দ্বিতীয় অধ্যায় : ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রশ্ন-১. ডেটা কমিউনিকেশন কি? (What is data communication?)

উত্তর :  কোন ডেটাকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কিংবা এক কম্পউটার থেকে অন্য কম্পউটারে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে অথবা এক জনের ডেটা অন্য সবার কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়াই হলো ডেটা কমিউনিকেশন।

প্রশ্ন-২. ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) কাকে বলে?

উত্তর : প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা বিট ট্রান্সফার হয় অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে। একে  ট্রান্সমিশন স্পিডও বলা হয়। এই ব্যান্ডউইথ সাধারণত Bit per Second (bps) এ হিসাব করা হয়। বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে। একে b দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-৩. ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড (Data Transmission Method) কি?

উত্তর : ডেটা ট্রান্সমিশন হচ্ছে ডেটা পরিবহন বা ডেটা স্থানান্তর। যে পদ্ধতিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিট হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে।

প্রশ্ন-৪. ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : বিট সিনক্রোনাইজেশনের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা–

১. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission)

২. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission)

৩. আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronous Transmission)।

প্রশ্ন-৫. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী? (What is asynchronous transmission?)

উত্তর : যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা প্রাপক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয়, তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

প্রশ্ন-৬. সিনক্রোনাইজেশন বলতে কী বুঝ? (What do you mean by synchronization?)

উত্তর : অনুক্রম বা সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় সিনক্রোনাইজেশন।

প্রশ্ন-৭. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কাকে বলে? (What is called synchronous transmission?)

উত্তর : যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা হয়। তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

প্রশ্ন-৮. আইসোক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন কি?

উত্তর : সিনক্রোনাস টান্সমিশনের উন্নত ভার্সন হলো আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন। এতে প্রেরক ও প্রাপক স্টেশনের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশন ডিলে সর্বনিম্ন রাখা হয়।

প্রশ্ন-৯. প্রতিবারে একসাথে কতটি বিট ডেটা পাঠানো যাবে তার উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন কত ধরনের?

উত্তর : ২ ধরনের।

প্রশ্ন-১০. ডেটা ট্রান্সমিশন কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : ডেটা ট্রান্সমিশন তিন প্রকার। যথাঃ– ১. সিমপ্লেক্স, ২. হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ৩. ফুল-ডুপ্লেক্স।

প্রশ্ন-১১. সিমপ্লেক্স মোড কাকে বলে? (What is called simplex mode with example?)

উত্তর : যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরনের ব্যবস্থা থাকে। সেই মোডকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। যেমন: কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা প্রেরণ।

প্রশ্ন-১২. হাফ-ডুপ্লেক্স মোড কী? (What is half-duplex mode?)

উত্তর : যে দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থায় ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা উভয় দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু একসাথে নয়, তাকে হাফ-ডুপ্লেক্স মোড বলে। যেমনঃ ওয়াকি-টকির মাধ্যমে যোগাযোগ।

প্রশ্ন-১৩. ফুল-ডুপ্লেক্স বলতে কি বুঝায়? (What is meant by full-duplex?)

উত্তর : যে পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয় দিক থেকে একই সময়ে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়, তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স বলে। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল।

প্রশ্ন-১৪. প্রাপকের সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার?

উত্তর : তিন প্রকার।

প্রশ্ন-১৫. ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মোড কাকে বলে? (What is unicast transmission?)

উত্তর : যে ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একজন প্রেরক থেকে একজন প্রাপকের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তাকে ইউনিকাস্ট (Unicast) ট্রান্সমিশন মোড বলে। এই পদ্ধতিতে অনেক প্রাপক একসাথে ডেটা গ্রহণ করতে পারে না। যেমন– পেজার। ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশনে সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স, ফুল-ডুপ্লেক্স মোড হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-১৬. মডুলেশন বলতে কি বুঝায়?

উত্তর : টেলিযোগাযোগ এর ক্ষেত্রে মডুলেশন (Modulation) বলতে কোন পর্যাবৃত্ত তরঙ্গকে ব্যবহার করে একটি তথ্য সংকেত প্রেরণের জন্য উক্ত তথ্য সংকেতটিকে বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

প্রশ্ন-১৭. ব্রডকাস্ট কী?

উত্তর : ব্রডকাস্ট এর অর্থ সম্প্রচার অর্থাৎ একই তথ্য অসংখ্য মানুষের কাছে পাঠানো। যেমন– টেলিভিশন একটি ব্রডকাস্টিং মিডিয়া। কেননা এটি এর প্রোগ্রাম অসংখ্য মানুষের কাছে প্রচার করে থাকে

প্রশ্ন-১৮. মাল্টিকাস্ট কাকে বলে?

উত্তর : যে ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কের কোন একটি নোড বা কম্পিউটার থেকে ডাটা প্রেরণ করলে তা কেবলমাত্র অনুমোদিত নোড বা নোডসমূহ গ্রহণ করতে পারে, তাকে মাল্টিকাস্ট বলে।

প্রশ্ন-১৯. ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কী?

উত্তর : যার মধ্য দিয়ে উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সমিশন বা স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম (Data Communication Medium) বলে।

প্রশ্ন-২০. ডেটা কমিউনিকেশন কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : ডেটা কমিউনিকেশন ২ প্রকার। যথাঃ– ১. তার মাধ্যম (Wire Medium) এবং ২. তারবিহীন বা বেতার মাধ্যম (Wireless Medium)।

প্রশ্ন-২১. WAN এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : WAN এর পূর্ণরূপ  Wide Area Network

প্রশ্ন-২৩. WiMAX এর পরিসর কত কিলোমিটার?

উত্তর : WiMAX এর পরিসর বা বিস্তৃতি সাধারণত 10km থেকে 50km পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-২৪. ক্লাউড কম্পিউটিং কি?

উত্তর : ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন এক প্রকার সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পরিসেবা বা সার্ভিস, যা নেটওয়ার্ক  স্টোরেজ স্পেস এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন-২৫. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে কি বুঝায়?

উত্তর : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে তথ্য আদান-প্রদান বা রিসোর্স সেয়ার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকে বুঝায়।

প্রশ্ন-২৬. ব্রিজ কাকে বলে?

উত্তর : একাধিক ল্যানের ভেতর সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে ব্রিজ বলে।

প্রশ্ন-২৭. LAN কি?

উত্তর : সাধারণত 1km বা তার কম এরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু কম্পিউটার টার্মিনাল বা অন্য কোনো পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাই LAN।

প্রশ্ন-২৮. Hotspot কাকে বলে?

উত্তর : পরস্পর সংযুক্ত ইন্টারনেটে প্রবেশ বিন্দু বা এক্সেস পয়েন্টগুলোকে হটস্পট বলে।

প্রশ্ন-২৯. রাউটার কি?

উত্তর : এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্ক ডেটা পাঠানোর প্রক্রিয়াকে রাউটিং বলে। আর এ রাউটিং এর জন্য যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাই হলো রাউটার।

প্রশ্ন-৩০. V-32 কি?

উত্তর : V-32 একটি সাধারণ মডেম যা তথ্যকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছে দেয়।

প্রশ্ন-৩১. থিকনেট কি?

উত্তর : থিকনেট হলো ভারী ও নন ফ্লেক্সিবল মিডিয়া।

প্রশ্ন-৩২. ভিডিও কনফারেন্সি এ কোনো ধরনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : মাল্টিকাস্ট মোড ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৩৩. ক্লাডিং কী?

উত্তর : ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবারের একটি অংশ যা কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি।

প্রশ্ন-৩৪. UTP কি?

উত্তর : UTP হলো Unshielded Twisled Pair.

প্রশ্ন-৩৫. STP কি?

উত্তর : STP হলো Shiclded Twisted Pair.

 

 

প্রশ্ন-৩৬. MAN এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : MAN এর পূর্ণরূপ Metropolitan Area Network.

প্রশ্ন-৩৭. GPS কি?

উত্তর : GPS হলো Global Positioning System. এর সাহায্যে গাড়ির চালক, নৌকা ও জাহাজের নাবিক, বিমানের পাইলটের গতি জানা যায়।

প্রশ্ন-৩৮. ন্যারো ব্যান্ডের গতি কত?

উত্তর : ন্যারো ব্যান্ডের ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারণত 45bps (bit per second)  থেকে সর্বোচ্চ 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৩৯. বিট সিনক্রোনাইজেশন কাকে বলে?

উত্তর : সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বিট সিনক্রোনাইজেশন বলে।

প্রশ্ন-৪০. কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কয়টি অংশ?

উত্তর : কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের চারটি অংশ।

প্রশ্ন-৪১. ফাইবার অপটিকের কয়টি অংশ থাকে?

উত্তর : ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা :

 

  • কোর : ভেতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।
  • ক্ল্যাডিং : কেন্দ্রের অপটিক্যাল ফাইবারকে আচ্ছাদিত করে আছে ক্ল্যাডিং (cladding) বা কেভলার (kevlar) যা এমন এক পদার্থ দিয়ে তৈরি যে আলোক প্রতিফলন করতে পারে। এর ফলে আলোক সংকেত ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মধ্য দিয়ে বাঁকা পথে যেতে পারে।
  • জ্যাকেট : আবরণ হিসেবে কাজ করে।

 

প্রশ্ন-৪২. ওয়্যারলেস ডেটা কমিউনিকেশন কী?

উত্তর : ওয়্যারলেস ডেটা কমিউনিকেশন মোবাইল কম্পিউটিং এর একটি সাধারণ উপাদান।

প্রশ্ন-৪৩. ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কাকে বলে?

উত্তর : এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় 2.4 GHz Wi-Fi ডিভাইসের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তনকালীন অর্থাৎ ভ্রমণের সময় এক ল্যাপটপ থেকে অন্য ল্যাপটপে সংযোগ স্থাপন করে ডেটা আদান-প্রদান করার প্রক্রিয়াকে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক বলে।

প্রশ্ন-৪৪. বেতার তরঙ্গ কি?
উত্তর :
 বেতার তরঙ্গ এক প্রকারের তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা। মিলিমিটার থেকে 100 কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

প্রশ্ন-৪৫. ওয়্যারলেস প্যান কী?
উত্তর :
 ব্লুটুথ ও ইনফ্রারেডের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট বা ল্যাপটপের মধ্যে যোগাযোগ পদ্ধতি হলো ওয়্যারলেস প্যান।

প্রশ্ন-৪৬. TDMA এর পূর্ণ নাম লিখ।
উত্তর : 
TDMA পূর্ণ নাম Time Division Multiple Access.

প্রশ্ন-৪৭. CDMA প্রযুক্তি কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
 CDMA প্রযুক্তি আমেরিকা ও এশিয়ার অংশবিশেষে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৪৮. সক্রিয় হাব কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সকল হাব সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করে তাকে সক্রিয় হাব বলে।

প্রশ্ন-৪৯. স্টার টপোলজি কী?
উত্তর :
 যে নেটওয়ার্কে একটি কিম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা আকাশের তারকার মতো, এ জন্য এ নেটওয়ার্কের নাম হয়েছে স্টার নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন-৫০. GPS এর পূর্ণ নাম লেখ।
উত্তর :
 GPS এর পূর্ণ নাম Global Positioning System

প্রশ্ন-৫১. টপোলজি কি?
উত্তর :
 টপোরজি হলো এমন একটি নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা যেখানে একটি কম্পিউটারের সাথে অপর একটি কম্পিউটার কিভাবে, কি কৌশলে যুক্ত হবে তা নির্দেশ করে।

প্রশ্ন-৫২. NIC কি?
উত্তর :
 NIC এর পূর্ণরূপ Network Interface Card. দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডই NIC.

প্রশ্ন-৫৩. লিনিয়ার টপোলজি কী?
উত্তর :
 যে টেপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সব কয়টি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। একে অনেক সময় লিনিয়ার টপোলজিও বলা হয়।

প্রশ্ন-৫৪. ট্রি টপোলজি কাকে বলে?
উত্তর :
 যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে শাখা-প্রশাখা হিসেবে বিন্যস্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা গাছের মতো (যেমন- গাছের মূল এবং শাখা-প্রশাখা থাকে) তাকে ট্রি টপোলজি বলে।

প্রশ্ন-৫৫. রিং টপোলজি কী?
উত্তর :
 একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যা দেখতে অনেকটা রিং এর মত, তাই এর নামকরণ হয়েছে রিং টপোলজি।

প্রশ্ন-৫৬. মেশ টপোলজি কিভাবে যুক্ত থাকে?
উত্তর : 
মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রতিটি কম্পিউটর অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে।

প্রশ্ন-৫৭. সুইচ কি?
উত্তর :
 সুইচ একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের ডেটাকে বিভক্ত করে নেটওয়ার্কের সকল সিস্টেমে না পাঠিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়।

প্রশ্ন-৫৮. রিপিটার কাকে বলে?
উত্তর :
 যে কমিউনিকেশন ডিভাইস দুর্বল সিগন্যালকে রিসিভ করে সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা শক্তিশালী করে গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেয় তাকে রিপিটার বলে।

প্রশ্ন-৫৯. টেলনেট কি?

উত্তর : যে সার্ভিস (Service)-এর মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী (user) দূরবর্তী কোন অবস্থানের কোন কম্পিউটারে লগ ইন (log in) করতে পারেন এবং তা থেকে রিসোর্স (Resource) ব্যবহার করতে পারেন সে সার্ভিসকে (Service) কে বলা হয় টেলনেট (Telnet)। টেলনেটে লোকাল কম্পিউটারটিকে টার্মিনাল এবং দূরবর্তী অবস্থানের যে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় সেটিকে হোস্টের (Host) সাথে তুলনা করা যায়।

তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর : তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের তিনটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

i. ডেটা রূপান্তরের কাজে প্যাকেট সুইচিং ও সার্কিট সুইচিং উভয় পদ্ধতির ব্যবহার।

ii. উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন। ফলে অধিক পরিমাণ ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হয়।

iii. ডেটা রেট ২ Mbps এর অধিক।

সিমপ্লেক্স মোড এবং ফুল-ডুপ্লেক্স মোড এর বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সিমপ্লেক্স মোড পদ্ধতিতে শুধুমাত্র এক দিক থেকে ডেটা প্রেরণ করা যায় এবং অপর প্রান্ত থেকে শুধুমাত্র ডেটা গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটি প্রান্তে ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণের যেকোনো একটি বাস্তবায়ন সম্ভব। অপরদিকে, ফুল ডুপ্লেক্স মোড পদ্ধতিতে একই সময়ে উভয় প্রান্তে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একই সময়ে যেকোনো প্রান্ত ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন-৫৯. মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ফুল ডুপ্লেক্স। এতে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে। যে কোনো প্রাপ্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় ডেটা প্রেরণও করতে পারবে।

আলোর গতিতে ডেটা চলাচলের মাধ্যমটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল ডাই-ইলেকট্রিক অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি কাঁচের তন্তুর মধ্যে দিয়ে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বিপুল পরিমাণ ডেটা পরিবহনে সক্ষম এই ক্যাবল দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ আলোর প্রতিফলন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করে। এছাড়া একসাথে একাধিক তথ্য প্রেরণ ও রাসায়নিক নিস্ক্রিয়তার কারণে ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন বলা হয়।

মডেম, সিগন্যাল মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের কাজ করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মডেম (Modem) একটি ডেটা কমিউনিকেশন ডিভাইস যা ডেটাকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে মাধ্যমের সাহায্যে পৌঁছে দেয়। মডেম (Modem) শব্দটি মডুলেটর-ডিমডুলেটর (Modulator-Demodulator) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। মডুলেটর ডিজিটাল সিগনালকে অ্যানালগ সিগনালে এবং ডি-মডুলেটর অ্যানালগ সিগনালকে ডিজিটাল সিগনালে রূপান্তর করে। মডেমে একটি মডুলেটর এবং একটি ডিমডুলেটর থাকে৷ প্রেরক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম মডুলেটর হিসেবে মডুলেশন (Modulation) এর কাজ করে। প্রাপক কম্পিউটারের মডেম ডি-মডুলেটর হিসেবে ডিমডুলেশন (Demodulation) এর কাজ করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *