত করা হয়। কারণ সিরিজে যুক্ত থাকলে এটি মূল তড়িৎপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে বিভব পার্থক্যের মানের পরিবর্তন ঘটাবে।

প্রশ্ন-৪৮. ঘর্ষণে কেন বস্তু আহিত হয় বুঝিয়ে দাও।
উত্তর :
 কোনো বস্তুর সাথে আরেকটি বস্তুর ঘর্ষণ হলে বা সংস্পর্শে আনা হলে যে বস্তুর ইলেকট্রন আসক্তি বেশি তা অপর বস্তু হতে ইলেকট্রন সংগ্রহ করে ঋণাত্মক আধানে আহিত হয় এবং অপরটি ধনাত্মক আধানে আহিত হয়। এভাবে ঘর্ষণের ফলে কোনো বস্তু আহিত হয়।

প্রশ্ন-৪৯. স্বর্ণপাত তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের ভেতরে পানি নিরোধক পদার্থ ব্যবহৃত করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
 স্বর্ণপাত তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের অভ্যন্তরে জলীয় বাষ্প থাকলে যন্ত্রের সুবেদিতা কমে যায়। পানি পোলার যৌগ হওয়ায় জলীয়বাষ্প পাতদ্বয়েরর সংস্পর্শে এসে পাতদ্বয়ের মধ্যকার ফাঁক পরিবর্তন করে দিতে পারে। এতে প্রকৃত চার্জের পরিমাণ সম্পর্কে ভুল ধাণা হতে পারে। তাই যন্ত্রের ভেতরে পানি শোষক পদার্থ H2SO4 বা CaC12 একটি আলাদা পাত্রে রাখা হয়।

প্রশ্ন-৫০. তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রে স্বর্ণপাত ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর :
 তড়িৎবীক্ষণের পাত দুটি খুব হালকা ও পাতলা হওয়া দরকার। পাত দুটিতে সমপ্রকৃতির আধান থাকে বলে বিকর্ষণ বলের প্রভাবে পাত দুটি বিস্ফোরিত হয়। পাত দুটি হালকা হলে বিস্ফোরণ বেশি হবে এবং পর্যবেক্ষণের সুবিধা হবে। স্বর্ণকে খুব পাতলা পাতে পরিণত করা যায়। উপরন্তু এ ধাতুর সঙ্গে বায়ুর কোনো রাসায়নিক ক্রিযা না হওয়ায় পাতটি সহজে নষ্ট হয় না। এসব কারণে তড়িৎবীক্ষণে স্বর্ণপাত ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৫১. দুটি আধানের মধ্যবর্তী তড়িৎ বল কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর :
 দুইটি আধানের মধ্যবর্তী তড়িৎ বল নির্ভর করে,
১. আধানদ্বয়ের পরিমাণের উপর,
২. আধানদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর,
৩. আধানদ্বয় যে মাধ্যমে অবস্থিত তার প্রকৃতির উপর।

ধারকের শক্তি (Energy of a Capacitor) বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : ধারকের শক্তি বলতে মূলত একটি চার্জিত ধারকের সঞ্চিত শক্তিকে বুঝায়। একটি ধারককে চার্জিত করতে থাকলে ধারকস্থিত চার্জ নবাগত চার্জকে বিকর্ষণ করে। ফলে এই বিকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ সম্পাদন করে ধারকটিকে চার্জিত করতে হয়। এভাবে কোন ধারককে চার্জিত করতে মোট কৃত কাজ উক্ত ধারকে শক্তিরূপে সঞ্চিত থাকে। এই শক্তিকে ধারকের স্থিতিশক্তি বা বিভব শক্তি বলে। ধারকের এই শক্তি পরবর্তীতে বর্তনীতে তড়িচ্চালক শক্তিরূপে রূপান্তরিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করে। ধারকের ডিসচার্জিং এর সময় এই শক্তি তড়িৎ প্রবাহসহ অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *