প্রশ্ন-১. বাংলাদেশের কোথায় চুনাপাথর পাওয়া যায়?
উত্তর : সিলেটে।
প্রশ্ন-২. কত বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর : সাড়ে চার বিলিয়ন বছর।
প্রশ্ন-৩. সূর্য কী উৎপন্ন করে?
উত্তর : তাপ।
প্রশ্ন-৪. যেসব জ্যোতিষ্ক আলো ও তাপ উৎপন্ন করে তাদের কী বলে?
উত্তর : নক্ষত্র।
প্রশ্ন-৫. চাঁদ পৃথিবীকে কত সময়ে একবার ঘুরে আসে?
উত্তর : ২৭ দিন ৮ ঘণ্টায়।
প্রশ্ন-৬. সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে কয়টি গ্রহ?
উত্তর : ৮টি।
প্রশ্ন-৭. হিউমাস কাকে বলে?
উত্তর : পচা ও মৃত জীবদেহ মিশে তৈরি কালো বা অনুজ্জ্বল উপাদানকে হিউমাস বলে।
প্রশ্ন-৮. স্ট্রাটোস্ফিয়ার কাকে বলে?
উত্তর : ভূপৃষ্ঠ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলীয় অঞ্চলকে স্ট্রাটোস্ফিয়ার বলে।
প্রশ্ন-৯. বায়ুমণ্ডল মূলত কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর : বায়ুমণ্ডল মূলত নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন দিয়ে তৈরি।
প্রশ্ন-১০. একটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখো?
উত্তর : একটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম কয়লা।
প্রশ্ন-১১. ভূ-ত্বক কী?
উত্তর : শিলামণ্ডলের ওপরের দিকের অংশকে ভূ-ত্বক বলে।
প্রশ্ন-১২. বায়ুমণ্ডল কী?
উত্তর : যে বায়বীয় অংশটি পৃথিবীপৃষ্ঠকে ঘিরে রেখেছে সেটিই বায়ুমণ্ডল।
প্রশ্ন-১৩. সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর : সূর্য এবং একে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান সব জ্যোতিষ্ক ও ফাঁকা জায়গা নিয়ে যে জগৎ গঠিত তাকে সৌরজগৎ বলে।
প্রশ্ন-১৪. নক্ষত্র কাকে বলে?
উত্তর : যেসব জ্যোতিষ্ক আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে তাদের নক্ষত্র বলে।
প্রশ্ন-১৫. কেন্দ্রমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের গোলাকার জায়গাকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন-১৬. শিলামণ্ডলের ওপরের দিকের অংশ কী নামে পরিচিত?
উত্তর : শিলামণ্ডলের ওপরের দিকের অংশ ভূ-ত্বক নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৭. শিলামণ্ডল কী?
উত্তর : পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে পৃথিবীর অভ্যন্তরকে ঘিরে যে শক্ত স্তর রয়েছে তাই শিলামণ্ডল।
প্রশ্ন-১৮. প্লেট কাকে বলে?
উত্তর : ভূপৃষ্ঠের নিচে পৃথিবীর শিলামণ্ডল কতগুলো অংশে বিভক্ত থাকে। আর এ অংশগুলোকেই প্লেট বলা হয়।
প্রশ্ন-১৯. সূর্য কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : সূর্য গ্যাসপিন্ড দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন-২০. শিলা কী?
উত্তর : ভূ-ত্বক গঠনকারী পাথর, নুড়ি, কাঁকর, বালু, কাদা প্রভৃতি কঠিন পদার্থের সাধারণ নাম শিলা।
প্রশ্ন-২১. সূর্যকে কেন্দ্র করে কয়টি গ্রহ ঘুরছে?
উত্তর : সূর্যকে কেন্দ্র করে আটটি গ্রহ ঘুরছে।
প্রশ্ন-২২. খনিজ পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ ভূ-ত্বক গঠনকারী যে অজৈব উপাদান মিশ্রিত অবস্থায় না থেকে আলাদা থাকে তাদেরকে খনিজ পদার্থ বলে।
প্রশ্ন-২৩. চুনাপাথরের আরেক নাম কি?
উত্তরঃ চুনাপাথরের আরেক নাম হচ্ছে– ক্যালসিয়াম কার্বনেট।
প্রশ্ন-২৪. ভূমিকম্প কাকে বলে?
উত্তরঃ প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব অনুসারে প্লেটগুলো একটি অন্যটির সাথে ধাক্কা খেলে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। এই কেঁপে ওঠাকে ভূমিকম্প বলে।
প্রশ্ন-২৫. ট্রপোস্ফিয়ার কী?
উত্তর : ভূপৃষ্ঠ থেকে এগার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলকে বলা হয় ট্রপোস্ফিয়ার।
প্রশ্ন-২৬. বাংলাদেশের বড় জলপ্রপাতটির নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের বড় জলপ্রপাতটির নাম মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত।
প্রশ্ন-২৭. হাঁড়ি-পাতিল তৈরিতে কোন ধাতু ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : হাঁড়ি-পাতিল তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-২৮. চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকা সত্ত্বেও চাঁদকে আমরা আলোকিত দেখি কেন?
উত্তর : সূর্যের আলো চাঁদের পৃষ্ঠে পড়ে প্রতিফলিত হয়। তাই আমরা চাঁদকে আলোকিত দেখি।
প্রশ্ন-২৯. আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ শিলামণ্ডল বিভিন্ন প্লেট দ্বারা গঠিত। এই প্লেটগুলো চলার সময় একটি আরেকটির সাথে ঘষা বা ধাক্কা খেলে প্রচুর তাপের সৃষ্টি হয় এবং ভূ-ত্বকের বিভিন্ন পদার্থকে গলিয়ে দেয়। এই গলিত পদার্থ চাপের ফলে নিচ থেকে ভূপৃষ্ঠ ভেদ করে বেরিয়ে আসে। একে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বলে।
প্রশ্ন-৩০. পৃথিবীর ভেতরের অংশ কয় ভাগে বিভক্ত? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পৃথিবীর ভেতরের অংশ তিন ভাগে বিভক্ত। পৃথিবী পৃষ্ঠের নিচে পৃথিবীর অভ্যন্তরকে ঘিরে যে শক্ত স্তর রয়েছে তাই শিলামণ্ডল। শিলামণ্ডল পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কি.মি পর্যন্ত বিস্তৃত থাকতে পারে ৷ শিলামণ্ডলের নিচে গুরুমণ্ডল আর সবশেষে পৃথিবীর কেন্দ্রের চারদিকে কেন্দ্ৰমণ্ডল।
প্রশ্ন-৩১. কেন্দ্রমণ্ডল এর গঠন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো- পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের গোলাকার জায়গা হলো কেন্দ্রমণ্ডল। পৃথিবী সৃষ্টির পর বাইরের অংশ থেকে তাপ চলে যাওয়ায় ভূপৃষ্ঠ ঠাণ্ডা; কিন্তু কেন্দ্রের দিক থেকে তাপ বেরিয়ে আসতে না পারায় কেন্দ্রমণ্ডল বেশ উত্তপ্ত। এখানে নিকেল, লোহা, সিসা ইত্যাদি ধাতু উত্তপ্ত অবস্থায় আছে। এটি বাইরের দিকে গলিত এবং ভেতরের অংশে কঠিন অবস্থায় থাকে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. কত বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে?
ক) সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন বছর খ) সাড়ে তিন বিলিয়ন বছর
গ) সাড়ে চার বিলিয়ন বছর ঘ) সাড়ে ছয় বিলিয়ন বছর
উত্তরঃ– গ) সাড়ে চার বিলিয়ন বছর
২. মহাবিস্ফোরণের পর ছোট ছোট কণাগুলো ঠান্ডা ও একত্রিত হয়ে কীসে পরিণত হয়?
ক) জ্যোতিষ্ক খ) চাঁদ
গ) উপগ্রহ ঘ) বায়ুমন্ডল
উত্তরঃ– ক) জ্যোতিষ্ক
৩. নিচের কোনটির নিজস্ব আলো আছে?
ক) শনি খ) নক্ষত্র
গ) বুধ ঘ) নেপচুন
উত্তরঃ– খ) নক্ষত্র
৪. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ নিচের কোনটি?
ক) বুধ খ) শনি
গ) চাঁদ ঘ) বৃহস্পতি
উত্তরঃ– গ) চাঁদ
৫. পৃথিবী কী?
ক) গ্রহ খ) উপগ্রহ
গ) বড় গ্রহ ঘ) ছোট উপগ্রহ
উত্তরঃ– ক) গ্রহ
৬. চাঁদকে আলোকিত দেখার কারণ কী?
ক) সূর্য থেকে আলো চাঁদে পড়ে বলে খ) চাঁদের নিজস্ব আলো আছে বলে
গ) চাঁদের অনেক আলো আছে বলে ঘ) চাঁদে অনেক তারা আছে বলে
উত্তরঃ– ক) সূর্য থেকে আলো চাঁদে পড়ে বলে
৭. যেসব জ্যোতিষ্ক আলো ও তাপ উৎপন্ন করে তাদের কী বলে?
ক) নক্ষত্র খ) চাঁদ
গ) গ্রহ ঘ) উপগ্রহ
উত্তরঃ– ক) নক্ষত্র
৮. সূর্য কী?
ক) গ্যাসের পিন্ড খ) চাঁদের পিন্ড
গ) গ্রহের পিন্ড ঘ) জ্যোতিষ্ক
উত্তরঃ– ক) গ্যাসের পিন্ড
৯. চাঁদ পৃথিবীকে কত সময়ে একবার ঘুরে আসে?
ক) ২৭ দিন ৮ ঘণ্টায় খ) ২৭ দিন ১৮ ঘণ্টায়
গ) ২৭ দিন ৮ মিনিটে ঘ) ২৪ দিন ৮ ঘণ্টায়
উত্তরঃ– ক) ২৭ দিন ৮ ঘণ্টায়
১০. নিচের কোনটি সবচেয়ে বৃহত্তম গ্রহ?
ক) শনি খ) বুধ
গ) বৃহস্পতি ঘ) নেপচুন
উত্তরঃ– গ) বৃহস্পতি
১১. কয়লা ও পেট্রোলিয়ামকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়। কারণ এগুলো–
i. জৈব পদার্থ ii. অজৈব পদার্থ iii. জীব হতে তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii খ) i ও iii গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
উত্তরঃ– খ) i ও iii
১২. শিলামন্ডলের ওপরের অংশকে কী বলে?
ক) ভূ-মন্ডল খ) ভূ-ত্বক
গ) আয়নমন্ডল ঘ) গুরুমন্ডল
উত্তরঃ– খ) ভূ-ত্বক
১৩. কঠিন শিলা থেকে নরম মাটি তৈরি হয় কয়টি পর্যায়ে?
ক) ২টি খ) ৩টি
গ) ৪টি ঘ) ৫টি
উত্তরঃ– ক) ২টি
১৪. সিমেন্ট তৈরির মূল উপাদান কী?
ক) বালি খ) শিলা
গ) চুনাপাথর ঘ) লোহা
উত্তরঃ– গ) চুনাপাথর
১৫. ইউরিয়া সার তৈরির প্রধান উপাদান কী?
ক) প্রাকৃতিক গ্যাস খ) হাইড্রোজেন গ্যাস
গ) পেট্রোলিয়াম গ্যাস ঘ) বিউটেন
উত্তরঃ– ক) প্রাকৃতিক গ্যাস
১৬. নিচের কোনটিতে সবচেয়ে বেশি তাপ ও আলো রয়েছে?
ক) সূর্য খ) চাঁদ গ) পৃথিবী ঘ) বৃহস্পতি
উত্তরঃ– ক) সূর্য