অ্যাভোমিটার কি? অ্যাভোমিটারের ব্যবহার এবং সাবধানতা।- What is AVOmeter?

অ্যাভোমিটার (AVOmeter) এক ধরনের মাল্টিমিটার যার সাহায্যে ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রেজিস্ট্যান্স এই তিন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল রাশি পরিমাপ করা যায়। এ তিনটি রাশির এককের আদ্যক্ষর (অ্যাম্পিয়ারের A, ভোল্টের V এবং ওহমের O) নিয়ে গঠিত শব্দ হলো অ্যাভো AVO এবং এ থেকেই এসেছে অ্যাভোমিটার। অ্যাভোমিটারের সাহায্যে ভোল্টেজ (এসি/ডিসি), কারেন্ট (এসি/ডিসি) এবং রেজিস্ট্যান্স ছাড়াও, বাইরের উৎস ব্যবহার করে অতি উচ্চ মানের রেজিস্ট্যান্স, ইন্ড্যাকটেন্স এবং ক্যাপাসিটেন্স পরিমাপ করা যায়।

অ্যাভোমিটারের ব্যবহার

এ্যাভোমিটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনস্ট্রুমেন্ট যা ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটসমূহের বিভিন্ন প্রকার টেস্টের জন্য এবং পরিমাপের জন্য ব্যবহার করা হয়। নিচে অ্যাভোমিটারের কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো:

  • ভোল্টেজ (এসি/ডিসি), কারেন্ট (এসি/ডিসি) ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের জন্য।
  • সার্কিটের কন্টিনিউইটি টেস্ট করার জন্য।
  • সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড, ট্রানজিস্টর পরীক্ষা করার জন্য।
  • বাইরের উৎস ব্যবহার করে অতি উচ্চমানের রেজিস্ট্যান্স, ইনডাকটেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স পরিমাপ করার জন্য।

 

অ্যাভোমিটার ব্যবহারে সাবধানতা
  • প্রতিবার পরিমাপ করার পূর্বেই সঠিক রেঞ্জ সিলেকশনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। ভোল্টেজ পরিমাপ করতে গিয়ে সিলেক্টর সুইচটি যদি ভুলক্রমে রেজিস্ট্যান্স অথবা কারেন্ট রেঞ্জে স্থাপন করা হয় তবে শান্ট পুড়ে যাবে অথবা রেকটিফায়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মিটারটি অকেজো হয়ে পড়বে।
  • ডিসচার্জড ব্যাটারি মিটার থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে চুইয়ে পড়া ইলেকট্রোলাইটের কারণে ভিতরের কম্পোনেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হবে।
  • যে রাশি পরিমাপ করতে হবে তার রেঞ্জ যদি জানা না থাকে তবে সিলেক্টর সুইচ সর্বোচ্চ রেঞ্জে রেখে পরিমাপ শুরু করতে হবে এবং রেঞ্জ সম্পর্কে অবগত হয়ে উপযুক্ত রেঞ্জ নির্ধারণ করে রাশি পরিমাপ করতে হবে।
  • উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় মিটারকে অধিক সময় খোলা রাখা উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *